জয় কিষাণ: ১৭ নভেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 7

ধানের বস্তা দিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ কৃষকদের  

ওড়িশার সোহেলার দুসমিলে চকে মঙ্গলবার কৃষকরা ‘কৃষক বিকাশ মঞ্চ, সোহেলা’র ব্যানারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, সরকার ধান সংগ্রহে বিলম্ব করায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে প্রায় ৪ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। আন্দোলনকারী চন্দ্রশেখর প্রধান বলেন, “কৃষকরা নভেম্বরের শুরু থেকে খরিফ ধান কাটা শুরু করেন। তাই নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ধান সংগ্রহ শুরু করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু ২৫ নভেম্বর থেকে ক্রয় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপরে আমরা ১৫ নভেম্বর থেকে ক্রয় শুরু করার দাবি জানিয়ে তহসিলদারের কাছে যাই। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা প্রতিবাদের আশ্রয় নিয়েছি।”

সোহেলার তহসিলদার হরিওম ভোই এবং আরএমসি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ধান সংগ্রহ শুরু করার লিখিত আশ্বাস দিলে দুপুর ২টোর দিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন আগামীতে অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা আন্দোলন আরও তীব্র করবেন।

সূত্র- দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

পশ্চিমবঙ্গে জয় কিষাণ আন্দোলনের সফলতা, কৃষকদের আংশিক দাবি মেনে নিল সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন সারা দেশে নানা অঞ্চলের কৃষকেরা ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন, বিক্ষোভ সংগঠিত করে আসছেন। এই আন্দোলনের চাপে মাথা নত করতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। চাষিদের বিভিন্ন দাবির পাশাপাশি দাবি ছিল, কৃষিঋণের বিমা প্রিমিয়াম ৪.৮৫ শতাংশ নেওয়া চলবে না। এটা ২ শতাংশ করতে হবে। পুরোটা না হলেও আংশিক দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, “আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটা দাবি ছিল, মহাজনি কায়দায় ৪.৮৫ শতাংশ বিমা প্রিমিয়াম নেওয়া চলবে না। তা কমিয়ে দুই শতাংশ করতে হবে। সেটা গতকাল থেকে তিন শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমরা ১.৮৫ শতাংশ কমাতে সমর্থ হয়েছি। এর ফলে প্রতি ৫ লাখ টাকা কৃষি ঋণে কৃষকদের ৯৫০০ টাকা সাশ্রয় হবে৷ এটি আমাদের আন্দোলনের আংশিক সাফল্য বলেই ধরা যেতে পারে এবং এটি সারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।”

উল্লেখ্য, শস্য বীজ ও সারের কালোবাজারি বন্ধ করা, সারের সঙ্গে আনুষাঙ্গিক হিসেবে অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা, চাষিদের থেকে চড়া হারে ফসল বিমার অর্থ নেওয়া বন্ধ করা সহ অন্যান্য দাবিতে ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য তথা কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি বজায় রাখছিল। আর তাতেই এই সাফল্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি, এইসব দাবিকে সামনে রেখে পোলবা দাদপুরের কৃষকেরা ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর হুগলি জেলা কমিটির নেতৃত্বে বাইক মিছিল করে সহ কৃষি অধিকর্তার কাছে গিয়ে দাবিসনদপত্রও পেশ করেন৷

জলসঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে দিল্লির মতো বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা পাঞ্জাবের চাষিদের

পাঞ্জাবে চাষের জলসঙ্কটের থেকে মুক্তি পেতে কৃষকরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছে । সেই সূত্রেই পাঁচটি কৃষক ইউনিয়ন সোমবার মোহালিতে দিল্লির মতো মোর্চা শুরু করার ঘোষণা করেছে।

এদিন এই ব্যাপারে বলবীর সিং রাজেওয়ালের উদ্যোগে কিষাণ ভবনে ভারতী কিষান ইউনিয়ন (রাজেওয়াল), অল ইন্ডিয়া কিষান ফেডারেশন, কিষাণ সংগ্রাম কমিটি পাঞ্জাব, ভারতী কিষান ইউনিয়ন-মানসা এবং আজাদ কিষাণ সংগ্রাম কমিটি নামে পাঁচটি কৃষক সংগঠনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এইসভায় জল সঙ্কট, পরিবেশ দূষণ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

রাজেওয়াল বলেন, যে সংগঠনগুলি গত মাসের সম্মেলনগুলি আয়োজন করেছিল তাতে প্রচুর সংখ্যক কৃষকেরা উপস্থিত হয়েছিলেন, যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে জল এবং পরিবেশের সমস্যাগুলি আলোচ্য বিষয় হিসেবে কৃষকদের কাছে উঠে আসছে।

এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৩০ ডিসেম্বর চণ্ডীগড়ে একটি স্থায়ী মোর্চা গঠন শুরু করা হবে। তার আগে এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এক লাখ পোস্টার বিতরণ করা হবে। কৃষকদের সংগঠিত করার জন্য ২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত জেলায় একটি করে যৌথ পদযাত্রারও আয়োজনের ব্যাপারে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, মন্তব্য পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়ার

কৃষকদের দাবিদাওয়া ইস্যুতে পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়ার তোপের মুখে সে রাজ্যের আপ সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ।

এছাড়াও বিরোধী দলনেতা বলেন যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বিক্রি যে কৃষকদের আইনি অধিকার সেই আইন প্রণয়নে সরকারের উদাসীনতা ক্রমশ কৃষকদের হতাশ করছে। একইভাবে, কেন্দ্রও আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং প্রতিবাদের সময় প্রাণ হারিয়েছে এমন কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান কৃষকদের পরিস্থিতিতে সেই প্রতিশ্রুতিগুলি যে বিশ বাঁও জলে সে কথা বলাই বাহুল্য।

তিনি আরো বলেন, “আগের বছর ১৯ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ঘোষণা করেছিলেন, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের। একই বক্তৃতায়, তিনি সারা দেশে কৃষকদের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। ”

প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে কেন্দ্র তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই আশ্বাস পেয়েই কৃষক সংগঠনগুলি তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। কিন্তু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া ছাড়া বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রতিশ্রুতির এখনও অবধি বাস্তবায়ন ঘটায়নি। আর এবার সেই ইস্যুতেই আক্রমণাত্মক পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া।

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরও খবর

একাধিক দাবিতে পথ অবরোধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার কৃষক ইউনিয়ন

একাধিক দাবিতে রাস্তা অবরোধ করল সংযুক্ত কিষান মোর্চার সঙ্গে যুক্ত কৃষক ইউনিয়নগুলি। গত বুধবার তাঁরা চণ্ডীগড় ও পাতিয়ালার সংযোগকারী রাস্তাটি অবরোধ করেছে।

তাঁদের প্রধান দাবি, সরকারের তরফ থেকে তাঁদের ফসলের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।পাশাপাশি বাতিল করতে হবে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশি মামলা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (একতা) সিধুপুরের পাতিয়ালা জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণ সিং বলেছেন, কৃষকরা রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছিলেন কিন্তু তা পূরণ হয়নি। তিনি আরো বলেন, “সরকার ফসলের অবশিষ্টাংশ না পুড়িয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি অনুদান ছাড়া অন্য উপায়ে এর ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয় বলে কৃষকরা ধানের খড় পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবর্তে, তারা অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য কৃষকদের নোটিশ পাঠাচ্ছে।”

বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ যান চলাচল পরিবর্তনের ব্যবস্থা করে।

সূত্র – দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকের থেকে লুট: ১৫ নভেম্বর ২০২২

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *