জয় কিষাণ: ৭ ডিসেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 5

ই-কেওয়াইসিতে ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত প্রায় ৬.৬৫ লক্ষ কৃষক

ই-কেওয়াইসি পরিষেবার ত্রুটির কারণে প্রায় ৬.৬৫ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলেন। কৃষকদের এই দুর্দশার কারণ হিসাবে মূলত কৃষি বিভাগের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ই-কেওয়াইসি নিয়মগুলি আপডেট করার প্রক্রিয়াটিতে কৃষকরা শুধু তাঁদের আধার এবং মোবাইল ফোন নম্বর প্রদান করলেই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে কৃষকদের প্রতি চার মাসে তিনটি সমান কিস্তিতে প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে এই সুবিধা চালু করা হলেও শুধুমাত্র ৩২.৭২ লক্ষ কৃষক এই সুবিধা পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ৩৯,৩৮,৪৩২ জন কৃষক এই প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে ই-কেওয়াইসি আপডেট না করার কারণে প্রায় ৬.৬৫ লক্ষ কৃষক ১৩৩ কোটি টাকা হারিয়েছেন। সরকারি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে ৬০ শতাংশেরও কম কৃষক তাঁদের ই-কেওয়াইসি আপডেট করেছেন। সম্প্রতি ১০ দিনেরও কম সময় বাকি থাকায় লক্ষ লক্ষ কৃষক আবার এই সুবিধা হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র- ডেকান ক্রনিকল

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে কোয়েম্বাটুরে চাষিদের বিক্ষোভ

তামিলনাডু রাজ্য সরকার সম্প্রতি আনুর এবং মেট্টুপালয়ম তালুকে শিল্প উদ্যান স্থাপনের জন্য ৩৭৩১.৬  একর জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি করেছে। সোমবার তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলার কয়েকশ কৃষক কোয়েম্বাটুর সিটির পুলিয়াকুলামের মুন্ডি বিনয়গর মন্দিরের কাছে একটি বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছিলেন। কৃষকরা অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার প্রকল্পটি বাতিল করার দিকে এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।

সংবাদ সূত্রের খবর অনুযায়ী, তামিলনাডুর রাজ্য সভাপতি ভিভাসায়িগল সাঙ্গম টি বেণুগোপাল বলেন, “কৃষকরা জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিধায়ক, সংসদ সদস্য এবং তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনায় তামিলনাডু সরকার অনড়।” সোমবার প্রতিবাদী কৃষকরা পদযাত্রা করে ৩২ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন এবং সেদিন সকালে আন্নুরের মান্নেস্বরর মন্দিরে প্রার্থনা করার পরে সমাবেশ শুরু করেন।

সূত্র- দ্য নিউজ মিনিট

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সাঙ্গুয়েমে চিনি কারখানার দাবিতে আখ চাষিদের বৈঠক

গোয়া সরকার যদি সঞ্জীবনী চিনির কারখানাটি ইথানল প্ল্যান্টের সঙ্গে শুরু করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাঁরা বিক্ষোভ করবেন বলে সাফ জানালেন সাঙ্গুয়েমের আখ চাষিরা। রবিবার গোয়ার ওয়াদেমে একটি বৈঠকে গোয়া সরকার কৃষকদের অসম্মান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আখ চাষিরা৷ তাঁদের সাফ বক্তব্য, গোয়া সরকার যদি প্রতিশ্রুতিপূরণ না করে, সেক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন ঐক্যবদ্ধ আখ চাষিরা৷

একজন প্রবীণ কৃষক সাগুন গাঁওকার বলেন, “দু’বছর আগে কৃষকরা যখন সাঙ্গুয়েমে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন সরকার পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী ফসলের ওপর কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই সময়ে, সরকার সঞ্জীবনী চিনি কারখানাটি পুনরায় চালু করার এবং আপাতত কারখানা প্রাঙ্গণে একটি ইথানল প্ল্যান্ট স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে ইথানল প্ল্যান্ট স্থাপন বা সঞ্জীবনী চিনি কারখানাটি পুনর্নির্মাণের জন্য সরকার কোনও প্রচেষ্টা চালায়নি।”

কৃষকদের আশঙ্কা, সরকার অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে সঞ্জীবনী চিনি কারখানার জমি হস্তান্তরিত করে চিরতরে কারখানা বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এই ব্যাপারে একজন আখ চাষির বক্তব্য, “আমরা সঞ্জীবনী চিনি কারখানার জমিকে কোনো অবস্থাতেই অধিগ্রহণ করতে দেব না৷

সূত্র- দ্য গোয়ান

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তামিলনাডুতে সেচ ট্যাঙ্ক থেকে বেআইনিভাবে জল নিতে যাওয়ার অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

তামিলনাডুর ‘মারুথানি কুট্টম ট্যাঙ্ক’ থেকে জল নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে থুথুকুডি ইউনিয়নের বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে সরব সেরভাইকারনমদম পঞ্চায়েতের শিবগ্নাপুরমের কৃষকরা। সোমবার তাঁরা জেলা কালেক্টরের কাছে এই বিষয়েও একটি পিটিশন জমা করেন।

এই পিটিশন অনুসারে জানা যায়, থুথুকুডি ইউনিয়নের বিজেপি সভাপতি ট্যাঙ্ক থেকে জল তোলার জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার ধারে ৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ রাখেন। এটি একমাত্র সেচ ট্যাঙ্ক যা এক হাজার একরেরও বেশি ক্ষেতে জল সরবরাহ করে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ জুলাই সেরভাইকারনমদম পঞ্চায়েত কর্তৃক গৃহীত একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে মারুথানি কুট্টম থেকে একচেটিয়াভাবে দূরবর্তী স্থানে জল তোলা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আইনের এই অপব্যবহারে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কৃষকরা।

সূত্র- নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সংসদে কৃষকদের দাবিগুলি উত্থাপন করতে হবে: সাংসদকে কৃষকদের আর্জি

পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে জলন্ধরে কৃষকদের অনির্দিষ্টকালীন প্রতিবাদ মঙ্গলবার এগারো দিনে পড়ল। কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির রাজ্য আহ্বায়ক সুখবিন্দর সিং সাব্রা এবং জেলা সভাপতি সালবিন্দর সিং জেনিয়ানের নেতৃত্বে কৃষকেরা সাংসদ সন্তোখ চৌধুরীর বাসভবনের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। সাংসদের হাতে কৃষকদের দাবিপত্র পেশ করা হয়।

কৃষক নেতারা আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে তাঁদের দাবিগুলো সংসদে পেশ করার ব্যাপারে সাংসদ সন্তোখ চৌধুরীকেও আবেদন করেন। খড় নিয়ে বন্দোবস্তের জন্য ক্ষতিপূরণ, চাষিদের সঙ্গে জমি নিলাম বন্ধ করা, জলনিকাশী ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি জলদূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করা এবং জলদূষণের জন্য দায়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানান কৃষক নেতারা। তাঁদের সাফ দাবি, এগুলোর বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে।

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *