কৃষকদের ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচি, পর্ব-২, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে গত ২৬ নভেম্বর গোটা দেশে ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। আমরা ফটো ফিচারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ঐতিহাসিক রাজভবন অভিযান কর্মসূচির ছবি ও সেই সংক্রান্ত তথ্যালাপ তুলে ধরছি। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ।
বিশদে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
চাষিদের দাবিপূরণে জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার

গত ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে চাষিদের দাবিদাওয়া নিয়ে দেশের সব রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে চাষিদের দাবিদাওয়াগুলি তুলে ধরছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তাঁদের কাছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আবেদন, আমজনতার প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা যেন চাষিদের দাবিগুলি আইনসভায় তুলে ধরেন এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চাষিদের পাশে থাকেন।
ইরান থেকে আপেল আমদানি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সরব কাশ্মীরের আপেল চাষিরা

কাশ্মীরের আপেল চাষিরা ভারতে ইরানের আপেল আমদানি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠলেন। ভারতে ইরানি আপেলের অবৈধ আমদানির জন্য বিপদে পড়েছেন কাশ্মীরের আপেল চাষিরা। দুর্দশা এড়াতে ভারত সরকারের কাছে এই প্রকল্প নিয়ন্ত্রণের দাবি রাখলেন তাঁরা।
তাঁদের দাবি, আফগানিস্তানের মাধ্যমে ভারতের বাজারে ইরানি আপেলের অবৈধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। ইরানের আপেলের এই অবৈধ চলাচল তাঁদের লাভের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন হ্রাস করেছে। যা ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে খুবই বিপজ্জনক।
দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার একজন চাষি মির মোহাম্মদ আমিন বলেন, “আমরা ইরানের আপেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাই না। বরং আমরা চাই আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে আইনি উপায়ে ভারতে আমদানি করা হোক। যথাযথ কর পরিশোধ করার পর, ভারতীয় বাজারে এর দাম আর কম হবে না।”
সূত্র- ভাও নিউজ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অমৃতসরে কৃষকদের অনির্দিষ্টকালীন প্রতিবাদ

অমৃতসরের তার্ন তারানে জেলা প্রশাসনিক কমপ্লেক্সের (ডিএসি) বাইরে কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি পাঞ্জাবের ব্যানারে কৃষক ও শ্রমিকদের শুরু করা অনির্দিষ্টকালের বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে।
কেএমএসসির জেলা সভাপতি সাতনাম সিং মনোচাল বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন । কেএমএসসির রাজ্য সভাপতি সাতনাম সিংপান্নু এই অনুষ্ঠানে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ভোটারদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলিতে মনোযোগ না দেওয়ার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন। তিনি আরও বলেন যে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ শেষে কৃষকদের দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতি কেন্দ্র পূরণ করেনি। তিনি দাবি করেন যে দিল্লি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কৃষকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত ফৌজদারি মামলাগুলি বাতিল করতে হবে। তিনি দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভের সময় প্রাণ হারিয়েছেন এমন কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও করেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবে বিক্ষোভকারী কৃষক-শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

বুধবার সাংরুরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের বাসভবনের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলাকালীন কৃষক ও শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিভিন্ন দাবিতে পাঞ্জাবের মহাসড়কে আটটি শ্রমিক সংগঠনের যৌথ ফ্রন্ট সাঁঝা মজদুর মোর্চার ব্যানারে কৃষক-শ্রমিকদের নীরব বিক্ষোভ চলাকালীন এই লাঠিচার্জের ঘটনাটি ঘটে। কৃষক-শ্রমিকরা ‘মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট’ (MGNREGA) এর অধীনে ন্যূনতম বেতন ৭০০ টাকা বৃদ্ধি, স্থানীয় সমবায় সংস্থাগুলিতে দলিতদের ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণ এবং জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদ করেছিলেন।
কৃষকরা লাম্পি চর্মরোগের ফলে তাঁদের গবাদি পশুর মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জন্য অর্থ প্রদান এবং চাষের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য এফআইআর বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। মানের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারী কৃষকদের পুলিশ আটক করে। উল্লেখ্য, আম আদমি পার্টি এবং তার সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০২০ সালে কেন্দ্রের প্রবর্তিত তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন সরকারে বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।
সূত্র- ওপি ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ৩০ নভেম্বর ২০২২
