কর্ণাটকে চাষিদের প্রতিবাদ দমনের প্রচেষ্টাকে ধিক্কার জানাল আপ

বৃহস্পতিবার কর্ণাটক জুড়ে প্রায় ২০টি জেলায় কৃষকদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন আম আদমি পার্টির কর্ণাটক ইউনিটের সম্পাদক বি.টি. নাগান্না। উল্লেখ্য, আখ-সহ বিভিন্ন ফসলের ন্যায্য ও পারিশ্রমিক মূল্যের দাবিতে কৃষকরা মাণ্ড্যতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন।
বেঙ্গালুরু আপ অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগান্না বলেন, “কৃষকরা গত ৫২ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন, কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করেনি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে আসার সঙ্গে সঙ্গে, রাজ্য সরকার অস্বস্তি এড়াতে কৃষকদের এই আন্দোলন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। কর্ণাটক সরকার এখন আন্দোলনকারীদের দমন করতে নৃশংস পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করে তাদের শাস্তির আশ্রয় নিয়েছে”। আপ নেতা অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই যদি কৃষক সমাজের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতেন তবে অন্তত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল তাঁর।
সূত্র- ডেইজিওয়ার্ল্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিসের সামনে কৃষকদের বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার আখের রাজ্য পরামর্শিত মূল্য (SAP) নির্ধারণে বিলম্বের অভিযোগে কৃষকরা হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিসের কাছে বিক্ষোভ করেছেন। চাষিদের এই বিক্ষোভে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (চারুনি) নেতৃত্ব দেয়। তারা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকাও দাহ করে। এদিনের বিক্ষোভে কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিস ঘেরাও করার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ তাঁদের সেই চেষ্টায় বাধা দেয়।
এদিনের বিক্ষোভ থেকে কৃষকরা রাজ্য সরকারকে একটি চূড়ান্ত সমসসীমা দেন। তাঁরা বলেন যদি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএপি প্রতি কুইন্টাল ৪৫০ টাকা না করা হয় তবে তাঁরা ১০ জানুয়ারি কর্নাল শস্য বাজারে একটি কিষাণ মহাপঞ্চায়েত করবেন।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (চারুনি)-এর সহ-সভাপতি এবং গান্না সংঘর্ষ সমিতি হরিয়ানার রাজ্য সহ-সভাপতি রামপাল চাহাল বলেন, “আমরা সরকারকে আখের রাজ্য পরামর্শিত মূল্য প্রতি কুইন্টাল ৪৫০ টাকা করার দাবি জানাই কারণ ইনপুট খরচ বেড়েছে”। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (চারুনি)-এর মুখপাত্র রাকেশ বেইনস বলেন, “কৃষকদের সমস্যা কার্যকরভাবে তুলে ধরা জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব। এ বছর আখের দাম বাড়ানো হয়নি, উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষকরা আজ তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কৃষকরা ধর্না প্রদর্শন করবেন এবং তারপরে ১০ জানুয়ারি কার্নালে একটি কিষাণ মহাপঞ্চায়েত করবেন।”
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মধ্যপ্রদেশে কড়াইশুঁটি চাষিদের প্রতিবাদ

মধ্যপ্রদেশে কড়াইশুঁটির প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় প্রতিবাদে পথে নামলেন কৃষকরা। খোলা বাজারে কড়াইশুঁটির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে জব্বলপুর-ভোপাল জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তাঁরা।
রবিবার ভারতীয় কিষাণ সংঘের জাতীয় মুখপাত্র রাঘবেন্দ্র প্যাটেল বলেন, জব্বলপুর জেলায় এক-জেলা এক-পণ্য প্রকল্পের অধীনে এলাকার কৃষকরা কড়াইশুঁটি বেছে নিয়েছেন। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে ওই এলাকায় কড়াইশুঁটির ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজন। এই আইন প্রণয়ন করা না হলে কৃষকরা কড়াইশুঁটি উৎপাদনে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। চাষিদের ক্ষতির কবল থেকে বাঁচানোর জন্য এই আইন প্রণয়ন করা খুবই দরকার। সরকার যদি অবিলম্বে তাঁদের দাবির সমর্থনে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও নামবেন।
সূত্র- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাসকে তুলোধোনা করল অল ইন্ডিয়া কিষাণ কংগ্রেস

বিজেপির ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার দাবিকে তীব্র আক্রমণ করল অল ইন্ডিয়া কিষাণ কংগ্রেস। তারা অভিযোগ করেছে যে এনডিএ শাসনকালে কৃষকদের আয় প্রকৃতপক্ষে কমে গেছে। অল ইন্ডিয়া কিষাণ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুখপাল সিং খাইরা বলেন, “২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০২২ সালে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁদের আয় দ্বিগুণ করার কথা তো দূর, যদি মুদ্রাস্ফীতির হিসেব করা হয়, এই বছরগুলিতে কৃষকদের আয় আসলে কমেছে”। তিনি মোদি কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আরেকটি মহাকাব্যিক জুমলা”।
২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অল ইন্ডিয়া কিষাণ কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তোলেন যে ২০১৬ সালে এই উদ্দেশ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের কী হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন ভারত সরকার জাতীয় নমুনা সমীক্ষা ২০১৮ সালে প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা গেছে কৃষকদের আয় প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে এবং এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
সূত্র- ইন্ডিয়া টুডে
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জলদাপাড়ায় হাতির হানা, নষ্ট হল আলু ক্ষেত

জলদাপাড়ায় হাতির হানায় নষ্ট হল কয়েক বিঘা আলুর ক্ষেত। বিপাকে পড়লেন এলাকার আলু চাষিরা। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহের বুধবার থেকে একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অস্থায়ী বনকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই আন্দোলনের ফলে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান অসুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এই কারনেই জঙ্গল থেকে বন্য হাতি বেড়িয়ে এসে এলাকার ক্ষেত নষ্ট করছে।
এই ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নবেনুর ইসলাম নামের এক চাষি। স্থানীয়দের দাবি, বন্য হাতির দল ওই চাষির তিন বিঘা জমি নষ্ট করে দেয়। বন দফতরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তারা কোনোরকম পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ফের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে পথ অবরোধ করার কথাও বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জায়গায় জায়গায় হাতির হানায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বন দফতর বা সরকারের কাছে অভিযোগ জমা দিলেও তাঁদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ফলে চারিদিকে কৃষক আন্দোলনের হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকার জল-জঙ্গল-জমি কেড়ে নিয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে বহু পশুপাখিদেরও উচ্ছেদ করেছে। আর তার ফলে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে বার বার এভাবে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হাতির পালের আনাগোনায় চাষিদের ফসল নষ্টের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতায় আরও একবার চাষিদের শ্রমার্জিত ফসল নষ্ট হল।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন