নিকাশি ক্যানেল করেনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, অবরোধ কৃষকদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হলো ডেবরা ব্লকের আযাঢ়ী মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। কেন্দ্রীয় সরকাররে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে তৃণমূল সরকারের পুলিশ বাধা দেয়। জাতীয় সড়কের ৬টি লেন দখল নিয়ে একদিকে হয় বিক্ষোভ মিছিল অপর লেনে হয় সড়ক অবরোধ। পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচিতে অটল থাকেন।
কৃষকরা দাবি তোলেন জাতীয় সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, রাজ্যের সেচ দপ্তরের আধিকারিক, জেলা শাসককে ঘটনাস্থলে হাজির করুন, তারপর অবরোধ তুলে নেওয়া হবে। তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই অবরোধ বিক্ষোভ। জল নিকাশি, ফসলের ক্ষতিপূরণ সহ আগের মতো স্থায়ী নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ সহ বিক্ষোভ সভা শুরু হয়।
গ্রাহকদের টাকা ফেরানোকে অজুহাত করে কৃষি সমবায়ের ঘর, জমি বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রাহকদের আত্মসাত করা টাকা ফেরতের অজুহাতে ফেরাতে সমবায় সমিতির অফিসই বিক্রি করে দিল তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব মেদনীপুর জেলাতে। এই জেলার কাঁথি তিন ব্লকের বেতালিয়া দূরমুঠ কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির দোতলা অফিসের অর্ধেক অংশ সহ সামনে ফাঁকা জমি মোট ৪ ডেসিমেল জায়গা বিক্রি করা হয়েছে তৃণমূলের দূরমুঠ অঞ্চল সভাপতি শ্যামল দাসকে। যিনি আবার ওই সমবায়ের পরিচালন কমিটির সদস্য। আর বিক্রি করেছেন সমবায় সমিতির সম্পাদক দূরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন কুমার মাইতি। এই সমিতির গ্রাহক সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি।
একজন গ্রাহক জানান ‘গতবছর সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ গ্রাহকরা টাকা তুলতে গেলে তাদের জানানো হয় সমিতির ফান্ড তলানিতে। তাই এখনই টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই ঘটনা যখন জানাজানি হতেই সমস্ত গ্রাহক সমবায় সমিতিতে গিয়ে জানতে চান কেন তাদের জমানো টাকা ব্যাঙ্কে নেই। তৎকালীন তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। দীর্ঘদিন এভাবে টালবাহানা চলতে থাকে।’ গ্রাহকরা তাদের টাকা না পেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কোনও সুরাহা না মেলায় সমবায় সমিতির গেটে তালা মেরে করে দেয় জোটবদ্ধ গ্রাহকরা।
জলে ডুবেছে আনাজ ক্ষেত, ক্ষতির আশঙ্কায় ভাঙড়ের চাষি

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মাঠঘাট, আনাজের খেত। বিভিন্ন এলাকায় জলের তলায় শীতকালীন আনাজ, ধান। প্রবল বৃষ্টির কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং, ক্যাপসিকাম, ঝিঙে, পটল, লঙ্কা, টমেটো-সহ বিভিন্ন ধরনের আনাজের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়, জীবনতলা, জয়নগর, কুলতলি-সহ বিভিন্ন এলাকায় অগ্রিম শীতকালীন আনাজের চাষ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ফুলকপি, বাঁধাকপি ধরেছে।
ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় এখনই উঠতে শুরু করেছে সেই কপি। ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের একটি কপির দাম ২৫-৩০ টাকা। পুজোর আগে কপি, পালং, ক্যাপসিকাম-সহ বিভিন্ন আনাজ ওঠার কথা ছিল। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অধিকাংশ খেতের বাঁধাকপি, ফুলকপি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন