পূর্ব বর্ধমানে ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর কারণে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১৬ বিঘা ধানের জমি। এই ঘটনায় প্রবল হতাশার মুখে পড়েছেন চাষিরা। দুর্ঘটনাটি খণ্ডঘোষের ওয়াড়ি গ্ৰামে ঘটে। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হারু সাঁতরা, পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শেখ মইনুদ্দিন এবং খণ্ডঘোষ ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
কৃষকদের দাবি, হাজার অভিযোগ দায়ের করার পরেও নাড়া পোড়ানোর প্রথা কোনোভাবেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বর্ধমানের বহু গ্রামেই এখনও এই প্রথা চলে আসছে। কৃষি দফতর থেকে কঠোরভাবে এই নাড়া পোড়ানো প্রথার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও সেই আজ্ঞা অমান্য করা হচ্ছে। মেশিনে ধান কাটার পরেই তার অবশিষ্ট খড় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার ফলে প্রবল বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। এলাকার বহু কৃষক ঋণ নিয়ে তাঁদের কৃষিকাজ করেন। এই দুর্দশার কবল থেকে বেরোনোর জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন কৃষক ও গ্রামবাসীরা।
যদিও এ ব্যাপারে কৃষক সংগঠনগুলি এটিও স্মরণ করাতে চায় ফসলের বর্জ্য নিষ্কাশনের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবেই প্রশাসনের। প্রশাসন এ ব্যাপারে দায় এড়িয়ে যায় বলেই চাষিরা খড় পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রশাসন শুধু ফসলের বর্জ্য পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেই খালাস।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
পূর্ব বর্ধমানে জমির ধান পুড়ে ছাই, হতাশ চাষিরা

মতামত দিন