কৃষক আন্দোলনে মহিলাদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ দাবি করলেন রাকেশ টিকাইত
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুজাফফর নগর জেলার গোয়েলা গ্রামে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রথম ‘মহিলা পঞ্চায়েত’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত মহিলাদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং কৃষক আন্দোলনে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেন। তিনি বলেন, “সরকারের কৃষক বিরোধী ও গ্রাম বিরোধী নীতির কারণে কৃষকরা তাঁদের গ্রাম থেকে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও, বর্তমান সরকার জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করছে”।
এই অনুষ্ঠানে টিকায়েত ছাড়াও তাঁর স্ত্রী সুনীতাও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “নারীরা আর কোনো বাড়াবাড়ি ও শোষণ সহ্য করবেন না। তাঁদের অবশ্যই শক্তি চিহ্নিত করতে হবে এবং আসন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মহিলা শাখার সভাপতি বাবলি সিং, মুজাফফরনগর জেলা সভাপতি সোনিয়া সাইনি, হাপুর জেলা সভাপতি নীলম সিং এবং আরও অনেক মহিলা নেত্রীও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রূপা বালিয়ানকে মহিলা শাখার গ্রাম শাখার সভাপতি করা হয়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিশ্রুতিই সার, কৃষকদের বিরুদ্ধে রেলের এফআইআর এখনও প্রত্যাহার হয়নি, আন্দোলনের পথে কৃষকেরা
কৃষক নেতা রাকেশ বাইনসের দায়ের করা তথ্য জানার অধিকার আইনে মামলা থেকে সম্প্রতি জানা গেছে, কৃষক আন্দোলনের সময় হরিয়ানার রেল সুরক্ষা বাহিনীর দায়ের করা ১২টি এফআইআর এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। কৃষকেরা এরই প্রতিবাদে আগামী ২৪ নভেম্বর হরিয়ানার আম্বালায় একটি মিছিলের ডাক দিয়েছেন।
রেলওয়ে পুলিশ সুরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ অধিকর্তা সম্প্রতি বাইনসকে জানিয়েছেন, তথ্য অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১২ টি মামলার একটিও প্রত্যাহার করা হয়নি। তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে দায়ের করা একটি আবেদনে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র বাইনস মামলাগুলি প্রত্যাহারের আদেশের একটি অনুলিপিও চেয়েছিলেন। এ প্রশ্নের জবাবে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, “এ বিষয়ে কোনো আদেশ এখনও পাইনি”।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে তাঁদের তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের জেরে কালা কৃষি কানুন বাতিল করার কথা জানায় কেন্দ্র। একই সঙ্গে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও তারা সম্মত হয়েছিল। কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাদুনি বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে , “সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছিল আন্দোলনকারী কৃষকদের হয়রানি করা হবে না কিন্তু তারপরও তাঁদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ এবং অস্ত্র লাইসেন্স বন্ধ করা হচ্ছে। এমনকি তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছাড়াও অতীতের আন্দোলনেও কৃষকদের বিরুদ্ধে ৩০টির মতো মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সেসব মামলাও এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি।”
সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ব্যাংকের ঋণ মেটাতে না পেরে মধ্যপ্রদেশে কৃষকের আত্মহত্যা
ব্যাংকের ঋণ মেটাতে না পেরে ভারতের মধ্যপ্রদেশের চিন্ডওয়াড়া জেলায় আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক। মৃত কৃষকের নাম রামপাত চৌধুরী (৫৪)। তিনি রাজেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। এই কৃষক কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে মোহখেদ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল ঘোসলে বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে তাঁর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ঋণ পরিশোধ করতে লড়াই করছিলেন।”
মৃত কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি চার একর জমির মালিক ছিলেন এবং ২০২০ সালে ২.১৭ লক্ষ টাকা এবং ২০২১ সালে ৬৫০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে একটি আত্মহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্র- দ্য প্রিন্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মহারাষ্ট্রে ফসলের ক্ষতির জন্য বিমার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও অধরা কৃষকদের
মহারাষ্ট্রে চলতি মরশুমে কৃষকরা দুবার ফসলের ক্ষতির কথা জানিয়েছিলেন। বর্ষা আসার দেরির কারণে জুলাই এবং আগস্টে ফসলের ক্ষতি হয়েছিল, আবার ফসল কাটার মরসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষকরা তাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কিন্তু ফসলের বিপুল ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা বিমার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি।
বিমা কোম্পানিগুলি কৃষি বিমার দাবি নিষ্পত্তির সময়সীমা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় মহারাষ্ট্রের শাসক ও বিরোধী শিবির উভয়ের কাছ থেকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। মহারাষ্ট্রের কৃষি কমিশনার ধীরজ কুমার একাধিকবার দাবি নিষ্পত্তিতে দেরির বিষয়ে সংস্থাগুলির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন কিন্তু সমস্যাটি রয়ে গেছে।
সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ২ নভেম্বর ২০২২
