প্রবল বৃষ্টিতে পাঞ্জাবে কৃষকের মাথায় হাত

এখনও পর্যন্ত তাদের আগের ফসল নষ্টের জন্য পাঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে কোনোরক আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায়, সে রাজ্যের কৃষকদের চোখে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে প্লাবিত পাঞ্জাবের খেত-খামার। মুনাকের কৃষক সুখবিন্দর সিং-এর কথায়, “২০২১ সালে, বৃষ্টির জলে আমার পাঁচ একর জমির ধানের ফসল নষ্ট হয়েছিল, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া সত্ত্বেও, আমি এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনোরকম আর্থিক সাহায্য পাইনি। এরপর গত তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে আমাদের ফসলের খেতগুলো ডুবে গেছে।”
উল্লেখ্য, গত বছর পাঞ্জাবের ৪৩টি গ্রামের ৫ হাজার একরেরও বেশি জমিতে বৃষ্টির জল জমে থাকার কারণে ধান ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলির তালিকায় রয়েছে, মাকরাউদ সাহেব, মান্ডভি, চান্দু, বুশেহরা, শেরগড়, শাহপুর থেদি, নওয়াগাঁও, বেনারসি, আন্দানা, চাঠা গোবিন্দপুরা, ফুলাদ, হামিরগড়, ভুন্ডার ভাইনি, সুরজন ভাইনি, সালেমগড়, মুনক ইত্যাদি। কৃষক সংগঠনগুলো এই ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই ব্যাপারে কৃষকদের তরফে পাঞ্জাব সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্ত্রীর অফিসের সামনে খড়ের স্তূপ করার হুমকি পাঞ্জাবের কৃষকদের

গত ২৪ সেপ্টেম্বর, কীর্তি কিষান ইউনিয়নের (কেকেইউ) সদস্যরা সাফ জানিয়েছে যদি পাঞ্জাব সরকার ক্ষেতে ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধেপদক্ষেপ করা বন্ধ না করে, তাহলে তারা সে রাজ্যে মন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়ালের অফিসের বাইরে খড়ের স্তূপ তৈররি করবে। আগামী ৫ অক্টোবর আজনালায় গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত এবং এনআরআই বিষয়ক ছাড়াও কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী মন কুলদীপ সিং ধালিওয়ালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনটি।
সূত্র- ওপিএল ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষি নীতি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ

আরটিআইতে উঠ্রে এসেছে গত বছর ১২২ জন কৃষক পশ্চিম মেদিনীপুরে আত্মহত্যা করেছেন। এই তথ্য অস্বীকার করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই ইস্যুতে রাজনীতি করতে মাঠে নেমে পড়্রেছে গেরুয়া বাহিনী। এদিকে গোটা দেশেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধীরা। তাই রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শাসক দল যতই অভিযোগ করুক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগে সরব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুরে সভা করতে গিয়ে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের কিষান খেতমজুর কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের নীতি কৃষক ও খেতমজুরদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। দেশের কৃষকদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী নীতি দেশের কৃষকদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। একদিকে চলছে কর্পোরেট তোষণ, আর অন্যদিকে কৃষকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। যার ফলে দেশের কৃষকরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন।’
যদিও রাজ্য এবং কেন্দ্র- এই দুই পক্ষের কৃষকদের ব্যাপারে অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর কৃষক সংগঠনগুলো। ‘জয় কিষাণ’ আন্দোলন-সহ একাধিক কৃষক সংগঠন এমএসপি নিয়ে টালবাহানা, কৃষিতে বানিজ্যিক সংস্থাগুলোর খবরাদারির পিছনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ মদত-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই সরকারের বিরুদ্ধেই সমালোচনায় সরব রয়েছে।
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ২৪ সেপ্টেম্বর


খুব ভালো লাগছে তথ্যগুলো প্রতিদিন পড়তে।