কাশ্মীরের আপেলচাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্রমশই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ওপর। একে তো আপেলের ব্যাপারে কোনো ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করেনি সরকার। দ্বিতীয়ত, হাইওয়েতে আপেলের ট্রাক আটকে রেখে, ফল পচিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে কাশ্মীরিদের। আপেল ইস্যুতে তাই উত্তপ্ত হচ্ছে কাশ্মীর।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীরের কাজিগুন্ড জাতীয় সড়কে অন্যান্য ফল চাষিদের সঙ্গে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল এক আপেল চাষি আক্ষেপের সুরে বলেন যে বছরের এই সময় সবচেয়ে প্রতীক্ষিত পণ্য ছিল আপেল। এই বছর তাঁদের আপেল দিল্লির আজাদপুর মান্ডিতে আবর্জনার স্তুপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আপেল বোঝাই ট্রাকগুলিকে মহাসড়কে বেশ কয়েক দিন সেগুলিকে আটকে রেখে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন বাজারের উদ্দেশ্যে কাশ্মীরি আপেল বহনকারী ৮০০০টিরও বেশি ট্রাককে হাইওয়েতে অগ্রসর হতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সোপোরের ফলের মান্ডি কাশ্মীরের বৃহত্তম ফলের মান্ডিগুলির মধ্যে একটি। যেখানে শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরেই ৫০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কিসান তেহরিকের জম্মু কাশ্মীরের জেলা সভাপতি জহুর আহমেদের বক্তব্য, কাশ্মীর উপত্যকায় আপেলের আশার অতিরিক্ত ফলন হওয়া সত্ত্বেও, মূল্য হ্রাস এবং ট্রাক থামানোর কারণে আপেলচাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷
সূত্র – দ্য কাশ্মীরিয়াৎ
সরকারি উদাসীনতায় এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে কাশ্মীরের আপেল ব্যবসায়ীদের

মতামত দিন