হরিয়ানায় টোল দিতে অস্বীকার করায় কৃষক নেতাকে নিগ্রহ

সম্প্রতি হরিয়ানায় লান্ধ্রি টোল প্লাজায় কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। সোমবার কৃষক নেতা সন্দীপ ধিরনবাস চিকানবাস গ্রামে যাওয়ার সময় টোল দিতে অস্বীকার করায় নিগৃহীত হন। কৃষকরা অভিযোগ করেন, কৃষক নেতা তাঁর গাড়িতে কৃষক সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে যাচ্ছিলেন। হিসার-শীর্ষা জাতীয় সড়কে টোল প্লাজায় কৃষক নেতাকে টোল দিতে বলায় তিনি টোল দিতে অস্বীকার করেন। জানা গেছে, আন্দোলনের চরিত্র একপ্রকার অসহযোগের মতো, সে কারণেই টোল দিতে চাননি এই কৃষক নেতা।
অল্পক্ষনেই পরিস্থিতি হিংস্র হয়ে ওঠে। অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি কৃষক নেতাকে লাঠিপেটা করতে থাকলে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আন্দোলনকারী কৃষকরা ঘটনাস্থলে যান এবং সন্দীপ ধিরনবাসকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কৃষকরা ফৌজদারি মামলা দায়ের করার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন বলে জানা গেছে৷ অন্যদিকে, লান্ধ্রি টোল প্লাজার আধিকারিকরা দাবি করেন এই ঘটনায় তাঁদের দুজন কর্মী আহত হয়েছে। যদিও টোল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মিথ্যা বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ঋণে জর্জরিত কৃষকরা, কেরলের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিরোধীদের

তথাকথিত বামপন্থীদের গড় বলে পরিচিত কেরালায় কৃষকেরা ঋণে জর্জরিত৷ চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এমনটাই অভিযোগ করে সংসদীয় বাম শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সেখানকার বিরোধীরা। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)-এর বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের অভিযোগ, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। রবার উৎপাদনে প্রণোদনা প্রকল্পের জন্য রাজ্যের তহবিল বাড়াতে সরকারের বেঁধে দেওয়া রবারের ন্যূনতম মূল্য ২৫০ টাকা প্রতি কেজি যে দাম ধার্য্য করা হয়েছিল তা কার্যকর থাকছে না।
মঙ্গলবার কেরালার বিরোধী দলের নেতা ভি.ডি. সতীসান বলেন, “কৃষি ক্ষেত্র অস্তিত্বের সঙ্কটের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তির ফলে আমদানিকৃত রবারে দেশীয় রবারের চাহিদা ক্ষুণ্ণ হবে”। তিনি আরও বলেন, “ক্রমবর্ধমান ঋণ কেরালার কৃষকদের জীবন সমস্যায় ফেলছে। সার ও কীটনাশকের দাম আকাশচুম্বী। চা, গোলমরিচ ও এলাচের দাম কমেছে। ঋণমুক্তির জন্য কেরালায় এক লাখের বেশি আবেদন প্রক্রিয়াহীন হয়ে রয়ে গেছে। লাখ লাখ কৃষক ব্যাংক থেকে ঋণ পুনরুদ্ধারের নোটিশের সম্মুখীন হয়েছেন”।
সূত্র- দ্য হিন্দু
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাহুল গান্ধির কাছে বিদ্যুৎ বিল ও সারের কালোবাজারি নিয়ে অভিযোগ করলেন রাজস্থানের কৃষকরা

রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রার পঞ্চম দিনে খিজুরি গ্রামে চায়ের বিরতির সময়ে কৃষিকাজের জন্য ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ বিল আদায় এবং সারের কালোবাজারি বিষয়ে রাহুল গান্ধির কাছে অভিযোগ করলেন রাজস্থানের কৃষকেরা। গত ১২ ডিসেম্বর সাওয়াই মাধোপুরের কৃষক বেণীপ্রসাদ মীনা রাহুল গান্ধির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন।
বেণীপ্রসাদ মীনার অভিযোগ, ইলেকট্রিশিয়ানরা মিটার রিডিংয়ের জন্য আসে না। বিদ্যুৎ বিভাগ তাঁদের ইচ্ছামতো বিল পাঠায়। পাশাপাশি গোটা গ্রামে কোন কৃষক বিদ্যুৎ বিলে কোনো ছাড় পায় না। এছাড়াও সারের কালোবাজারির ফলে চরম দুর্দশার শিকার কৃষকরা। ২৭০ টাকা মূল্যের সার তাঁরা ৬০০ টাকা মূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে তাঁরা সার পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। উল্লেখ্য, রাজস্থানে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসরই শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল। যদিও তিনি রাজস্থানি কৃষক সমাজের এমন অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই শুনেছেন। মনে করা হচ্ছে, এই ব্যাপারে রাজস্থান সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে কৃষকের পক্ষে থাকারই নির্দেশ তিনি দেবেন। তবে সময়ই এর উত্তর দেবে যে নিজের দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে রাহুল গান্ধি সত্যিই কৃষকের পক্ষে কিনা৷ সে দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্র- ইন্ডিয়া টুডে
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
গৃহহীন মানুষের বাসগৃহ পুনর্গঠনের দাবিতে লতিফপুরায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ

পাঞ্জাব পুলিশ কর্তৃক লতিফপুরায় ঘরবাড়ি ধ্বংস করার প্রতিবাদে পাঞ্জাব কিষাণ ইউনিয়ন (বাঘি)–এর নেতৃত্বে সোমবার পাঞ্জাবের মডেল টাউনে একটি প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন কৃষকেরা। লতিফপুরার ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহহীন আবাসিকদের সঙ্গে একযোগে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন কৃষকেরা।
এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে কৃষকরা ভেঙে ফেলা বাসগৃহ পুনর্নির্মান এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে একযোগে আন্দোলকারী কৃষকেরা এই মিছিল থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং জলন্ধরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জসকরঞ্জিত সিং তেজার কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।
পাঞ্জাব কিষাণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গুরদীপ সিং ভান্ডালের অভিযোগ “আবাসিকদের প্রতি পুলিশের অমানবিক আচরণ করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। বাসিন্দাদের প্রকাশ্যে পুলিশ হয়রানি করেছে, এমনকি এর ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই তাদের লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র খুইয়েছেন”। গুরদীপ সিং ভান্ডাল আরও বলেন, “আমরা লতিফপুরায় বাসিন্দাদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছি এবং যতক্ষণ না রাজ্য সরকার তাদের বাড়ি পুনর্নির্মাণে রাজি হয়, আমরা এখান থেকে সরব না”।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিধায়কদের বাসভবন ঘেরাও করল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি

অমৃতসরে বিধায়কদের বাসভবন ঘেরাও করল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি (কেএমএসসি)। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)-এর শরিক কৃষক সংগঠনগুলোর তরফে লোকসভা সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরের দিনই বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও করা হল।
সমিতির নেতা সারওয়ান সিং জানান, জেলার ন’জন বিধায়কের বাসভবনের বাইরে কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার নয় রাজ্য সরকারও তাঁদের সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করেনি। উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ ধরে কৃষকরা কেএমএসসির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ চালিয়েছেন। পাশাপাশি ডিসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ অবরোধও হয়।
প্রসঙ্গত, লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ডের সুবিচার, দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনের সময় নিহত কৃষকদের আত্মীয়দের চাকরি, সমস্ত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ, এবং বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আন্দোলন চলছে৷
সূত্র- ট্রিবিউন ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২
