কৃষক-শ্রমজীবীর স্রোত দেখবে রাজধানী

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৫ এপ্রিল দেশের শ্রমজীবী জনতার সম্মিলিত অসন্তোষে আরও একবার কেঁপে উঠতে চলেছে রাজধানী দিল্লির রাজপথ। মোদী সরকারের সর্বনাশা নীতির বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিতে ওইদিন রাজধানীর বুকে সুবিশাল জঙ্গী সমাবেশ করবেন এদেশের শ্রমিক-কৃষক এবং খেতমজুররা। নয়া উদারনীতি বাস্তবায়নে শাসকগোষ্ঠী যেসব আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, তা প্রতিরোধের শপথেই হবে এই ‘মজদুর-কিষান সঙ্ঘর্ষ সমাবেশ’।
সমাবেশের ডাক দিয়েছে সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (সিআইটিইউ), সারা ভারত কৃষকসভা (এআইকেএস) এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন (এআইএডবলিউএ)। তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পরে দেশে সম্পদ উৎপাদনকারী শ্রেণিগুলির সর্ববৃহৎ সমাবেশ দেখতে চলেছে রাজধানী।
কৃষকের জমি কেটে রাস্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে রাস্তা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকদের জমি কেটে মাটিও তোলা হচ্ছে। পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান সড়ক মেরামত হচ্ছে না। উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের এই বিচিত্র ছবি ধরা পড়লো পোলবা-দাদপুর ব্লকের মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইষ্টা গ্রামে।সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ১২০০০ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছেন। রাস্তার বেহাল ছবি সরকারের উন্নয়নের ঢক্কানিনাদের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইষ্টা গ্রাম থেকে চন্দনপুর স্টেশন যাওয়ার এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই কিমি এই পথের অবস্থা খুব খারাপ। কোথাও মোরাম ও ইট উঠে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। বর্ষাকালে জল কাদায় একাকার হয়। রাস্তার সংস্কার হয়নি ১১ বছর।
ঘটমপুর মৌজার শেষ প্রান্ত কাকনান থেকে পোড়াবাজার পর্যন্ত এই রাস্তা সম্প্রতি ঢালাই হলেও, পোড়াবাজার থেকে চন্দনপুর স্টেশন সংলগ্ন ২ কিমি পথের কোনও সংস্কার হয়নি। এখানে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে কিন্তু রাস্তার যা দশা অ্যাম্বুলেন্স যাবে না। ২০১০ সালে বামফ্রন্ট আমলে রাস্তায় মোরাম ফেলে মেরামত করা হয়েছিল। ২০১১র পালাবদলের পর থেকেই আর সারানো হয়নি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান আমাদের মধ্যে অনেকের জমি অধিগ্রহণ না করেই বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলা হয়েছে। শুধুই তোলাই হচ্ছে না বকলমে মাটি পাচার চলছে। রাস্তা হোক তাতে কোনও আপত্তি নেই আমাদের তবে আমাদের কৃষকদের পেটে কেন লাথি মারা হবে?
দখল জমি উদ্ধারে ব্যর্থ কৃষক কবজি কেটে আত্মঘাতী

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারের মামুলি প্রচার নির্ভর সাধারণ মানুষের সমস্যা সুরাহার সরকারি কর্মসূচি যে নিছক তামাসা হয়ে গেছে তা জীবন দিয়েই প্রমাণ করে গেলেন প্রবীণ কৃষক সুশীল ত্যাগী।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা সুরাহায় বিশাল সমারোহ করে চালু করেছে ‘সম্পূর্ণ সমাধান দিবস’। শনিবার মন্ত্রী, নেতা, জেলা শাসক ও বড় বড় পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে শুরু হয়েছে সমাধান দিবসে জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তির সভা। প্রবীণ কৃষক ত্যাগী সেই সভায় ঢুকে পড়ে তার জমি দখলের হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ অভিযোগ চিঠি লিখে সকলের সামনেই আত্মহত্যার লক্ষ্যে তিনি নিজের কবজির শিরা কেটে ফেললেন। রক্তে ভিজিয়ে দিলেন সেই অভিযোগ পত্র। সকলকে হতবাক করেই টেবিলের সামনেই ঢলে পড়লেন। দ্রুত তাঁকে প্রথমে মোদী নগরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থার অবনতি ঘটায় মীরাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফর নগরের ঘটনা। ত্যাগীর মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
দখল হওয়া চাষের জমি উদ্ধার করলেন কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: বহুদিন ধরেই তাঁরা এই জমিতে চাষ করছেন। বনাঞ্চলের জমি বলে সেই জমি ‘দখলমুক্ত’ করার নামে কৃষকদের কেড়ে নিতে নেমেছে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। জমির পাশে গর্ত খুঁড়ে সীমান টেনে, সেই চাষের জমি দখল করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার বনাঞ্চল ঘেরা টুমকুর জেলার গঙ্গাইয়ানাপালিয়া, চেলুর হাবলি এলাকা জুড়েই ভূমিহীন কৃষকরা নেমেছিলেন জমির অধিকার ফের কায়েম করতে। জমি দখলে বন বিভাগের কৃষক উচ্ছেদ রুখে দিয়েছেন কৃষকরা। সরকার বাধ্য হয়েছে কৃষকের জমি দখল অভিযান বন্ধ করতে।
ভূমিহীন কৃষকদের জমি আদায়ের এই লড়াই সংগঠিত করছে সারা ভারত কৃষকসভা অনুমোদিত কর্ণাটক প্রান্থ রায়তা সঙ্ঘ। ভূমিহীন কৃষকদের জমি . অধিকার রক্ষায় আন্দোলন সফল করায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে সারা ভারত কৃষকসভা।
বিঘার পর বিঘা নষ্ট হচ্ছে তিল, ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে চাষিরা

আবহাওয়ার খামখেয়ালির জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে তিল চাষিরা। হুগলির আরামবাগ মহাকুমায় বিভিন্ন জায়গার তিল চাষ করেছিলেন কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি জেরে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে তিল লাগালেও তিল গাছ না বেরিয়ে আস্তে আস্তে মারা যাচ্ছে। আলু তোলার পরেই তিল চাষ করে চাষিরা।
বিঘার পর বিঘা জমিতে তিল লাগালেও অসময়ে ঝড় বৃষ্টির জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা। বিভিন্ন এলাকার চাষিরা হতাশার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, এভাবে যদি ফসল নষ্ট হয় কিভাবে সংসার চালবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না চাষি মহল।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন