আগামী ১৯ নভেম্বর বিজয় দিবস পালন করবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা

ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের চাপে কালা কৃষি কানুন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল ইউনিয়ন সরকার। দিনটি ছিল ১৯ নভেম্বর ২০২১। আন্দোলনের বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আগামী ১৯ নভেম্বর দিনটি ‘দিল্লি মোর্চা ফতে দিবস’ হিসেবে পালন করবে।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের জলন্ধরে ‘দেশ ভগত ইয়াদগার’ সভাগৃহে ৩২টি কৃষক সমিতি বৈঠকের পর এই ঘোষণা করা হয়। জামহুরি কিষাণ সভার রাজ্য সভাপতি সৎনাম সিং আজনালা বলেন, “আমরা সমস্ত পাঞ্জাবিদের কাছে দীপাবলির মতো করে ১৯ তারিখে আমাদের বিজয় দিবসের বর্ষপূর্তি দিনটি উদযাপন করার এবং তাঁদের বাড়ির সামনে মোমবাতি জ্বালানোর জন্য আবেদন করেছি”।
আজনালা আরো বলেন, “২৬ নভেম্বর, চণ্ডীগড়ে একটি বিশাল শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করা হবে এবং চারজন প্রতিনিধি তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করবেন।” এছাড়াও তাঁর বক্তব্য, কৃষকেরা সময়মতো যন্ত্রপাতি না পাওয়ার কারণে খড় পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই এর জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় কেপিআরএস-এর নেতৃত্বে কৃষক বিক্ষোভ

কর্ণাটকের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা গুলবার্গ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (জিএসকম) অফিসের বাইরে কর্ণাটক প্রান্ত রাইথা সংঘের (কেপিআরএস)-এর নেতৃত্বে কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কৃষকরা ।
শরণবাসাপ্পা মামশেট্টি এই বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন “কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল থেকে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল পাস করার চেষ্টা করছে কিন্তু কৃষকদের ধারাবাহিক বিরোধিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি । দিল্লি সীমান্তে ঐতিহাসিক আন্দোলনের কারণেই এই বিল পাশ করতে পারেনি কেন্দ্র। সরকার ও আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে চতুর্থ দফা আলোচনার সময় বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হবে না বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন এই বিলটিকে তারা সংসদে পাঠিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”
সূত্র- দ্য হিন্দু
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবে সাঙ্গরুর জেলায় গমের বীজের ঘাটতি, উদ্বিগ্ন কৃষকেরা

পাঞ্জাবের সাঙ্গরুরে ভর্তুকিযুক্ত গমের বীজের ঘাটতিতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও গমের বীজ না পেয়ে তাঁরা হতাশ। চাষিদের অভিযোগ কৃষি আধিকারিকরা তাঁদের শুধু পুরোনো জাতের বীজ দিচ্ছেন।
ভওয়ানিগড়ের কৃষক দর্শন সিংয়ের অভিযোগ, “বারবার ভবানীগড় দফতরে গিয়ে হতাশ হয়ে, আমি আজ সাঙ্গুরুর প্রধান কৃষি আধিকারিকের দফতরে এসেছি। কিন্তু এখানেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে।”
কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক (বীজ) আমনদীপ কৌর বলেন, “নতুন জাতের বীজ প্রয়োজনীয় পরিমাণে সরবরাহ করা হচ্ছে না তাই তারা পুরানো জাতের বীজ দিচ্ছে।” পাঞ্জাব স্টেট সিডস কর্পোরেশনের পরিচালন আধিকারিক জাসবিন্দেরপাল সিং গ্রেওয়াল জানিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যে যাতে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, তাঁরা সে চেষ্টা করছেন ।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবে কৃষকদের হাতে এক পাটোয়ারি আটক

শুক্রবার পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলায় এক সরকারি কর্মী খড় পোড়ানো পরিদর্শন করতে গিয়ে কৃষকদের হাতে আটক হলেন। এই ঘটনায় পাঞ্জাব সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে। কৃষকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বটে, কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণে ব্যর্থ।
এই ঘটনার পিছনে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সাম্প্রতিক অতীতে, কৃষকেরা যাতে খড় না পোড়ান এ বিষয়ে পাঞ্জাব প্রশাসন সতর্ক করলেও কৃষকেরা জানান প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষকের যন্ত্র নেই। এ নিয়ে কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখালেও পাঞ্জাব সরকার তাঁদের যন্ত্র দিতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
সূত্র- টাইমস নাও
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবের মোগায় বন্দি শিখদের মুক্তির দাবিতে পথে নামলেন কৃষক ও ছাত্র কর্মীরা

বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের তার্ন তারানের পাশাপাশি মোগায়, ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ‘অপরাধীদের’ বিচারের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং বন্দি শিখদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কৃষক ও ছাত্ররা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিল কীর্তি কিষাণ ইউনিয়ন, পেন্দু মজদুর ইউনিয়ন, নওজওয়ান ভারত সভা, পাঞ্জাব ছাত্র ইউনিয়ন এবং আরও কয়েকটি বামপন্থী সংগঠন।
কীর্তি কিষাণের প্রবীণ কর্মী পরগত সিং সাফুওয়ালা বলেন, “এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে, শিখ গণহত্যা ৩৮ বছর পরেও, কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
পাঞ্জাব স্টুডেন্টস ইউনিয়নের জসপ্রীত সিং রাজিয়ানা বলেন যে , “সাজা পূর্ণ করার পরেও শিখ বন্দিরা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আটকে আছেন। তাঁদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তাঁদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না কেন ?
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
১৯৮৪’র শিখ বন্দিরা আজও জেলে, মুক্তির দাবিতে কৃষকদের মিছিল

১৯৮৪ সালে শিখদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে আনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন বেশ কিছু ব্যক্তি এখনও শাস্তি পাননি। কারাবাসের মেয়াদ পার করেও জেলে পচতে হচ্ছে পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের অনেককেই। আর তাই, দোষীদের শাস্তি আর কারাবাসের মেয়াদ পার করা বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার কীর্তি কিষাণ ইউনিয়নের নেতৃত্বে কৃষকরা পাঞ্জাবের তার্ন তারানের গান্ধি পুরনিগম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত হয়ে কৃষক আন্দোলনের সহযোদ্ধা মাস্টার নাছত্তর সিং ও সুখদেব সিং শেনসাহরা বক্তব্য রাখেন । তাঁরা বলেন, বন্দি শিখ ভাইদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। নইলে সর্বত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়াও শিখ দমনপীড়নে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতেও সোচ্চার হয়ে ওঠেন তাঁরা।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ৩ নভেম্বর ২০২২
