জয় কিষাণ: ৩০ নভেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 8

পেঁয়াজের এমএসপি আইনের দাবিতে আন্দোলনের পথে কৃষকরা

পেঁয়াজের এমএসপি আইনের দাবিতে আন্দোলনের পথে নামলেন কর্ণাটকের কৃষকরা। বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর বাজারে ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে গদগের একজন কৃষক ৮.৩৬ টাকা পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা। সম্প্রতি যশবন্তপুর বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৫০০ টাকা থেকে কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকায় নেমে যাওয়ায় চরম বিপাকের মুখে পরেছেন তাঁরা।

ক্ষুব্ধ কৃষকরা এখন রাজ্য সরকারকে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ঘোষণা করতে বাধ্য করার জন্য প্রতিবাদের পরিকল্পনা করছেন। কর্ণাটক রাজ্য রায়থা সংঘ গাদগ জেলা সভাপতি ইয়াল্লাপ্পা বাবরি বলেন, তাঁরা রাজ্য সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। চলতি বছরে অতিবৃষ্টির কারণে চরম দুর্দশার শিকার হয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে রাজ্য সরকার যদি তাঁদের দাবি না মানেন তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।

সূত্র- নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কচ্ছের চাষিদের দুর্দশা প্রভাব ফেলবে গুজরাতের ভোটে

গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চলেছে কচ্ছের ভাঙা খালগুলি।

চলতি বছরের ৬ জুলাই ছিল গুজরাটের কচ্ছ জেলার বির্দা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের আদিবাসীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। তাঁরা নবনির্মিত নর্মদা খালের উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত ছিলেন এবং আগের রাত থেকেই প্রথাগত পূজার জন্য জায়গাটি সাজিয়েছিলেন।

এর এক মাস পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাল পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু গভীর রাতে ভোর ৪ টার দিকে কৃষক গোবিন্দ রমণী (৬০) তাঁর ক্ষেত দেখতে খালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানান “মধ্যরাত পর্যন্ত এটা ঠিক ছিল। কিন্তু আমি যখন মাঠে যাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম খাল ভেঙে গেছে এবং জল উপচে পড়ছে সীমান্তবর্তী মাঠে।” সবচেয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাটি জানা গেছে সোমবার। মান্ডভির আদেসার ভাঙ্গেরা এলাকায় খালটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পাশের ক্ষেত প্লাবিত করেছে । এই সমস্ত ঘটনায় কচ্ছের কৃষকরা দুঃখিত এবং হতাশ।

এমনিতেই গুজরাত খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় চাষের জল নিয়ে তাঁদের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ঘটনা আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

সূত্র- নিউজ ক্লিক

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতসরে সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকরা ধর্নায়

অমৃতসরে কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বে স্থানীয় কৃষকরা তাঁদের দাবির সমর্থনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে ধর্নায় বসলেন।

কৃষক নেতা জানান, সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা জায়গা ছাড়বেন না। কৃষকরা তাঁদের কাপড় খুলে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করেন। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “রাজ্যের আম আদমি পার্টি সরকার কৃষকদের কাছে মিথ্যা দাবি করার ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।” তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন মাদক, বেকারত্ব, দরিদ্র আইন-শৃঙ্খলা এবং কৃষকের আয় হ্রাসের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তখন সরকারের পক্ষে জনগণকে অপেক্ষা করতে বলা এবং সরকারকে কিছু সময় দিতে বলা অযৌক্তিক। “এটি অপেক্ষা করার সময় নয়। সরকারের উচিত এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কাজ করা”।

সূত্র- ট্রিবিউন ইন্ডিয়া

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৬ মার্চ হিমাচল, কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ডের আপেল চাষিরা দিল্লিতে একদিনের বিক্ষোভ দেখাবেন  

কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের কৃষকদের নিয়ে গঠিত অ্যাপল ফার্মার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া আগামী বছরের ৬ মার্চ দিল্লির যন্তর-মন্তরে একদিনের বিক্ষোভ করবেন। সোমবার শিমলায় অ্যাপল ফার্মার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

হিমাচল সেব উৎপাদক সংঘের সভাপতি সোহান ঠাকুর বলেন “সমস্যাগুলি নিয়ে শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যে প্রতিবাদ করে আসছি কিন্তু এখন আপেল শিল্পের সংকটের উপর জাতীয় ফোকাস পেতে আমাদের সংগ্রামকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “এছাড়াও, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে এমএসপি, প্যাকেজিং সামগ্রীর উপর জিএসটি প্রত্যাহার এবং উচ্চ আমদানি শুল্কের মতো আমাদের দাবিগুলিকে তুলে ধরতে আমরা ১০ জানুয়ারি রাজ্যে ব্লক-স্তরের বিক্ষোভ করব।” আপেল শিল্প যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলি নিয়ে একটি বই ‘অ্যাপল ইজ আওয়ার লিভলিহুড’ এই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়।

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরও খবর

জিএম সর্ষে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজ্ঞানীমহলের

জিএম সর্ষে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানির ঠিক একদিন আগে একদল বিজ্ঞানী দাবি করলেন, সরকার সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা দায়ের করেছে তাতে অসত্য এবং ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি হলফনামায় বলেছে যে জিএম ফসলের বিরোধিতা অবৈজ্ঞানিক ভয়ের উপর ভিত্তি করে ছিল। কারণ ভারত জিএম বীজ থেকে তৈরি ভোজ্য তেল আমদানি করে এবং ব্যবহার করে। কেন্দ্রের মতে, ভারতে ব্যবহৃত ভোজ্য তেলের ৫০-৬০ শতাংশ আমদানি করা হয় এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে নতুন জেনেটিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রাসঙ্গিক।

ভরতপুর-ভিত্তিক ডিরেক্টরেট অফ রেপসিড এবং সর্ষে গবেষণার প্রাক্তন পরিচালক ধীরাজ সিং বলেন, “গত এক দশকে ভারতের রেপসিড এবং সর্ষে উৎপাদন প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের বার্ষিক ভোজ্য তেলের মাত্র ১৫ শতাংশ সর্ষে। পাশাপাশি কৃষকদের কাছে ১২টিরও বেশি হাইব্রিড বিকল্প রয়েছে, যা উচ্চ-কার্যকর এবং উচ্চ-ফলনশীল।” এমন পরিস্থিতিতে জিএম সর্ষের প্রয়োজনীয়তা কতটা আর কেনই বা কৃষকদের ওপর এইরকম ঝুঁকিপূর্ণ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।

সূত্র- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আলিপুরদুয়ারের কৃষকদের মিছিল

সারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আলুর দাম কমে যাওয়ায় দুর্দশার মুখে কৃষকরা। প্রতিবাদ জানাতে গত রবিবার সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর সংগঠন ও সিটুর মিছিলে হাঁটলেন কৃষকরা। আলিপুরদুয়ার জেলার দেওগাঁওয়ে বহু চাষি মিছিলে শামিল হন।

তাঁদের দাবি, ফসলের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ন্যায্য মূল্যে তাঁদের সার প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিক প্রদান করে পরবর্তীকালে ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিক ৬০০ টাকা করতে হবে।

সূত্র- উত্তরবঙ্গ সংবাদ

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

পিএম কিষাণের টাকা ফেরত দিতে হবে ‘অযোগ্য’ কৃষকদের, আতান্তরে চাষিরা

অনেক ঢঙ্কা নিনাদ বাজিয়ে মোদি সরকার ২০১৯ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি পি এম কিষাণের মাধ্যমে কৃষকদের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনার সুবিধাভোগী যে সব কৃষক আয়কর দেওয়ার জন্য বা অন্যান্য কারণে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, তাঁদের কিস্তির টাকা ফেরত দিতে হবে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ চাষিরা। এই প্রকল্পে বার্ষিক ৬০০০ টাকা তিনটি সমান কিস্তিতে সরাসরি যোগ্য কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এমন অনেক কৃষকই এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন যাঁরা এই প্রকল্পের মানদণ্ড পূরণ করেন না । এবার তাঁদের প্রাপ্ত টাকা ফেরত দিতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এমন অনেক চাষি যে টাকা পেয়েছেন সে টাকা দিয়ে চাষ করেছেন। এবার সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার কেন্দ্রীয় ঘোষণায় তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে।

সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মালদায় সারের কালোবাজারিতে কৃষকরা বিপর্যস্ত

আমন মরশুমে মালদা জেলা জুড়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠে আসছে সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ, সাধারণ কৃষকদের সার সরাসরি বিক্রি না করে সেই সার কালোবাজারি করে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে। তারপর একই সার কৃষকদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

কৃষি দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক দোকানে অভিযোগের ভিত্তিতে হানা দেওয়া হয়েছে। জেলার সমস্ত সার ব্যবসায়ীদের নিয়ে জেলা শাসক বৈঠক করেন। বৈঠকে সার ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রির কড়া নির্দেশিকাও জারি করা সত্ত্বেও খারিফ মরশুমে রবি শস্য বপনের সময় সারের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। তাই সারের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবিতে মাঝেমধ্যেই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন তাঁরা।

সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকের থেকে লুট: ২৮ নভেম্বর ২০২২

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *