জয় কিষাণ: ৭ জানুয়ারি ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 6

ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি: কী এবং কীভাবে?

যোগেন্দ্র যাদব

(প্রথম কিস্তির পর)
এই একটি বাক্যে চারটি দাবি রয়েছে। প্রথমত, সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ২৩টি ফসলের (প্রধানত খাদ্যশস্য, ডাল এবং তৈলবীজ) এমএসপি ঘোষণা করেছে। কৃষক আন্দোলনের দাবি – সব মোটা শস্য, বনজ পণ্য, ফলমূল, শাকসবজি এবং দুধ, ডিম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কৃষকের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হল এমএসপি নির্ধারণ করা হবে লাভজনক মূল্যের নীতির উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ, স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবিত সূত্র অনুসারে, সম্পূর্ণ খরচের (সরকারি ভাষায় সি২ খরচ) কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লাভ অনুসারে এমএসপি নির্ধারণ করা হবে। তৃতীয় দাবি হল, সরকার শুধু এমএসপি ঘোষণা করবে না, সমস্ত কৃষককে সম্পূর্ণ ফসলের জন্য অন্তত এমএসপি দেওয়ার দায়িত্বও নেবে। সরকার নিজে ফসল কিনুক বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, কিন্তু কৃষকদের ওই দাম পাইয়ে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। এই দাবির শেষ এবং চতুর্থ অংশটি হল যে এমএসপি প্রদান শুধুমাত্র একটি সরকারি প্রকল্প হবে না, এটিকে মনরেগা (MGNREGA)-এর মতো একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। অর্থাৎ, কৃষক যদি এমএসপি’র থেকে কম দাম পান, তাহলে অধিকার এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করতে তিনি আদালতে যেতে পারবেন।

বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জিন্দের মহাপঞ্চায়েত সফল করার ডাক দিলেন কৃষক নেতা যোগিন্দর নেইন

দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে হরিয়ানার জিন্দে চাষিদের মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ জানুয়ারি। এই মহাপঞ্চায়েত সফল করার ডাক দিলেন কৃষক নেতা যোগিন্দর নেইন। তিনি বলেন, “২৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে হওয়া কৃষকদের দিল্লি অভিযানের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। ঐ অভিযানে পুলিশ প্রচুর কৃষকের ওপর লাঠি চালায়। পুলিশের এই বর্বরোচিত আক্রমণকে স্মরণে রেখে এই মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। ঐ দিন কৃষক আন্দোলনের সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন”।

সূত্র- একেডি নিউজ

বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন

ক্ষেতমজুরকে খুন করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি: মীমাংসার নাম করে ডেকে নিয়ে দুর্গাপুরে এক ক্ষেতমজুরকে খুন করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। মৃত ক্ষেতমজুরের নাম ঝুলন রুইদাস (২৩)। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দুর্গাপুরের বামননাড়া গ্রামের ঘোষপাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে মানিকআড়ার আঁকুড়েপাড়ার কয়েকজনের বিবাদ হয়। যদিও ঐ ঘটনায় মৃত ক্ষেতমজুরের কোনও যোগ না থাকলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মারামারি হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও ঝুলন পালাতে পারেননি। এই সময় ১০-১২ জন ঝুলনকে ঘিরে মারতে থাকে। আধমরা অবস্থায় তাঁকে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়।

পরে তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবার তাঁকে ঐ নার্সিংহোমেই ভর্তি করা হয়। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,”রাজ্যে আইনের শাসন কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে”।

তেলেঙ্গানার কামারেডি জেলায় কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানাতে বাণিজ্যে হরতাল

শুক্রবার কামারেডি জেলায় বন্ধ থাকল দোকান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কৃষক প্রতিবাদকে সংহতি জানাতে এলাকার ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ওই জেলায় শিল্পাঞ্চল তৈরি করার প্রকল্পের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন কৃষকরা।

তাঁদের দাবি, ওই এলাকায় শিল্পাঞ্চল গঠন করা হলে কৃষিজমি হারাবেন তাঁরা। সম্প্রতি জমি হারানোর ভয়ে এক কৃষক আত্মহত্যা করেন। এলাকার কৃষকরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। বৃহস্পতিবার এলাকার কৃষক-সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কালেক্টরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

সূত্র- সিয়াসত

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে হরিয়ানার কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আখের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের পথে নামলেন হরিয়ানার কৃষকরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা রাজ্য জুড়ে সকল চিনিকলের বাইরে ধর্নায় বসেন। এমনকি দুই ঘণ্টার জন্য তাঁরা মিলগুলোতে আখ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।

গন্না কিষাণ সংঘর্ষ সমিতির রাজ্য সহ-সভাপতি রামপাল চাহাল বলেন, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেই এই ধর্না পরিচালিত করা হয়। তাঁরা ৯ জানুয়ারি অবধি রাজ্যের সকল মিলগুলোর বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। তাঁদের দাবি না মানা হলে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ১০ জানুয়ারি একটি কিষাণ মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত করবেন। তিনি আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিতে চিনিকল আছে সেই রাজ্যগুলিতে ৬০% থেকে ৭০% কৃষক আখ চাষ করেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।

হরিয়ানার আখ চাষিদের দাবি, উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি হয়েছে। এই খরচ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা কুইন্টাল প্রতি ৪৫০ টাকা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দাবি করেন। আগের বছরের মতো এই বছরেও সরকার আখের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৩৬২ টাকা নির্ধারণ করে। হরিয়ানায় ১৪টি চিনিকল আছে যার মধ্যে তিনটি রোহটকে এবং দুটি সোনিপাতে রয়েছে। রাজ্যের সাতটি জেলায় একটি করে চিনিকল থাকলেও বাকি দশটি জেলায় কোনো চিনিকল নেই।

ওড়িশায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হান্নান মোল্লা

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার ভুবনেশ্বরে লোহিয়া অ্যাকাডেমিতে ওড়িশা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) রাজ্য স্তরের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে হান্নান মোল্লা। এতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৩৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় এসকেএমের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন হান্নান মোল্লা।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় জেলা ও ব্লক স্তরে ২৯টি জেলায় ট্রাক্টর সমাবেশের আয়োজন করা হবে। ডাক দিলে তারা পার্লামেন্ট মিছিলেও যোগ দেবেন। প্রয়োজনে কৃষকরা তাঁদের রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজ্য স্তরে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলেও জানান হান্নান মোল্লা। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে হান্নান মোল্লা এসকেএম-এর সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।

কৃষকের থেকে লুট: ৫ জানুয়ারি ২০২৩

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *