মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন-সহ কৃষক সংগঠনগুলি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করলেন। তাঁরা বলেন, রাস্তার পশু সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের মোদি ও রাজ্যের যোগী সরকার। তারা বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তাঁদের অভিযোগ, সরকার তাঁদের সমস্যায় কর্ণপাত করছে না। রাস্তার পশুরা প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার আলু, গম, বার্লি, সবজি ও সরষে-সহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি করে। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক মুকুট সিং বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাস্তার পশুদের হানা বন্ধ করার জন্য নতুন নীতি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকার তার কথা থেকে পুরোপুরিভাবে পিছিয়ে এসেছে। শীঘ্রই সরকার এই সমস্যার সমাধান না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন কৃষকরা।
সূত্র- নিউজ ক্লিক
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কিষাণ মান্ডিতে দুর্নীতি রুখতে চাষিদের বিক্ষোভ

কিষাণ মান্ডি কর্তৃপক্ষ ও ধান গোলা মালিকদের দুর্নীতির ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। এই অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষোভ দেখাল এআইকেকেএমএস। তারা গত বুধবার দাঁতন-২ ব্লকের বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনের নেতা বলরাম দাস-সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁদের অভিযোগ, কিষাণ মান্ডি কর্তৃপক্ষ ও ধান গোলার মালিকরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই প্রতারণা করছে। স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন অছিলায় কৃষকদের থেকে তাঁদের পরিচয়পত্র ও দরকারি কাগজপত্র নিয়ে ঠকাচ্ছেন। বিডিও অফিসে বারবার এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। খাকুড়দার ধনেশ্বরপুরে ধান কেনার ক্ষেত্রে কিষাণ মান্ডিতে এই প্রতারণা করা হচ্ছে।
বিডিও অফিসের সামনে পুলিশ তাঁদের এই বিক্ষোভ মিছিলের পথ আটকায়, যার ফলে তাঁরা আরো বেশি ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
সূত্র- বিপ্লব সব্যসাচী
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আখ চাষে বিপুল ক্ষতি

ভারত বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আখ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। ৫০ মিলিয়ন কৃষক আখ চাষের ওপর নির্ভরশীল এবং তাঁরা এই ফসল চাষের মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করেন। আখ চাষ দেশের কৃষি উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষা মরশুমে বৃষ্টিপাত ছিল অনিয়মিত। এমনকি ১০ বছর আগেও, কৃষকরা অবিরাম বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে পারতেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই বছর মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের আখ নষ্ট হওয়ায় তাঁরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের কৃষক আম্মার জাইদি বলেন, “আমি যখন ২০১৪ সালে চাষ শুরু করেছিলাম, তখন আমি প্রতি একরে ৪০ হাজার কেজি থেকে সাড়ে ৪২ হাজার কেজি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু গত দু’বছরে তাপপ্রবাহের কারণে আখ উৎপাদন একর প্রতি প্রায় ৩০ হাজার কেজি থেকে ৩৬ হাজার কেজিতে নেমে এসেছে”।
প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষকরা ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্র থেক শুরু করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির কোনও কৃষক-বান্ধব পদক্ষেপ এখনও অবধি নজরে পড়েনি। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে । এমন অবস্থায় দেশের ‘খাদ্যদাতারা’ ভয়ানক সঙ্কটে রয়েছেন।
সূত্র – স্ক্রোল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তেলেঙ্গানার ভাগচাষিরা ঋণের দায়ে জর্জরিত

বুধবার হায়দ্রাবাদে একটি সম্মেলন থেকে পাওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তেলেঙ্গানায় প্রতি তিনজন কৃষকের মধ্যে একজন ভাগচাষি। সেরাজ্যে হাজার হাজার কৃষকদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। রাইথু স্বরাজ্য ভেদিকা ৭৭৭৪ জন কৃষকের ওপর সমীক্ষা করেছে, যার মধ্যে ২৭৫৩ জন ভাগচাষি।
যদিও তেলেঙ্গানা সরকার আগেই বলেছিল যে ভাগচাষিদের সংখ্যা চিহ্নিত করা যায়নি কারণ তাঁরা যে জমি চাষ করেন তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। সরকারের অবস্থানের বিপরীতে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে তাঁদের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৭২ শতাংশ ভাগচাষি একই জমিতে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষ করছেন।
তেলেঙ্গানা রাজ্যে গড়ে একজন ভাগচাষির সাধারণ ভাবে ২৪ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ সুদের হারে ২.৬ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে। তাঁদের ৭৫ শতাংশ বেসরকারি ঋণদাতা হলেন সার ব্যবসায়ী, এমনকী জমির মালিকও । প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ভাগচাষিদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাঁদের জন্য রাইথু বন্ধু, রাইথু ভীমা এবং শস্য বিমা প্রকল্পের মতো ব্যবস্থার পাশাপাশি এলইসি কার্ড ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
সূত্র – দ্য নিউজ মিনিট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

