জয় কিষাণ: ২৬ নভেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 11

আজ রাজভবন অভিযান, মোদি-শাহ সরকারের কাছে দাবি তুলবেন অন্নদাতারা

আজ সংবিধান দিবস। গোটা দেশের কৃষকরা তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যের রাজ্যপালদের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্মরণ করাতে চাইছেন যে দেশের সকল কৃষিজীবী মানুষের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, আজও সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। আর তাই আবারও রাস্তাকেই একমাত্র রাস্তা হিসাবে বেছে নিয়েছেন কৃষক সমাজ। বকেয়া দাবিগুলো পূরণ করার দাবিতে তাঁরা ফের রাস্তায়। শনিবার গোটা দেশে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা রাজভবন অভিযানের যে ডাক দিয়েছে, জানা যাচ্ছে এই কর্মসূচির লক্ষ্য, রাজ্যপালদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করা। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের যেসব দাবি বকেয়া রেখেছে, সেই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে মোর্চা। যাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। মোর্চা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সংযুক্ত কিষাণ কিষাণ মোর্চা গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা একটি চিঠিতে তার অমীমাংসিত সমস্যার দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এর জবাবে ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী সঞ্জয় আগরওয়াল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে ৯ ডিসেম্বর একটি চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি ইউনিয়ন সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের বেশ কয়েকটি দাবিপূরণে আশ্বাস দেন এবং দিল্লির বুকে ঐতিহাসিক আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের এই চিঠিকে গুরুত্ব দিয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ১১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে, দিল্লির সীমান্তে মোর্চার ব্যানারে কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থান প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এরপর এগারো মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কৃষকদের দাবিপূরণের কোনো প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

আর তাই আবারও যেসব দাবিতে রাজ্যপালদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করে কেন্দ্রের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে চলেছে।

মোর্চার প্রথম দাবি এমএসপি আইন সংক্রান্ত। মোর্চার বক্তব্য, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সি-টু প্লাস ৫০ (C2 + 50) শতাংশের সূত্র-সহ সমস্ত ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে কেন্দ্রকে।

এছাড়াও, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বিষয়ক কমিটির বিষয়েও সুনির্দিষ্ট দাবি তুলেছে মোর্চা। এমএসপি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিপূর্বে যে কমিটি গঠন করেছে, তার ঘোষিত এজেন্ডা কৃষকদের দাবি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দাবি মোর্চার। তাদের দাবি, এই কমিটিকে বরখাস্ত করে সমস্ত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূলের আইনি নিশ্চয়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে কৃষকদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব-সহ এমএসপি’র উপর একটি নতুন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে।

এছাড়াও কৃষকদের ঋণ ও কৃষক আত্মহত্যা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারেও দাবি তুলেছে মোর্চা। তাদের বক্তব্য, কৃষিতে ক্রমবর্ধমান কৃষিব্যয় ও ফসলের জন্য উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ার কারণে ভারী ঋণের জালে আটকে পড়ছেন দেশের ৮০ শতাংশ কৃষক। এর ফলে অনেক চাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমতাবস্থায় সকল কৃষকের সকল প্রকার ঋণ মকুব করার দাবি তুলেছে মোর্চা।

অবিলম্বে ‘বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২২’ প্রত্যাহার করার দাবিও পেশ করেছে মোর্চা। তাদের বক্তব্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে লেখা উক্ত চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি লিখিত আশ্বাস দিয়েছিল যে, “বিলটি মোর্চার সঙ্গে আলোচনার পরেই সংসদে পেশ করা হবে।” এতদসত্ত্বেও কোনো আলোচনা ছাড়াই এই বিল সংসদে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার তিকোনিয়ায় চার কৃষক ও একজন সাংবাদিককে হত্যায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে জেলে পাঠানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

এই সূত্রে তাদের আরও দাবি, লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে বন্দি নিরপরাধ কৃষকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। শহিদ কৃষকদের পরিবার ও আহত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে।

সকল ফসলের জন্য ব্যাপক ও কার্যকর শস্য বিমা বাস্তবায়িত করার ব্যাপারেও দাবি তুলেছে মোর্চা। এবং সকল মাঝারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং কৃষি-মজুরদের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা কৃষক পেনশনের প্রকল্প চালু করার নয়া দাবিও মোর্চার দাবিসনদে উঠে এসেছে, মোর্চা সূত্রে জানা গেছে।

কৃষকদের উপর যেসব ‘মিথ্যা মামলা’ আরোপ করা হয়েছে, অবিলম্বে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। কৃষক আন্দোলনে শহিদ মোট ৭৩৪ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবিও রাখা হচ্ছে এই স্মারকলিপিতে। এছাড়া সিংঘু সীমান্তে শহিদ কৃষকদের জন্য একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি করেছেন মোর্চা নেতৃত্ব।

মোর্চার কেন্দ্রীয় সমন্বয় সমিতির নেতা অভীক সাহার বক্তব্য, “এই স্মারকলিপির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন দেশের অন্নদাতারা। কেন্দ্রীয় সরকারকে তার লিখিত প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দেওয়ার পাশপাশি এবং দেশের কৃষকদের সম্পূর্ণ ঋণ মকুব, কৃষক বিমা ও কৃষক পেনশনের দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূরণ করার জন্য আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করছি। আমরা তাঁর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে চাইছি যে কৃষকদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করুন। কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কার্যকর না করে এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাপক ও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া ব্যতীত কৃষকদের কাছে আরও অন্য কোনো রাস্তা খোলা থাকবে না”।

শুধুই কেন্দ্র নয়, রাজ্যের কাছেও হিসেব চাইছেন কৃষিজীবী জনতা

শুধু কেন্দ্রের মোদি-শাহ সরকার নয়, রাজ্য সরকারের প্রতিও হাজারও দাবিতে সরব রাজ্যের কৃষক ও ক্ষেতমজুররা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও এক গুচ্ছ দাবি পেশ করা আজকের রাজভবন অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।

মোর্চার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে এমএসপি আইনের যে খসড়া রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছিল, সেই খসড়াটির বিষয়ে কোনোরকম উচ্চবাচ্য করেনি রাজ্য সরকার। এমনকি সেই খসড়াটির প্রাপ্তিস্বীকারের সৌজন্যটুকুও দেখানো হয়নি। মোর্চার দাবি, ওই খসড়া আইনের ভিত্তিতে অবিলম্বে রাজ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) আইন প্রণয়ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

এ রাজ্যে আলু, পাট প্রভৃতি ফসল সঠিক সরকারি দরে গ্রামে ক্যাম্প করে চাষিদের থেকে কেনার দাবিও তুলতে চলেছে মোর্চা। তাদের দাবি, স্বল্প খরচে ফসল সংরক্ষণের জন্য ব্লকে/পঞ্চায়েতে বহুমুখী হিমঘর তৈরি করতে হবে। সেগুলির নিয়ন্ত্রণে কৃষকের তদারকি চালু করতে হবে।

জানা গেছে, রাজ্যে একশো দিনের কাজের বকেয়ার ব্যাপারেও সোচ্চার হতে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার রাজ্য শাখা। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্র-রাজ্য বুঝি না, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ চাই — বকেয়া মজুরি চাই। একশো দিনের কাজ বৃদ্ধি করে দুশো দিনের কাজ এবং ৬০০ টাকা মজুরির দাবিও তুলছে মোর্চা।

মোর্চা সূত্রে খবর ভর্তুকি দিয়ে ডিজেল সরবরাহের দাবিও রাখা হচ্ছে দাবিসনদে। মোর্চার দাবি, এক টাকা ইউনিট দরে কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ ও ডিজেল সরবরাহ করতে হবে।

কীটনাশক, সার ও বীজে যে ব্যাপক হারে কালোবাজারি ও ট্যাগিং চলছে এ রাজ্যে, তা যাতে অবিলম্বে বন্ধ হয় এবং নির্ধারিত মূল্যে যাতে কৃষকরা সার ও বীজ সংগ্রহ করতে পারেন, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ করার ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের কাছে মোর্চা দাবি তুলছে বলে জানা গেছে। মোর্চার বক্তব্য, কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলার কারণে চাষিরা চরম লোকসানে পড়েছেন। এর ওপর তাঁদের এমআরপির বাইরে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হচ্ছে। বর্তমান চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারি খোলাখুলি প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটে চলেছে। তাই সংযুক্ত মোর্চার রাজ্য কমিটির দাবি, সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি কৃষি উপকরণ ভর্তুকি দিয়ে ন্যায্য দামে গরিব ও মধ্য চাষিদের সরবরাহ করতে হবে। সারের কালোবাজারি কঠোরভাবে বন্ধ না হলে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মোর্চা।

এছাড়াও আর একগুচ্ছ দাবি থাকছে স্মারকলিপিতে। যেমন-

ক। এ রাজ্যের সরকারি বীজখামারগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া চলবে না। অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে দেশীয় বৈচিত্রমূলক বীজ তৈরি, সংরক্ষণ ও প্রয়োজন অনুসারে সরবরাহ করতে হবে। নিম্নমানের সার আমদানি বন্ধ করে ভর্তুকি দিয়ে ক্ষুদ্র কৃষকদের সার দিতে হবে। জৈব সার তৈরি ও ব্যবহারে সরকারি সহায়তা করতে হবে।

খ। বাস্তুহীনদের পাট্টা দিতে হবে। খাস জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। আদিবাসীদের বনের জমির পাট্টা পরচা দিতে হবে, কোনোরকমভাবেই উচ্ছেদ করা চলবে না। পাট্টা পেলেও পরচা হয়নি বা পরচা পেলেও জমির চরিত্রে জঙ্গল লেখা থাকার দরুণ সরকারি সাহায্য বা সরকারি দরে ধান বিক্রি করতে পারছেন না, তাই অবিলম্বে পরচা দিতে হবে। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করে আদিবাসীদের উচ্ছেদ চলবে না।

গ। ভূমি দফতরে ঘুষ-দালালি বন্ধ করতে হবে। বর্গা উচ্ছেদ কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। নতুন বর্গারেকর্ড করার কাজ চালু রাখতে হবে। ব্লক ভূমিদপ্তরে দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। জমির রেকর্ড, জরিপ ও নানাবিধ বিবাদ মীমাংসার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা, দালালরাজ বন্ধ করতে হবে।

ঘ। চা শ্রমিকদের বাস্তুজমির পাট্টা দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের চাষের জমির রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে নদীগুলোর সংস্কার করতে হবে। তিস্তা সেচ প্রকল্পকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রূপায়িত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। সেচ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে।

ঙ। ফল, ফুল-সহ নানাবিধ বাগিচা চাষে সরকারকে উপযুক্ত পরিকল্পনা নিতে হবে। বিশেষত এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, মধ্য চাষিদের পুঁজি ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। রেশম চাষ, তাঁত শিল্পের পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারকে বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে। মৎস্যচাষিদের কেবল কার্ড দিলেই চলবে না, এঁদের জন্য ব্যাংক ও সমবায়ের ঋণ সহায়তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

চ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মৌজাভিত্তিক নয়, চাষিদের জোতভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, মালদহ-মুর্শিদাবাদে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সুন্দরবন বাঁচাও প্রকল্প অবিলম্বে কার্যকরী করতে হবে।

ছ। মাইক্রোফিনান্স কোম্পানির জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বক্তব্য, রাজ্যে এমএসপি আইন প্রণয়ন না হলে, সারের কালোবাজারি বন্ধ না হলে এবং অন্যান্য দাবিগুলো রাজ্য সরকারের তরফে না মেনে নেওয়া হলে রাজ্যে ব্যাপক ও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া ব্যতীত কৃষকদের কাছে আরও অন্য কোনো রাস্তা খোলা থাকবে না।

হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে লাখো কিষাণ হকের দাবি নিয়ে আজ মহানগরী কলকাতায়

রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও ব্লক স্তর থেকে লাখো কৃষক আজ ২৬ নভেম্বর কলকাতা মহানগরীর রাজপথে নিজেদের দাবি পূরণে জমায়েত হতে চলেছেন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই সমাবেশ হবে ‘ঐতিহাসিক’। এই সভায় বক্তব্য রাখবেন জয়তু দেশমুখ, গোপাল বিশ্বাস, ফরিদ মোল্লা, শৈলেন মিশ্র, রাম বচ্চন, পাপান মুর্মু, সুভাষ নস্কর, সমীর পূততুণ্ড, অভীক সাহা, অমল হালদার প্রমুখ।

দুপুর ১ টায় শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে লাখো কৃষকের মিছিল রাজপথে আছড়ে পড়বে। এর ফলে রাস্তায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রবীন কৃষক নেতা রাম বচ্চন এর ফলে আগাম মার্জনা চেয়ে বলেছেন, “আমাদের দেশের অন্নদাতাদের এই অভিযানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান জরুরি ও অবশ্য কর্তব্য, একদিন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আমরা যেন দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ভুলে না যাই। তাহলে আগামী দিনে হয়ত আরও ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হব আমরা”।

কৃষকের থেকে লুট: ২৪ নভেম্বর ২০২২

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *