কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ৩টি কালা কৃষি কানুন বাতিল-সহ যে আট দফা দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেখেছে, তার মধ্যে অন্যতম এমএসপি-র প্রচলন। কিন্তু কৃষক-বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত কৃষকদের দাবিগুলির বিষয়ে উদাসীন থেকেছে। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ এমএসপি-র প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেন। শুক্রবার ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রুরাল ভয়েস আয়োজিত একটি কৃষি কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) স্থিতিশীল মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবে সর্বোত্তম হার সর্বদা দিতে পারে না। যা শুধুমাত্র বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে”।
তবে তিনি এ দিনের বক্তৃতায় কৃষকদের সতর্ক করে বলেন যে কৃষকরা যেন অতিমাত্রায় এমএসপি-র ওপর নির্ভর না করে ফেলেন। কারণ বাজারের থেকেও কৃষকদের লাভ ওঠানোর সুযোগ নেওয়া উচিত। তিনি আরও দাবি করেন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নির্ধারিত কমিটি এমএসপি ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার উপায় খুঁজছে। এটি অন্যান্য বিষয়গুলিও অন্বেষণ করবে, যার মধ্যে কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশনকে (CACP) আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া, যা ফসলের এমএসপি নির্ধারণ করে।
সূত্র- দ্য ইকোনমিক টাইমস
এমএসপি-র প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেন নীতি আয়োগের সদস্য

মতামত দিন