বলাগড়ে গরুকে শসা খাইয়ে অভিনব প্রতিবাদ কৃষকদের

উৎসবের মরশুমে শশার বাজারদর অগ্নিমূল্য কিন্তু কৃষকরা হাতে পাচ্ছেন নামমাত্র বিক্রয়মূল্যের অর্থ ৷ এর প্রতিবাদে হুগলি জেলার বলাগড়ের মাজদিয়াতে বৃহস্পতিবার শশা চাষিরা প্রতিবাদে সামিল হলেন। নিজেদের উৎপাদিত শসা গরুকে খাইয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদমুখর হলেন কৃষকেরা৷
একদিকে সারের দাম আকাশছোঁয়া, অন্যদিকে ৩-৫ টাকা কেজি দরে শসা বেচতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এমন চলতে থাকলে আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প পথ খোলা থাকবে না, এমনটাই জানাচ্ছেন বলাগড়ের শসাচাষিরা। তাঁদের বক্তব্য, চাষের খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
যদিও কৃষকদের ন্যায্য দাম না পাওয়ার জন্য শশার অতিরিক্ত ফলনই দায়ী বলে মনে করছে রাজ্যের কৃষি দফতর, এ কথা জানিয়েছেন বলাগড় ব্লকের এডিও সোমনাথ পাল । তাঁর মতে, উৎপাদন ২-৩ গুণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত দাম কম মিলছে।
সূত্র- এবিপি লাইভ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হিন্দু মঠে ফসল দান মুসলিম কৃষকের, সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলার মুসলিম কৃষক নিজের উৎপাদিত প্রথম ফসল দান করলেন হিন্দু ধর্মের গবি মঠে। কৃষকের নাম মেহেবুব পাশা। নিজের জমিতে উৎপাদিত ১৬ কুইন্টাল বাজরা দান করেছেন। তাঁর দান করা ফসলের আনুমানিক বাজারদর মূল্য ৩০ হাজার টাকা। নিরন্ন মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতেই তাঁর এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
এই কৃষক চেয়েছিলেন তাঁর উৎপাদিত প্রথম ফসলের মাধ্যমে নিরন্ন মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতে৷ কিন্তু তিনি বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে এই কাজ করবেন। এরপরই, স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আনন্দ আক্কির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ওই ব্যবসায়ীই তাঁকে গবি মঠের সন্ধান দিয়ে জানান, এই মঠ দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিচ্ছে৷ এরপর সেই মঠে গিয়ে কৃষক তাঁর উৎপাদিত ফসল দান করেন। জানা গিয়েছে, মঠের তরফে এই দান গ্রহণ করা হয়েছে এবং ওই চাষিকে সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
সূত্র – ই টিভি ভারত
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সারের জোগান কম, ইন্দোর-কোটা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চাষিদের বিক্ষোভ

সারের জোগান কম থাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে – এই অভিযোগে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের আগারে ইন্দোর-কোটা জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন কৃষকেরা৷
প্রতিবাদী কৃষকেরা দাবি করেন যে ওই অঞ্চলে সারের জোগান কম ছিল এবং সরকারি অধিকর্তাদের সে ব্যাপারে কোনও নজর ছিল না।
এই অবরোধে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ বাহিনী এবং প্রশাসনিক কর্তারা৷ তহসিলদার সঞ্জীব সাক্সেনা ও কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কৃষকদের আশ্বস্ত করেন৷ সারের জন্যে টোকেনও বিলি করা হয়৷ এরপরেই কয়েক ঘণ্টার অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন কৃষকেরা।
সূত্র- দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
যোগী রাজ্যের পুলিশের গুলিতে নিহত উত্তরাখণ্ডের কৃষকের স্ত্রী

বিজেপির জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-যুব, মহিলা-সহ সাধারণ মানুষ সরব হয়েছেন৷ ইউপির যোগী সরকার হিন্দুত্ববাদের পোস্টার বয় হিসেবে গেরুয়া শিবিরে জনপ্রিয় হলেও তাঁর শাসন যে জনবিরোধী, তেমন কথা শোনা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে শুরু করে বড় অংশের সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে৷ কিন্তু এবার খোদ উত্তরপ্রদেশের প্বার্শবর্তী উত্তরাখণ্ড থেকেও যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের পাশাপাশি বিজেপি শিবিরও যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক কৃষকের ২৮ বছর বয়সী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইউপি পুলিশ৷ এরপরেই যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। পাশাপাশি যোগীর বিরুদ্ধে সরব উত্তরাখণ্ডের বিজেপি৷
উত্তরাখণ্ডের কুন্দায় গত বৃহস্পতিবার অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে মহম্মদ জাফর নামে এক খুনি লুকিয়ে থাকার তথ্য পেয়েই এই অভিযান ছিল বলে দাবি ইউপি পুলিশের। মাফিয়া মহম্মদ জাফর উত্তরাখণ্ডের বিজেপি ঘনিষ্ট এক কৃষক গুরতাজ সিং বুল্লারের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। তারা গুরতাজ সিং-এর বাড়ি ঘিরে ফেলে গুলি চালাতে থাকে। আর তার ফলেই বিজেপি-ঘনিষ্ঠ কৃষক নেতার স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গোটা ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। স্থানীয় মানুষ দফায় দফায় অবরোধ শুরু করেন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের ফসল চলে যাচ্ছে হাতির পেটে, অবস্থান বিক্ষোভ কৃষকদের

গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে হাতির হানায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। উত্তরবঙ্গে এই অঞ্চলে প্রতিবছরেই হাতির হানা নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু এ বছর ফসল হতে না হতেই হাতির হানায় প্রায় সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে৷
এদিন ভলকা রেঞ্জের বারবিশা বিট অফিসে ক্ষুব্ধ চাষিরা এই নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁদের দাবি, বারবার জানানো সত্ত্বেও বনকর্মীরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাঁদের আরও অভিযোগ, সবেমাত্র ধানের শিস গজানো শুরু হওয়ার মধ্যেই বুনো হাতিদের তাণ্ডবে তাঁরা অস্থির হয়ে পড়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বারবিশার বিট অফিসার বিজয় সার্কি বলেন যে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ বুনো হাতির তাণ্ডব আগামী সাতদিনের মধ্যে ঠেকানো না গেলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন।
সুত্র – টিভি নাইন বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরও খবর
সুপুরি আমদানির বিরুদ্ধে কর্ণাটকে কৃষক বিক্ষোভ চরমে

বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী নীতি নতুন নয়। সেটিরই আরেকটি সংযোজন কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যূনতম আমদানি মূল্য ও আমদানি নীতির তোয়াক্কা না করেই ভুটান থেকে সুপুরি আমদানির সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্ণাটকের শিভামোজ্ঞায় সুপুরি চাষিরা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কর্ণাটকের শিভামোজ্ঞার সুপুরি চাষিরা একটি প্রতিবাদে শামিল হন। কর্ণাটক রাজ্য রায়থা সংঘের ব্যানারে তাঁরা বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলা প্রশাসকের অফিস পর্যন্ত মিছিল করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে সেই মিছিলে৷
কেআরআরএস-এর সভাপতি এইচ আর বাসভারাজাপ্পা এই গোটা বিষয়ে বলেন, দিল্লির সরকার ভুটান থেকে ১৭০০০ টন সুপুরি আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ক্রমশ এর পরিমাণ ৫০,০০০ টনে বাড়তে পারে। শেষ পর্যন্ত এর প্রভাব পড়বে স্থানীয় বাজারে। তিনি বলেন, এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্যের চাহিদা কমবে৷
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া আইনজীবী এবং সমাজকর্মী কে পি শ্রীপাল বলেন, সুপুরি চাষিরা চাষজমিতে রোগ-সংক্রমণের কারণে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন যা সুপুরি বাগানগুলিকে প্রভাবিত করেছে৷ তিনি জনপ্রতিনিধিদের কৃষক সম্প্রদায়ের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আহ্বান জানান। এই বিষয়ে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন।
সূত্র- দ্য হিন্দুসূত্র- টিভি৯ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের প্রতিরোধ

মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় প্রতিবাদ অবস্থান শুরু করলেন কৃষকেরা। শুক্রবার থেকে এই অবস্থান শুরু হয়েছে৷ দেওয়াস জেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও বহু কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ সরকার কৃষকদের জমি ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে। এরই প্রতিবাদে দেওয়াস সংলগ্ন নাগদা, রসুলপুর, লোহার পিপলিয়া, আমোনা, বিনজানা ছাড়াও অন্যান্য আরো গ্রামের কৃষকেরা প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন৷ চলছে অবস্থান৷ এইসব গ্রামের চাষিরা ট্র্যাক্টর নিয়ে অবস্থানে শামিল হয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য দেওয়াস সংলগ্ন ৩২টি গ্রামে শিল্পস্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনের পরিকল্পনা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কৃষকেরা এক বাক্যে জানিয়েছেন, জান দেওয়া যাবে কিন্তু জমিন ছাড়া হবেন না। এই জমি অধিগ্রহনকে চিন্তা-চেতনা কেলেঙ্কারী বলে অভিহিত করেছেন কৃষকেরা।
গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসের বাজারে ঐ কৃষক অবস্থানের পাশাপাশি একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়৷ চলে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে গণসাক্ষর সংগ্রহের কাজ৷
সূত্র – দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ১৪ অক্টোবর

