কর্পোরেটকে চা বাগানের জমি দেওয়া রুখতে আন্দোলনের ডাক

নিজস্ব সংবাদদাতা: চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কোনও অবস্থাতেই বাগিচা শ্রমিকদের জমি লুঠ হতে দেবে না। যে কোনও মূল্যে জয়েন্ট ফোরামের নেতৃত্বে চা শ্রমিকরা রাজ্য সরকার ও মালিকপক্ষের যৌথপ্রতারণা রুখবেনই। দাবি না মিটলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মিত্র সম্মিলনী সভাগৃহে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক সমাজের নাগরিক কনভেনশনে আওয়াজ উঠেছে, “আমাদের জল, জমি, জঙ্গল, কাজের মজুরি নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি ও ন্যায্য জমির অধিকার সুনিশ্চিত করুন”।
সমন পাঠক, তেজকুমার টোপ্পো, সুনীল রাই, বীণা সামাদ প্রমুখকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী এদিন কনভেনশনের কাজ পরিচালনা করেন।
সেচের জল নেই, রাস্তা অবরোধ কৃষকদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: খাল সংস্কার না হওয়ার কারণে আট গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমিতে চাষ বন্ধ। কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের, এমনি অভিযোগ। বাধ্য হয়েই এই আট গ্রামের কৃষকরা বুধবার কামারদা বাজার এলাকায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের নন্দকুমার ব্লকের। কালিকাখালির অন্তরগত কামারদা থেকে পুয়াদা পর্যন্ত খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। ফলে এলাকায় চাষের সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ, খালের পাড়ে একাধিক বেআইনি নির্মাণের কারণে জোয়ারের জল আসতে পারছে না। ফলে চাষের কাজও বন্ধ।
এলাকার বেশ কিছু গাছও কেটে ফেলেছে প্রশাসন। কেন গাছ কাটা হয়েছে কারণ জানতে চাইলে সদুত্তর পাওয়া যায়নি পঞ্চায়েতের তরফ থেকে।
ভাঙড়ে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আটকালেন গ্রামবাসীরা

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মাটি মাফিয়াদের দাপট বেড়েছে ভাঙড়ে। আর তার বিরুদ্ধে এবার তেড়েফুঁড়ে উঠলেন চাষিরা। রাতের অন্ধকারে কৃষিজমি থেকে মাটি চুরির প্রতিবাদ করলেন এবার স্থানীয় গ্রামবাসীরাই। সোমবার রাতে মাটির ডাম্পার আটকে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান এবং মাটি চুরি রুখতে প্রতিবাদ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানার পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনের অদূরে পোলেরহাট জয়নগর গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, পোলেরহাট হাইস্কুলের পাশে বন্ধ থাকা একটি ইটভাটা লাগোয়া জমি থেকে মাটির নেওয়ার জন্য ডাম্পার চালাচ্ছিল স্থানীয় মাটি মাফিয়ারা। সেই খবর জানাজানি হতেই সোমবার রাতে শ্যামনগরের গ্রামবাসীরা ওই ডাম্পারগুলি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
সূত্র – এই সময়
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন গোঘাটের কৃষকরা

আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে কৃষকরা। পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আর্থিক করিডর হচ্ছে। খড়গপুর-মোড়গ্রাম, হলদিয়া-রক্সৌল-কলকাতা ও বারাণসী করিডরের জন্য ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ল্যান্ডম্যাপ সুনিশ্চিত করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই মতো এবার হতে চলেছে জমি অধিগ্রহণ। খড়গপুর-মোড়গ্রাম করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পোঁতা হয়েছে পিলার।
হুগলিতে নিজেদের জমি ছাড়াতে নারাজ কৃষকরা। ন্যায্য দামের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। গোঘাটের চাষিদের বক্তব্য, তিন ফসলি জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। জমির পরিবর্তে জমি চাই, বলছেন আদিবাসী কৃষকরা। জমি চলে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন প্রান্তিক কৃষকরা। তাঁদের দাবি, চাকরি চাই।
সূত্র – টিভি ৯ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন