গোয়াতে বিলাসবহুল ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে চাষিদের বিক্ষোভ

গোয়ার মারগাওতে ময়না লেকের তীরে প্রস্তাবিত সারি ভিলা ক্লাবহাউস প্রকল্পের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ময়না-কুরটোরিমের প্রায় ৩০০ জন কৃষক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা কুর্তোরিম গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে বিক্ষোভ করেন। পঞ্চায়েত ভবনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা প্রকল্পের এনওসি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পঞ্চায়েতের প্রাঙ্গণ ছেড়ে না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
কৃষকদের অভিযোগ, এই ভবন নির্মিত হলে তাদের গ্রামের পরিবেশ বিপন্ন হবে। এছাড়া রিয়েল এস্টেট প্রকল্পটি জলাশয়ের খুব কাছাকাছি পরিকল্পনা করার ফলে ভিলা থেকে ময়না লেকে বর্জ্য নিষ্কাশন করা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন কৃষকরা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা জানান যে লেকটি একটি জলাধার হিসেবে কাজ করে যা সোলবেম এডির কৃষকরা চাষাবাদ ও কৃষিকাজে ব্যবহার করেন।
সূত্র- হেরাল্ড গোয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবের টোল প্লাজায় কৃষকদের আন্দোলন বুধবার ২০ দিনে পড়ল

কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতৃত্বে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন বুধবার ২০ দিনে পড়ল। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা বিগত ২০ দিন ধরে পাঞ্জাবের ১৮টি টোল প্লাজা অবরোধ করে রেখেছেন। অমৃতসর জেলায় অমৃতসর-পাঠানকোট জাতীয় মহাসড়কের কাঠু নাঙ্গাল, অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়কের মানাওয়ালা এবং অমৃতসর-আটারি জাতীয় সড়কের ছিদানের টোল প্লাজায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে মাদক চোরাচালান রোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, কেরালা সরকারের আদলে ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) গ্যারান্টি আইন কার্যকর করা, MGNREGA-এর অধীনে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, পাঞ্জাবের জল বাঁচাতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরি করা, ধানের বিকল্প ফসলের নিশ্চয়তা প্রদান ইত্যাদি। কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “টোল প্লাজাগুলি কর্পোরেটদের লাভবান এবং জনসাধারণকে লুট করায় আমরা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।” কৃষকদের সাফ কথা, তাঁদের দাবিগুলি মানা না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এমএসপির দাবি তুললেন অখিলেশ যাদব

উত্তরপ্রদেশে যোগী শাসনে কৃষকদের ভয়াবহ দুর্দশার নানা খবর মাঝেমাঝেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। এবার সেরাজ্যের কৃষকদের পক্ষে সওয়াল করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা ফসলের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তাঁদের বকেয়া টাকা দিতেও বিলম্ব করছে সরকার। রাজ্য সরকার কৃষকদের সময়মতো সার, বীজ এবং বিদ্যুৎ প্রদান করছে না। আগের মরসুমেও চিনিকলগুলি থেকে কৃষকদের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকার কৃষকদের প্রতারিত করেছে, তাঁদের ঋণ মকুব করা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিজেপি সরকার বিনামূল্যে সেচের জন্য বিদ্যুৎ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখন রক্ষা করছে না সরকার।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে ভারতীয় কিষাণ সংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনটি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে আরএসএস-এর কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষাণ সংঘের কোনও ভূমিকাই ছিল না। এখন তাঁরা কৃষকদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে। হামলা-মামলা দিয়ে চাষিদের দমিয়ে রাখা যায়নি। আর তাই এবার কৃষক-দরদি মুখোশ পরে মাঠে নেমেছে আরএসএস। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার থেকে কৃষকদের সরিয়ে নিয়ে কর্পোরেট বিরোধী সংগ্রামকে ভোঁতা করার চেষ্টায় সম্প্রতি দিল্লিতে সংঘ পরিবারের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষাণ সংঘ এক সমাবেশ করে। এ বিষয়ে জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা বলেন, “সরকার বনাম কৃষকের যুদ্ধক্ষেত্রে যে দিকে কৃষকরা আছেন সেই দিকটি দখল করার চেষ্টা করছে আরএসএস-বিজেপি”।
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
কালনায় ফুলকপির দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে চাষিরা

কালনার পাইকারি বাজারে ফুলকপির দাম হঠাৎ হ্রাস পাওয়ায় দুর্দশার মুখে এলাকার কৃষকরা। কালনা মহকুমার পাইকারি বাজারগুলিতে ফুলকপির দাম দুই টাকা, সর্বোচ্চ চার টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপিতেও একই হাল।
কালনার জিউধারা, ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়, পারুলিয়া, কালেখাঁতলা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আনাজের পাইকারি বাজারে কৃষকরা তাঁদের ফসল বিক্রি করতে যান। সেই বাজারে যাওয়ার খরচাও উঠছে না বলেই দাবি এলাকার কৃষকদের। তাঁরা জানান, বেগুন, মুলো, টমেটোর দাম খুব বেশি হলে ১০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। খরচ না ওঠার কারণে তাঁরা ফসল গবাদি পশুদের খাইয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। মঙ্গলবার এই বাজারে ফুলকপির সর্বোচ্চ দাম চার টাকা করে পেয়েছেন তাঁরা। কালেখাঁতলা পাইকারি বাজারের আড়তদার ক্ষুদিরাম মাহাতো জানান, ফুলকপির ক্রেতা না থাকায় পাইকারি মূল্য এক টাকাতেও নেমে যাচ্ছে। বাজারের দর এত হ্রাস পাওয়ায় ফুলকপির মরসুমে লাভের তুলনায় লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন কৃষক সমাজ। তাঁদের বক্তব্য সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এমএসপি চালু থাকলে এই সমস্যায় পড়তে হত না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ৩ জানুয়ারি ২০২৩
