জয় কিষাণ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 3

রাজ্যজুড়ে ফর্ম ভরবেন খেতমজুররা, লড়াই হবে আদালতেও

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লিতে তৃণমূল আর বিজেপি লোকদেখানো কুস্তি করছে। আবাস যোজনা, একশো দিনের টাকা চুরি করছে তৃণমূল। আর দিল্লির বিজেপি সরকার শাস্তি দিচ্ছে খেতমজুর আর গরিব মানুষকে। পথে নেমেই এই অন্যায় প্রতিরোধ করতে হবে। হবে নবান্ন অভিযানও। 

সোমবার এই মর্মে ডাক দিয়েছে ধর্মতলার খেতমজুর সমাবেশ। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় রয়েছেন গ্রামের এই সর্বহারা অংশ। প্রতিরোধে নেমে দাবি আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এ বিজয়রাঘবন, সাধারণ সম্পাদক বি ভেঙ্কট, রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ, সম্পাদক নিরাপদ সর্দার। সংগঠনের নেত্রী বন্যা টুডু। বক্তব্য রেখেছেন  সর্বভারতীয় সহসভাপতি অমিয় পাত্র, আইনজীবী এবং রাজ্যের সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। 

নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন যে এবার সারা রাজ্যে একশো দিনের কাজের আইন অনুযায়ী ‘৪-ক’ ফর্ম ভরার প্রচার হবে। ফর্ম জমা দেওয়া হবে পঞ্চায়েতে। আইন অনুযায়ী দেশের সরকার কাজ দিতে বাধ্য। কাজ না পেলে আদালতেও নিয়ে যাওয়া হবে এই লড়াই।  

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ খেতমজুর সংগঠনের

নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশি অসহযোগিতা উড়িয়ে দিয়ে রানী রাসমণি এভিনিউ-এর ৩টি লেনেরই দখল নিয়েছেন খেতমজুররা। ২০১৫ সালে সংগঠন তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথম এত বড় সমাবেশ করছে খেতমজুর ইউনিয়ন। স্মার্ট মিটার থেকে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল এবং দেশের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন খেত মজুর নেতৃত্ব। 

রাজ্যে চাকরি নেই। ছেলেমেয়েরা অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। কৃষিতে আয় নেই। পঞ্চায়েতগুলোকে শুকিয়ে মারা হচ্ছে। দিল্লি টাকা দিচ্ছে না। আর রাজ্যে টাকা চুরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না দিল্লি। তাই গ্রামে গ্রামে ১০০ দিনের কাজের দাবিতে মানুষকে সংগঠিত করার ডাক দেওয়া হয় সম্মেলনে।

প্রকল্পে ‘চুরি’র শাস্তি টাকা আটকে কেন, প্রশ্ন সমাবেশে

নানা প্রকল্পে ‘চুরি’ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য রাজ্যের মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার! এই অভিযোগ তুলে দুই সরকারের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের ডাক উঠে এল সিপিএমের ক্ষেতমুজর সমাবেশ থেকে। পাশাপাশিই, ১০০ দিনের কাজের দাবিতে রাজনৈতিক লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের কথাও ঘোষণা করলেন ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য নেতৃত্ব। কৃষক সভা থেকে আলাদা করে সিপিএম ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন গড়েছে ৬ বছর আগে।

ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্বও। বিভিন্ন জেলার গ্রাম থেকে চোখে পড়ার মতো মানুষ এসেছিলেন ওই সমাবেশে। গত সপ্তাহে কৃষক সমাবেশের পরে এ বার ক্ষেতমজুর সমাবেশে ভিড় উৎসাহ বাড়িয়েছে সিপিএম নেতৃত্বের। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল স্তরে সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে নজর দিতে চাইছেন তাঁরা।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

স্মার্ট চিপ যুক্ত মিটার বসানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কীর্তি কিষাণ ইউনিয়নের

নিজস্ব সংবাদদাতা: শত শত স্মার্ট চিপ মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে আজ পটদার এক্সিওন অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে কীর্তি কিষাণ ইউনিয়ন। ধর্নার সময় ডেধানা গ্রামে যে চারটি স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে তা এক্সিয়ন অফিসে বসানোর দাবি জানিয়েছে ইউনিয়ন।

মিটারে ডি-কোড দেখিয়ে জনগণকে হাজার হাজার টাকা জরিমানা আরোপে দপ্তরের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইউনিয়ন।

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *