দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষকদের বিক্ষোভ

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনে নিহত চাষিদের আত্মীয়রা ও অল ইন্ডিয়া কিষান কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার কৃষক। শুক্রবার এই সংগঠন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষকদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার কারণে “কৃষক বিরোধী” বলে অভিহিত করে। এমএসপি আইন তৈরি করার দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলনের পথে নামলেন তাঁরা।
এআইকেসি-এর যুগ্ম সমন্বয়কারী হরগোবিন্দ সিং বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। কৃষিবিরোধী আইনের প্রতিবাদ শেষ হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু সরকার এখনও এমএসপি আইন প্রণয়ন করার প্রতিশ্রুতি পূরন করেনি।”
সূত্র- দ্য সিয়াসত ডেইলি
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সারের কালোবাজারি রোখা-সহ অন্যান্য দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলির বিক্ষোভ

কুচবিহারের দিনহাটায় বুধবার সারের কালোবাজারি রুখতে একজোট হল কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, ফসল ফলানোর জন্য যে সার লাগে তা চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়াও সারের সঙ্গে আনুষাঙ্গিক অপ্রয়োজনীয় জিনিস চাষিদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। সারের কালোবাজারি বন্ধ করা-সহ ভর্তুকি দিয়ে সার বিক্রির ব্যবস্থা করা, ১০০ দিনের কাজ চালু, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত প্রাপকদের ঘর দেওয়ার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। প্রসঙ্গত, সারের কালোবাজারি বন্ধ করা জয় কিষাণ আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে একটি। কৃষকদের এই হয়রানির বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। কৃষকরা জানিয়েছেন যদি তাঁদের দাবিগুলি অবিলম্বে মেনে নেওয়া না হয় তবে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগোবেন।
ফসল নষ্ট করছে অভুক্ত হাতির পাল, সরকার নীরব দর্শক

পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় হাতির পালের আনাগোনায় বিপর্যস্ত চাষিরা। চাষিদের ফসল অবলীলায় নষ্ট করছে হাতিরা। মরশুমের এখন ধান পাকার সময় আর ঠিক তখনই খাদ্যের সন্ধানে ঘুরতে থাকা হাতিরা প্রথমে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল হয়ে প্রবেশ করে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকাতে। হাতিদের দলটিতে প্রায় ১০০ হাতি ছিল বলে জানা গেছে। যদিও প্রশাসন এখনও নীরব।
উল্লেখ্য, সরকার জল-জঙ্গল-জমি কেড়ে নিয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে বহু পশুপাখিদেরও উচ্ছেদ করেছে। আর তার ফলে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে বার বার এভাবে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হাতির পালের আনাগোনায় চাষিদের ফসল নষ্টের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতায় আরও একবার চাষিদের শ্রমার্জিত ফসল নষ্ট হল।
বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানির ফলে ক্ষতির মুখে দেশের কৃষকরা

দিন দিন বেড়ে চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। যার ফলে ক্ষতির মুখে কৃষকরা। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে সর্ষে বা অন্যান্য তৈলবীজের চাষে লাভের পরিমাণ কমে গেছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ভোজ্য তেলের আমদানি করা হচ্ছে ভারতে।
বুধবার একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত তিন বছরে বাইরে থেকে ভোজ্য তেল আমদানির ফলে দ্বিগুণ টাকা ব্যয় হয়েছে দেশে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের তৈলবীজ চাষিরা।
এই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে একজন কৃষক দাবি করেন, সরকার এমএসপি আইন জারি করলে দেশের আর্থিক অবস্থার এইরকম ক্ষতি হত না। পাশাপাশি দেশের কৃষকরাও এইরকম দুর্দশার মুখে পড়তেন না।
সূত্র- কলকাতা টিভি
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ৮ ডিসেম্বর ২০২২

