জয় কিষাণ: ২১ অক্টোবর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 8

কালোবাজারি রুখতে পান্ডুয়ার এডিও কার্যালয়ে অভিযান ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর হুগলি জেলা কমিটির

আলু বীজ ও সারের কালোবাজারি প্রতিহত করার দাবিতে ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর নেতৃত্বে হুগলি জেলার পান্ডুয়ার কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে দাবিসনদপত্র পেশ করলেন কৃষকের। পাশাপাশি, আলু বীজ ও সারের এমআরপি নির্ধারণ, ফসলবিমার হার কমানো-সহ একগুচ্ছ দাবিতেকে সামনে রেখে পেশ করা হলো দাবিপত্র। রবিবার দুপুরে পান্ডুয়ার খন্ন্যান জি টি রোড চৌমাথা থেকে কৃষকেরা মিছিল করে কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়ে গিয়ে দাবিসনদপত্র পেশ করলেন ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর হুগলি জেলা কমিটির নেতৃত্বে৷ এই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হুগলির পান্ডুয়ায় আলু বীজ ও সারের কালোবাজারি চলছে৷ সার ও বীজ কোনোরকম এমআরপি ছাড়াই ইচ্ছেমতো চড়া দামে চাষিদের বিক্রি করা হচ্ছে৷ সারের সঙ্গে ট্যাগিং করে সারের আনুষাঙ্গিক হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় পণ্য৷ সেগুলোও কৃষকদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এছাড়াও চড়া হারে ফসল বিমার অর্থ নেওয়া হচ্ছে কৃষকদের থেকে। চলছে কৃষককে লুট করার কাজ৷

‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর দাবি, কালোবাজারি যাতে প্রতিহত হয়, অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যাতে সারের সঙ্গে কৃষককে কিনতে বাধ্য না করা হয়, বীজ ও সারের নির্দিষ্ট এমআরপি যাতে প্রশাসনিকভাবে বেঁধে দেওয়া হয় এবং ফসলবিমার নামে চড়া হারে কৃষকের থেকে টাকা কেটে নেওয়া বন্ধ করে ন্যায্য হারে ফসল বিমার অঙ্ক ধার্য হয় আর তার ভিত্তিতে কৃষকেরা যাতে উপযুক্ত ক্লেইম পেতে পারেন — সেই বিষয়গুলিকে নিশ্চিত করতে হবে।

এই সমস্ত দাবির পাশাপাশি ফসল কাটার যন্ত্রের সঠিক মূল্য নির্ধারণ, সকল ফসলের উপযুক্ত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা এবং কৃষিকাজের পাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুতের মাশুল কম করার মতো আরও বেশ কিছু দাবির কথা দাবিপত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল৷

এডিও’র তরফে জানানো হয়েছে কালীপুজোর পরেই ডিলারদের সঙ্গে সার ও বীজের কালোবাজারি ও এমআরপি’র মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনিকভাবে বৈঠক করা হতে পারে৷ বাকি দাবিগুলোর ব্যাপারেও সমাধানসূত্রে পৌঁছানোরও আন্তরিক চেষ্টা চালানো হবে বলেও এডিও’র তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সুশান্ত কাঁড়ি এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কৃষকদের এই ন্যায্য দাবিপূরণ না হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসবেন কৃষকেরা। পাশাপাশি শুরু হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাপক আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।”

সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে সিপিএমকে আক্রমণ মমতার, পাল্টা তৃণমূলকে ‘কৃষক বিরোধী’ আখ্যা হান্নান মোল্লার

আবারও সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে এনে সিপিএমকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, কৃষকদের স্বার্থের কথা না ভেবে পুঁজিপতি টাটার স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই সাবেক বামফ্রন্ট সরকার শিল্পায়নের স্লোগানকে সামনে সিঙ্গুরের কৃষিজমি বলপূর্বক অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল। এমনকি তাপসী মালিককে সিপিএম খুন করেছিল । সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতে দলীয় একটি কর্মসূচিতে এমনটাই বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তাঁর এই বক্তব্যের পরেই কৃষি ও কৃষক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রবীণ সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক এবং সিপিএমের প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লা।

‘জয় কিষাণ’ ডেস্ককে দেওয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মমতা কৃষকবন্ধু তো নয়ই, বরং কৃষক বিরোধী”। সিঙ্গুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “সিঙ্গুরের ইস্যুটা কৃষক সম্পর্কিত ইস্যু ছিল না। ওটা রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। কৃষকের ইস্যু বলতে বোঝায় কৃষকের ফসলের ন্যায্য দামের কথা, কৃষি ঋণের কথা, কালোবাজারির বিরুদ্ধাচারণে কথা, ভূমিসংস্কারের কথা। সিঙ্গুর আন্দোলন এসব কিছুর জন্যে হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান করা যেত, তা না করে মমতা শিল্পায়নের বিরোধিতা করেছে”। তাপসী মালিক প্রসঙ্গে হান্নান মোল্লার বক্তব্য,”এসব বিষয়ে ইতিমধ্যে নানা কিছু সামনে এসেছে। মমতা যে মিথ্যেবাদী সেটা প্রমাণিত হয়েছে”। রাজ্যে এখনও কৃষকের হাল খারাপ কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ এই কৃষক নেতা। কেন এ রাজ্যেও কৃষককে আত্মঘাতী হতে হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, গোটা দেশে এবং এ রাজ্যে বামপন্থীরা কীভাবে কৃষকের দাবিদাওয়ার পাশে দাঁড়াচ্ছে। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকার কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতি কৃষক-সহ খেটে খাওয়া মানুষের রুটি-রুজি-জীবন-জীবিকার বিরোধী।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, দুশ্চিন্তায় বাংলার ধান-চাষিরা

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, একটি ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে শীঘ্রই আছড়ে পড়তে চলেছে। যার জেরে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের এমন আগাম সতর্কতায় বাংলার ধান চাষিরা চিন্তায়। এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে চাষ শুরু হতে এমনিই দেরি হয়েছে। এখন বেশিরভাগ জমিতেই ধানের শীষ পুষ্ট হতে শুরু করেছে, কিন্তু ফসল কতটা গোলায় তোলা যাবে সে ব্যপারে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে , সম্প্রতি যে দুর্যোগের পূর্বাভাস মিলেছে বঙ্গোপসাগরে, তা আছড়ে পড়তে পারে কালীপুজোর পর দিনই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কতটা অংশে এর ধাক্কা লাগবে, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও এর ফলে ফলন আরও কমতে পারে, এমন আশঙ্কা এখন থেকেই করতে শুরু করেছেন রাজ্যের কৃষকেরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে চাষিদের কী করণীয়, সে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারও শুরু করেছে কৃষি দফতর। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস পেয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, পাত্রসায়রে অনেক কৃষক আগাম ধান কাটা শুরু করেছেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে খবর

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ১৩ দিনে পড়ল কৃষক অবস্থান

অতিবৃষ্টি এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণে ফসলের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলায় মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানের বাসভবনের সামনে কৃষক অবস্থান এখনও অব্যাহত। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (একতা উগ্রাহন) ব্যানারে কৃষকদের এই অবস্থান আজ ১৩ দিনে পড়ল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পাতিয়ালা রোডের কাছে কৃষকরা ৯ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভে নেমেছিলেন। আপ সরকার তাঁদের দাবি না মানলে বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সূত্র- নিউজ ১৮

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বেশি লাভের আশায় পাঞ্জাবের কৃষকদের হরিয়ানার বাজারে ধান বিক্রি

ফসলের ভালো দাম পাওয়ার আশায় পাঞ্জাবের ভাতিন্দা, মানসা এবং সাঙ্গরুর  ধান চাষিরা হরিয়ানার বাজারে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন । তবে এর ফলে আড়তদার, শ্রমিক এবং চাল কলের মালিকেরা বিপাকে পড়েছেন। যদিও পাঞ্জাবের রাজ্য সরকারের অভিযোগ, এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে বাসমতী- ১১২১ জাতের চাল প্রতি কুইন্টাল ৩৮০০-৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷। অন্যদিকে, হরিয়ানার ফতেহাবাদ, রাতিয়া, তোহানা এবং পঞ্চকুলার বাজারে এই জাতের ধানগুলি প্রতি কুইন্টাল ৪৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় হরিয়ানার বাজারে তাঁদের ফসল বিক্রি করছেন। এতে রাতের ঘুম উড়ে গেছে আড়তদারদের। ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিস্ট্রিক্ট আড়তিয়া অ্যাসোসিয়েশন মানসার সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অন্ধ্রে লাগাতার কৃষকের আত্মহত্যা, প্রতিবাদে জনসেনার সঙ্গে যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচি টিডিপির

২০১৯ সাল থেকে থেকে ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ৩০০০-এর বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এমনটাই অভিযোগ অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর। কৃষকের ওপর বঞ্চনা-নিপীড়নের প্রতিবাদে এবার পবন কল্যাণের জনসেনা দলের সঙ্গে যৌথ প্রতিবাদে সামিল হল চন্দ্রবাবুর দল তেলেগু দেশম পার্টি বা টিডিপি। বুধবার এই যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিডিপি এবং জনসেনা কর্মীরা যৌথ মোটরসাইকেল মিছিল বের করেছিল। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আগামী দিনে দুই দলের জোটের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পালনাডু জেলায় গিয়ে বলেন, “প্রত্যেক কৃষক ইতিমধ্যে প্রতি একর জমিতে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করেছে এবং ভারী অকাল বর্ষণের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সে বিষয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাথা ঘামাচ্ছেন না”।

সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকের থেকে লুট: ২০ অক্টোবর ২০২২

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *