ছবিতে ‘রাজভবন অভিযান কর্মসূচি’: ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 2

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে গত ২৬ নভেম্বর গোটা দেশে ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। আমরা ফটো ফিচারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ঐতিহাসিক রাজভবন অভিযান কর্মসূচির ছবি ও সেই সংক্রান্ত তথ্যালাপ তুলে ধরছি। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ

ঝাড়খণ্ড

রাজভবন অভিযান কর্মসূচি থেকে লড়াইয়ের ডাক উঠলো ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। মোর্চার কর্মসূচিকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের জমায়েত থেকে উঠলো এমএসপি আইন প্রণয়নের, বনভূমি সংরক্ষণ আর জল-জমি-রক্ষা বিষয়ের। দাবি উঠলো কৃষক পেনশন আর বীমার উপযুক্ত ক্ষতিপুরণের।

বিহার

পাটনায় মোর্চার মিছিলের সূচনা থেকে শুরু করে জনসভা অবধি কৃষক-ক্ষেতমজুরদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

বিহার আস্তে আস্তে বিজেপিমুক্ত হতে চলেছে। তারপরেও গত ২৬ নভেম্বর রাজভবন অভিযান কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বিহারের হাজার হাজার কৃষক হুঁশিয়ারি দিলেন। পাটনার গান্ধি ময়দান থেকে মোর্চার নেতৃবর্গ বললেন, “তোমাদের আমরা চিনি। আমাদেরকেও এবার তোমরা চিনবে। যদি-না আমাদের দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি তোমরা পূরণ করো।”

কৃষক-জনতার মিছিল থেকে শুরু করে অবস্থান বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে উঠল পাটনা।

এমএসপি আইন চালু করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল বাতিলের মতো কৃষকদের একগুচ্ছ দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পাটনা।

পাটনার সভার পাশাপাশি বিহারের সীতামানিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে চললো কৃষক-জনতার বিক্ষোভ।

উত্তরপ্রদেশে

লখনৌ-এর রাজপথ দখল করেছিলেন মোর্চার নেতৃত্বে হাজার হাজার কৃষক।

লখনউ-এর মিছিলে ইউপির এআইকেএমএস কর্মীরা

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবর্গের বড় অংশের উপস্থিতি ছিল উত্তরপ্রদেশে। কিষাণ-ক্ষেতমজুর-সহ খেটে খাওয়া মানুষের হক আদায়ের লক্ষ্যে তাঁরা শপথ নিলেন। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাকেশ টিকায়েত ও হান্নান মোল্লা।

লখনউ-এ কৃষকদের অবস্থান।

রাজভবন অভিযান কর্মসূচিতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার প্রতিনিধি দলে হান্নান মোল্লা ও অন্যান্য নেতৃবর্গ।

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *