জয় কিষাণ: ১৬ নভেম্বর ২০২২

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 6

আলুর দামে পতন, বিপাকে ব্যবসায়ী থেকে চাষিরা

নভেম্বর মাসের শুরুতেই আলুর দামে পতন এ রাজ্যে। বিপাকে আলু চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা। গত মার্চ মাসে হিমঘরে সংরক্ষণের সময় আলুর দাম ছিল ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। বর্তমানে হিমঘরেই সেই আলুর প্রতি কুইন্টাল দাম দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা । অবস্থা যা দাড়িয়েছে তাতে কৃষক এবং সংরক্ষক উভয়েরই কুইন্টাল প্রতি লোকসান ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

এমনিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যের কৃষক বিরোধী অবস্থানে ক্রমশ কোণঠাসা অবস্থা কৃষকদের। মুনাফা তো দূর, ঋণের বোঝায় আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন চাষিরা। তার মধ্যে রাজ্যে আলুর দামের পতনে আলু চাষিদের মাথায় হাত।

চলতি বছরে মোট আলু উৎপাদন হয়েছিল ৯০ লক্ষ মেট্রিক টন। যা গড় উৎপাদনের থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন কম। মূলত সেই কারণে বাজারে সংরক্ষণের সময় আলুর দাম বেশি ছিল। এখন চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারের বর্তমান অবস্থা দেখে কৃষক ও সংরক্ষক উভয়ই চাইছেন সহায়ক মূল্য। অর্থাৎ রেশন এবং মিড ডে মিলে আলুর ব্যবহার। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়িয়ে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত করা হোক।

সূত্র- আজকাল

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

প্রতি কুইন্টাল আখের দাম ৪০০ টাকা করতে হবে, দাবি আম্বালার কৃষকদের

হরিয়ানার আম্বালায় সোমবার আখ চাষিরা দাবি করেছেন যে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য রাজ্য পরামর্শক মূল্য (এসএপি) এবার ৩৬২ টাকা প্রতি কুইন্টাল থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল করতে হবে। চলতি বছর তাঁদের ফসলে কীটের আক্রমণের ফলে কীটনাশক কিনতে তাঁদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও তাঁরা ফসল উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা করছেন।

গণ কিষান সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি বিনোদ রানা বলেন, “সরকার এখনও বেত মাড়াই মরশুমের জন্য এসএপি ঘোষণা করেনি। আখের ফসল কীটপতঙ্গের আক্রমনের কবলে থাকায় কৃষকরা কীটনাশক স্প্রেতে বিপুল পরিমাণ খরচ করেছেন। সরকারের উচিত এসএপি বাড়িয়ে অন্তত ৪০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল করা। নারায়ণগড় চিনিকলের দেরি করে বকেয়া অর্থ পরিশোধ উদ্বেগের আরেকটি কারণ। এমনকি আগের মরসুমের বকেয়াও মিলটি এখনও পরিশোধ করতে পারেনি।”

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

যথা সময়ে কৃষকদের সার জোগান দেওয়ার দাবি তুললেন গেহলট

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সোমবার আধিকারিকদের যথা সময়ে কৃষকদের সার জোগান দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। বিদ্যুৎ ও সার সরবরাহের পুনর্মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি একটি বৈঠক থেকে এই নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সেরাজ্যের কৃষকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে যে কোনও মূল্যে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের বলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবি শস্য সেচের জন্য কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।

আধিকারিকরা তাঁকে জানান, অক্টোবরে ভালো বৃষ্টির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার রবি শস্য উৎপাদন বেড়েছে ১৫ লক্ষ হেক্টর। একটি বিবৃতিতে এও বলা হয়, আরও শস্য বপনের কারণে সারের চাহিদা বিশেষত ইউরিয়া রাজ্য জুড়ে বেড়েছে।

সূত্র- আউটলুক

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হরিয়ানায় ২৪ নভেম্বর রেল অবরোধের ডাক ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের

ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর হরিয়ানা ইউনিটের প্রধান গুরনাম সিং চাদুনি সোমবার ঘোষনা করেন ২৪ নভেম্বর আমবালা ক্যান্টনমেন্টের কাছে মৌদা মান্ডিতে তাঁরা রেলপথ অবরোধ করবেন। তিনি অভিযোগ করেন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকার বৃহৎ পুঁজিপতিদের সহজেই দিয়ে দিচ্ছে সরকারি জমি। এর প্রতিবাদে এবং দিল্লির কৃষক আন্দোলনের দুবছর উপলক্ষ্যে তাঁরা ২৪ নভেম্বর এই জমায়েতের ডাক দিয়েছেন। এই জমায়েতের পরে তাঁদের রেল রোকো কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন।

চাদুনি বলেন যে, “তিনটি কৃষি আইন বাতিলের পর গত বছর দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করার সময়, কেন্দ্রীয় সরকার বিক্ষোভের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং সব ফসলের এমএসপি প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার রেল বাহিনীকে কৃষকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলি প্রত্যাহার করার জন্য কোনো নির্দেশ দেয়নি।” এছাড়াও কৃষকদের ঋণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশের কৃষকদের ওপর ৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে এবং প্রতি আধ ঘণ্টায় একজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন।”

সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

দক্ষিণ দিনাজপুরে সারের কালোবাজারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব বাম কৃষক সংগঠন

সোমবার বিকেল চারটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের মোহনা হাটে বালুরঘাট-কুমারগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। তাঁদের দাবি রাজ্য সরকারকে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি রুখতে হবে এবং সরকারি সহায়ক মূল্যে হাটে হাটে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে।

এদিনের এই পথ অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের কৃষক সংগঠনের নেতা মোফাজ্জল হোসেন, রঞ্জিত কুমার তালুকদার, সুনীল কিসকু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কৃষক সংগঠনের নেতা মোফাজ্জল হোসেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “সাধারণ জনগণের জন্য যে সমবায় সমিতি রয়েছে তাতে রাজ্য সরকার খুব সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার সরবরাহ করছে। অথচ যারা ব্যক্তিগতভাবে সারের ব্যবসা করছেন তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে সার সরবরাহ করা হচ্ছে। এই জন্য একটা কৃত্রিম সারের সংকট তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন,”এর ফলে সমবায় সমিতিতে যে সুফলা সারের দাম ১৭৫০ টাকা বস্তা, খোলা বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে তা কিনতে হচ্ছে ২২০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। এভাবে সার ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি দেখিয়ে মমতা ব্যানার্জির সরকার সার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার কৌশল করেছে। রাজ্য সরকারের এমন আচরণের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

সূত্র- উত্তরবঙ্গ সংবাদ

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকের থেকে লুট: ১৪ নভেম্বর ২০২২

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *