ছবিতে ‘রাজভবন অভিযান কর্মসূচি’: পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 5

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে গত ২৬ নভেম্বর গোটা দেশে ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। আমরা ফটো ফিচারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ঐতিহাসিক রাজভবন অভিযান কর্মসূচির ছবি ও সেই সংক্রান্ত তথ্যালাপ তুলে ধরছি। প্রথম পর্বে থাকছে বাংলা ও পাঞ্জাব।

পশ্চিমবঙ্গ



সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ শাখার মিছিলের একটি সূচনাপ্রান্ত ছিল শিয়ালদহ স্টেশন। কৃষক-ক্ষেতমজুরদের পাশাপাশি মিছিলে যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ১/১৮

মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন মোর্চার রাজ্য নেতৃবর্গ এবং জাতীয় সমন্বয় সমিতির সদস্য অভীক সাহা। ২/১৮

কৃষকের হকের স্লোগানে আবারও জেগে উঠল কলকাতা। ৩/১৮

যুগ বদলের আওয়াজ উঠল তখন মিছিল প্রান্তরে। ৪/১৮

কৃষক বিরোধী কর্পোরেট রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাল মহানগরীর এই মিছিল। ৫/১৮

জয় কিষাণ আন্দোলনের হলুদ পতাকায় ছেয়ে গেছিল মহানগর। ৬/১৮

লাল পতাকা ও কাস্তে-হাতুড়ি ধারণ করে কৃষকের দাবি পূরণের সংগ্রামে কৃষক-নারী ৭/১৮

গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যের কৃষকরাও দেশের এবং রাজ্যের সরকারকে মনে করিয়ে দিলেন, “এ যুগের চাঁদ হলো কাস্তে”। সেই একফালি চাঁদ হাতে স্বপ্নের দিন কায়েম করতে পারেন কিষাণরাই। কলকাতার রাজপথ থেকে স্লোগান উঠল, ‘জয় কিষাণ ‘ স্লোগান উঠল ইনকিলাবের। ৮/১৮

আবারও মিছিল নগরী কলকাতায় জনজোয়ার। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার রাজভবন অভিযান কর্মসূচিতে ফের দিনবদলের স্বপ্প বুনতে শুরু করল সংগ্রামের মহানগর। ৯/১৮

“কৃষক-জনতার সংগ্রাম চলছে এবং চলবে। যতক্ষণ না কৃষকের স্বরাজ কায়েম হয়, যতক্ষণ না এমএসপি আইন কেন্দ্রে ও রাজ্যে কায়েম হয়, যতক্ষণ না কেন্দ্র ও রাজ্য কৃষকদের দাবিপূরণ করেন”- কলকাতার সভা থেকে বললেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার জাতীয় সমন্বয় সমিতির সদস্য অভীক সাহা। মোর্চার তরফে রাজ্য সরকারের কাছে এমএসপি আইনের যে খসড়া-প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, সমবেত জনতার সামনে সেটিইও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, নেতারা শান্তিকুঞ্জ আর শান্তিনিকেতনে বাস করে শান্তিতে দিনগুজরান করতে চাইছেন, কিন্তু কৃষক-সহ সাধারণ মানুষ শান্তিতে নেই। কৃষক-সহ খেটে খাওয়া মানুষ শান্তিতে থাকতে না পারলে নেতা-মন্ত্রীদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না। ১০/১৮

ইতিপূর্বেই রাজ্য সরকারের কাছে মোর্চার তরফে এমএসপি আইনের জন্য যে খসড়া বিল পাঠানো হয়েছিল, তা জনতার সামনে তুলে ধরলেন অভীক সাহা। ১১/১৮

কলকাতা অবরুদ্ধ হল কৃষিজীবীদের জমায়েতে। শুরু হল নতুন করে স্বপ্ন দেখা। ১২/ ১৮

পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে দিলেন চরম হুঁশিয়ারি। এমএসপি আইন প্রণয়ন, কৃষক পেনশন, বিদ্যুৎ বিল বাতিল, সারের কালোবাজারি বন্ধ করার মতো সবকটি দাবিদাওয়া মানা না হলে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করবে, জানালেন তিনি। ১৩/১৮

কলকাতার সভায় অন্যতম বক্তা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির নেত্রী, বহ গণ-আন্দোলনের মুখ অনুরাধা তলোয়ার। তিনি বললেন, কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও আন্দোলন চলবে। যদি না রাজ্য সরকার কৃষকদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়। ১৪/১৮

কলকাতার সভায় জয় কিষাণ আন্দোলনের অন্যতম প্রবীণ নেতা রাম বচ্চন ইউনিয়ন সরকার ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন। জানালেন কিষাণের হক আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ১৫/১৮

প্রবীণ সংগ্রামী কমিউনিস্ট কৃষক নেতা কার্তিক পালের বক্তব্যে উঠে এল জীবন-জীবিকা-রুটি-রুজির প্রসঙ্গ। এবং উচ্ছেদবিরোধী অবস্থানের কথা। কেন্দ্র ও রাজ্য মানুষকে তার ক্ষেত-খামার, জীবন-জীবিকা ও বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করলে চলবে লড়াই, জানালেন তিনি। ১৬/১৮

বহু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখ, প্রবীণ বাম-গণতান্ত্রিক নেতা সমীর পূততুণ্ড বললেন, রাজ্যে এমএসপি আইন প্রণয়ন না হলে একমাত্র যে পথ খোলা রয়েছে তা হল ব্যাপক আন্দোলন। কেন্দ্রকেও দিলেন হুঁশিয়ারি। ১৭/ ১৮

কলকাতা আবারও সাক্ষী থাকল কৃষকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের দ্বিতীয় পর্বের সূচনার। তৈরি হল ইতিহাস। ১৮/১৮

পাঞ্জাব

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংগ্রামের সূচনা ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। পাঞ্জাব ফের ইতিহাস তৈরি করল হাজার হাজার কৃষক-জনতার জমায়েতের মধ্য দিয়ে। কৃষকের মৌনমলিন মুখে হক আদায়ের স্লোগানকে জাগিয়ে তুলে পাঞ্জাবের মাটিতে থেকে দেশকে বাঙ্ময় করে তুললেন কৃষক নারীরা। মা-বোনেরা। ১/৬

একদিকে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার অন্যদিকে আপ-এর নেতৃত্বে চলা পাঞ্জাব সরকার, কৃষকদের পাশে কেউই নেই। কিন্তু কৃষকরা জানেন কীভাবে হক আদায় করতে হয়, কীভাবে এমএসপি কানুন লাগু করতে হয়, কীভাবে বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হয়, কীভাবে পেনশন চালু করতে হয়, কীভাবে ফসলের জন্য বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হয়। যতক্ষণ না দাবি আদায় হচ্ছে ততক্ষণ পাঞ্জাব-সহ গোটা দেশে লড়াই চলবে। পাঞ্জাব থেকে সাফ জানালেন মোর্চার নেতৃবর্গ। ২/৬

পাঞ্জাব আর বাংলা স্বাধীনতার ইতিহাসের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, কৃষক আন্দোলন আবারও সে কথা স্মরণ করাল। ইনকিলাবের শপথে শুরু হল নতুন দিনের পথে কিষাণের জয়যাত্রা। লড়াই চলবে। ৩/৬

পাঞ্জাবের সভায় কৃষক-জনতার ভিড় কার্যত জনসমূদ্রের চেহারা নিয়েছিল। ৪/৬


পাঞ্জাবের বীর কিষাণদের মরণপণ লড়াই থামবে না, যতক্ষণ না এ দেশে কৃষকের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। বললেন ওঁরা। ৫/৬

গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবনের মতোই চণ্ডীগড়ে মোর্চার নেতৃত্ব রাজ্যপালের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এলেন। ৬/৬

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *