জয় কিষাণ: ২ নভেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 7

বন আইন পরিবর্তনের দাবিতে কৃষক এবং আদিবাসীদের যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা

কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের জল, জঙ্গল, জমি ছিনিয়ে নিতে চাইছে। এই অভিযোগ সামনে রেখে আদিবাসী এবং কৃষক সংগঠনগুলি যৌথ ভাবে আগামী ১৫ নভেম্বর সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ সংগঠিত করবে।


অল ইন্ডিয়া কিষাণ ক্ষেত মজদুর সভার জাতীয় সহ-আহ্বায়ক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাইথু কুলি সংঘামের রাজ্য সভাপতি সিমহাদ্রি ঝাঁসি গত সোমবার বলেন যে কৃষক সমিতির সদস্যরা এবং আদিবাসী কৃষকরা ১৫ নভেম্বর বন (সংরক্ষণ) আইন-১৯৮০ সংশোধনীর বিরোধিতা করতে দেশজুড়ে তাঁদের প্রতিবাদ সংগঠিত করবেন।

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে রাইথু কুলি সংঘাম আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন যে প্রস্তাবিত বন সংরক্ষণ নিয়ম-২০২২ ভারতের উপজাতিদের অস্তিত্বের জন্য ভয়ায়াবহ হবে এবং ভবিষ্যতে তাঁদের জমির উপর কোনো অধিকার থাকবে না। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আয়োজিত ‘শ্রীকাকুলাম গিরিজানা রায়থাঙ্গা উদ্যম’- এর সময় শাহাদাত বরণ করা আদিবাসী কৃষক কোরান্না এবং মাঙ্গান্নার ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল।

সূত্র- দ্য হিন্দু

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

উত্তরপ্রদেশে সারের ঘাটতি, মারা গেলেন এক বৃদ্ধ কৃষক

উত্তরপ্রদেশে সারের ঘাটতিতে বিপাকে চাষিরা। গম, সর্ষে এবং ডাল সহ রবিশস্য চাষের মরশুমে সেই রাজ্যের কৃষকেরা শস্যের ফলন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সারের গুরুতর ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই তরফে বঞ্চনার ফলে কৃষকদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় একটি সারের দোকানের বাইরে সারিতে অপেক্ষারত একজন বৃদ্ধ কৃষক মারা যান। মৃত কৃষকের নাম রাম ব্রজেশ (৬০)। তিনি  ফিরোজাবাদ জেলার হাথওয়ান্ট ব্লকের শেখপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সারের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে দ্রুত স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তিনি মারা যান।

সরকার-চালিত সমবায় সমিতির বাইরে দীর্ঘ লাইন তো আছেই। আগ্রা জেলার কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে তাঁরা চাষের জন্য সার সংগ্রহ করতে পারছেন না। খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক কৃষক এমনকি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট কেনার জন্য অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। 

গত শনিবার বেশ কয়েকজন কৃষক আগ্রা জেলার কিরওয়ালি ব্লকের একটি সারের গুদামে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের অভিযোগ, কাদা মিশ্রিত ছাইযুক্ত নকল ডিএপি ব্যাগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক চৌধুরী বাবুলাল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বাধ্য হন এবং কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে ভেজালমুক্ত সার পাওয়া নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সূত্র- মিরর নাও

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

দিল্লির কৃষক আন্দোলনের ওপর দুটি বইয়ের উদ্বোধন

কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের বিক্ষোভে তিনটি কৃষি আইন বাতিল হয়েছে। এবার সেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে দুটি বইয়ের উদবোধন হল গত সোমবার পাঞ্জাবের জলন্ধরে।  

বই দুটির নাম ‘ট্রলি যুগ’ এবং ‘৩৭৮ দিন’। উল্লেখযোগ্যভাবে দুটি বই দিল্লি কৃষক মোর্চাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ‘ট্রলি যুগ’ বইটি ১৫০ পৃষ্ঠার উপন্যাস। এই বইয়ের লেখক বলবীর পারওয়ানা এই বছরের শুরুর দিক থেকে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দিল্লির সমগ্র কৃষক আন্দোলনকে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন।

পারওয়ানা, যিনি ৪০টি বইয়ের লেখক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কে বলেন “মোর্চার আন্দোলনের মাধ্যমে আমার তিনটি কালা কৃষি আইন বাতিল করেছি, কিন্তু এর বাইরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আনা যায়নি, কারণ কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারের ভ্রান্ত কৃষক নীতির ফলে দেশে প্রতিদিন কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। তাঁরা ঋণগ্রস্থ হয়ে দুর্দশায় পড়ছেন”।

সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

দলিত ক্ষেত মজুরদের প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে পাঞ্জাবে

রেভোলিউশনারি রুরাল লেবার ইউনিয়নের (পাঞ্জাব) প্রাদেশিক সভার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা প্রতিবেদন পাঠ, আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং পাশ ছাড়াও রাজ্য কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়। নবনির্বাচিত সাত সদস্যের কমিটি থেকে সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্য কমিটির সভাপতি সঞ্জীব মিন্টু, রাজ্য সম্পাদক ধর্মপাল সিংকে নির্বাচিত করা হয়। দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হয় রাজ্য সম্পাদক ধর্মপাল সিং কর্তৃক পর্যালোচনা প্রতিবেদন পাঠের মাধ্যমে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠন দলিত ক্ষেত মজুরদের প্রতিরোধ সংগঠিত করেছে পাঞ্জাবে। বিশেষত এক তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েত জমির অধিকারের জন্য এবং নকল নিলাম নির্মূল করার জন্য ন্যায্য মূল্যে নিলাম, বছরে ১০০ দিনের কাজ, প্রতিটি পরিবারকে ৫ মারলা জমি, দৈনিক ন্যূনতম ৭০০ টাকা মজুরি ইত্যাদি দাবিতে কৃষি শ্রমিকদের সংগঠিত করে বহু সভা পরিচালনা করে এবং শহুরে বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে রাজনৈতিক সমস্যাও উত্থাপন করেছিল। এই সংগঠন ১০০টিরও বেশি গ্রামে সংগ্রামের পরিসর শক্তিশালী করেছে, ক্ষেত মজুরদের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত করেছে৷

উল্লেখযোগ্য যে এটি সাম্প্রতিক সময়ে জমিনপ্রাপ্ত সংঘর্ষ কমিটির সাথে সংহতিতে রয়েছে। তবে প্রায় ৩ বছর আগে রুরাল লেবার ইউনিয়নে মধ্যে একটি ভাঙন দেখা দিয়েছিল – কেপিএমইউ-এর অন্য অংশ ও লোক সংগ্রাম মোর্চা এবং বিকেইউ (ক্রান্তিকারি)। এভাবে দলিত ক্ষেত মজুর আন্দোলনে একটি বিভাজন তৈরি হয়েছিল। পাঞ্জাব র‍্যাডিক্যাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ক্ষেত মজুরদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র- কাউন্টার কারেন্টস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ধামনগর উপনির্বাচনে নির্ণায়ক হতে চলেছে কৃষক ভোট

৩ নভেম্বরের উড়িষ্যার ভদ্রক জেলার ধামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই আসনটি জয়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘু ও কৃষক ভোট এই নির্বাচনে নির্ণায়কের ভূমিকা নেবে।

১৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুচরণ শেঠির অকাল মৃত্যুতে এই আসনটি খালি হয়।  এই উপনির্বাচনে গেরুয়া দল অকাল মৃত বিষ্ণুচরণ শেঠির পুত্র সূর্যবংশী সুরজকে প্রার্থী করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বে শাসক বিজেডি অবন্তী দাসকে মনোনীত করেছে, যিনি একজন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। কংগ্রেস আইনজীবী বাবা হরেকৃষ্ণ শেঠিকে প্রার্থী করেছে।

এই  উপ-নির্বাচন শাসক দলের জন্য একটি মর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ রাজ্য নেতৃত্ব শেষ মুহূর্তে একজন মহিলা প্রার্থীকে পছন্দ করার পরে, প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র দাস আলাদা প্রার্থী হিসাবে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, অবন্তী দাসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন রাজেন্দ্র দাস। রাজেন্দ্র দাস বলেন যে “আমি ধামনগরে আত্মসম্মানের জন্য লড়াই করব কারণ স্থানীয় লোকেরা আমাকে সমর্থন করে”, যদিও বিজেডি বিজয় অর্জনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্যারিশমার ওপর নির্ভর করছে।

কংগ্রেসও জয়ের আশা করেছিল কারণ দলীয় প্রার্থীরা ১৯৫১ সাল থেকে সাত বার আসনটিতে জয়লাভ করেছে৷ ওপিসিসি সভাপতি শরৎ পট্টনায়ক দলীয় মনোনীত প্রার্থীর প্রচারের সময় বলেছিলেন যে ,”ধামনগরের মানুষ বুঝতে পেরেছে যে বিজেডি এবং বিজেপি একই মুদ্রার দুটি পিঠ, তাই তারা কংগ্রেসকে ভোট দেবে”।

এই অঞ্চল প্রত্যেক বছরই বন্যায় প্লাবিত হয়। ক্ষতি হয় কৃষিকাজে। তাই চাষিদের বড় অংশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্র- প্রগতিবাদী

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *