‘জীবন দেবো, তবু জমি দেবো না’। আজমগড়ে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে এটাই এখন কৃষকদের স্লোগান। বিমানবন্দরের প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্যে চাষিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে চলছে যোগী সরকারের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। তার বিরুদ্ধেই আন্দোলন জোরালো আকার নিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
কৃষিজীবীদের জীবন-জীবিকার লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত বড় অংশের সমাজকর্মীদের মতে, ভারতের ‘উন্নয়ন’-এর যে রূপরেখা বর্তমান কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার তৈরি করেছে তা আসলে প্রান্তিক মানুষের পরিপন্থী। আজমগড়ের স্থানীয় কৃষকেরা মূলত দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ। আর তাঁদের ওপরেই নেমে এসেছে তথাকথিত উন্নয়নের খাঁড়া।
আজমগড়ে জামুয়া নামের একটি জায়গায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে হিন্দুত্ববাদী যোগী সরকার। এই ব্যাপারে ৫৫ বছর বয়সী কৃষক ফুলমতির জিজ্ঞাসা, “আমার মতো হাজার হাজার মানুষ জামুয়া থেকে দূরে থাকার কথা কল্পনাও করতে পারে না। আমরা কোথায় যাব? আমরা কি করবো?” তিনি প্রতিবাদকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, “আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে, খিদেও কমেছে। দিন রাত আমাদের একটাই চিন্তা, কীভাবে বাঁচানো যাবে আমাদের জমি, আমাদের জীবন-জীবিকা”। তিনি বলেন, “সরকারের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণায় আমাদের এত বছর যে সুখ ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে।”
এখন দেখার, বিত্তশালীদের পক্ষে এই ‘উন্নয়ন’ প্রকল্পের সমান্তরালে প্রান্তিক চাষিদের প্রতিবাদ উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে জনমত তৈরি করতে পারে কি না। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্র- নিউজ ক্লিক
উত্তরপ্রদেশে কৃষিজমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কৃষকেরা

মতামত দিন