রাজ্যের কৃষি দফতরের বক্তব্য, বৃষ্টির কারণে মাটির তলায় জল জমার ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রাতের তাপমাত্রাও তেমন কমছে না, আর তাই ছত্রাকঘটিত চারা ধসা রোগের প্রকোপ বাড়ছে পেঁয়াজ চাষের বীজতলায়। যার ফলে পূর্ব বর্ধমানের পেঁয়াজ চাষিরা সঙ্কটের মুখোমুখি।
এই বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জায়গা জুড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় পেঁয়াজ চাষ হয়। অক্টোবরের শেষ থেকে পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়। কিন্তু এ বছর বীজতলাতেই চারা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পূর্ব বর্ধমানের চাষিদের। বীজতলার পাটকাঠির আস্তরণ সরিয়ে দেখা যাচ্ছে, পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নান্দাই-সহ দক্ষিণ দুর্গাপুর, ধাত্রীগ্রাম, নাগরগাছি, বেলকুলি, পিণ্ডিরা, বোয়ালিয়া, কুশডাঙা, রাহাতপুর, কেলনই-সহ বেশ কিছু এলাকার চাষিদের অভিযোগ।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, “পেঁয়াজের চারা মারা যাচ্ছে বলে কালনা, পূর্বস্থলী থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। যে সমস্ত জমিতে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, সেখানে রাসায়নিক ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।”
বীজতলা নষ্ট হয়ে পেঁয়াজ চাষে ক্ষতি, উদ্বিগ্ন কৃষকেরা

মতামত দিন