ইউনিয়ন বাজেটে ক্ষোভ প্রকাশ করল এসকেএম

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-এর প্রতিক্রিয়ায় এসকেএম তার শোক ও বিহ্বলতা প্রকাশ করেছে ৷ যদিও এটি সর্বজনীনভাবে জানা যায় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিকাজ এবং কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে অবহেলা করেছে, এসকেএম আশা করেছিল যে দিল্লিতে কৃষকদের দীর্ঘকালীন এবং দৃঢ় প্রতিবাদের পরে, ক্ষমতায় থাকা দলটি কৃষিক্ষেত্রের গুরুত্ব উপলব্ধি করবে এবং গ্রামীণ কৃষক সমাজের আয় ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার প্রয়োজন অনুভব করবে, যারা কিনা ভারতের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ গঠন করে।
বাজেটের যে বিষয়গুলি নিয়ে এসকেএমের বিরোধীতা সেগুলি হল: ইউনিয়ন বাজেট ২০২৩ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার বিষয়ে নীরব, ইউনিয়ন বাজেট ২০২৩ স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) বর্তমান অবস্থা এবং কৃষকরা যাতে এমএসপি-এর আইনি গ্যারান্টি পান তা নিশ্চিত করার জন্য কী করতে হবে, তা নিয়ে নীরব, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩ পিএম ফসল বিমা যোজনার বিষয়ে নীরব, সরকার মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম (MNREGS)-এর জন্য বরাদ্দ ব্যাপকভাবে ছাঁটাই করেছে, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির জন্য বরাদ্দ ২০২২ সালের ৬৮,০০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এই বাজেটে ৬০,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে, সারের উপর ভর্তুকি ২০২২ সালের ২,২৫,০০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এই বাজেটে ১,৭৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে, আগের ঘোষণাগুলি ভুলে যাওয়া এবং হারিয়ে যাওয়ার পরও সরকার কৃষি ত্বরণ তহবিলের (Agriculture Accelerator Fund) মতো নতুন তহবিল ঘোষণা করছে, ৪ বছর আগে ঘোষিত ২২,০০০টি গ্রামের হাটগুলিকে ৩ বছরের মধ্যে মান্ডিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনার মতো আগের স্কিমগুলি ব্যর্থ হওয়ার পরেও সরকার নতুন সঞ্চয়স্থান এবং বিপণন প্রকল্পগুলি ঘোষণা করছে।
এসকেএমের দাবি, সরকার যেন কৃষকদের বোকা বানানো বন্ধ করে এবং এমএসপির আইনি গ্যারান্টি, শস্য বিমা, ইনপুট খরচ হ্রাস এবং ইনপুটগুলির স্থির প্রাপ্যতার মতো কৃষকদের জটিল সমস্যাগুলির সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। যেহেতু কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩ এই সমস্যাগুলির সমাধান করে না এবং এটি স্পষ্ট যে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করা ফ্ল্যাগশিপ স্কিমগুলিও ব্যর্থ হচ্ছে, এসকেএম সরকারকে প্রয়োজনীয় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে কৃষকদের মুখোমুখি হতে না হয় এবং সরকারকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য বাধ্য করতে না হয়।
তেলেঙ্গানায় কৃষকদের বিক্ষোভ

মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার খাম্মামে রাজস্ব বিভাগের অফিসের সামনে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ চলাকালীন কৃষকরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। গ্রামে অসময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফসল বিমা ও ঋণ মকুবের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সরকারের সামনে রাখা হয়।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য গ্রামে জল সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। কৃষকদের দাবি অবিলম্বে চব্বিশ ঘণ্টা জল সরবরাহ করতে হবে।
সমাবেশ চলাকালীন রাইথু সঙ্গমের রাজ্য সভাপতি পথিনেনি সুদর্শন ও জেলা সম্পাদক বনথ রামবাবু কৃষকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন।
সূত্র- দ্য হানস ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে রবি আজাদের হুঁশিয়ারি

হরিয়ানায় কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকরা রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও এখনও অবধি সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এই ইস্যুটিকে নিয়েই হরিয়ানার কৃষক নেতা রবি আজাদ আন্দোলনের ডাক দিলেন। একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এদিন নষ্ট হওয়া সর্ষে ক্ষেতের সামনে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের কষ্ট হতাশার ভাগীদার হলেন। তিনি এদিন কৃষকদের শস্য বীমা এবং ক্ষতিপূরনের কথা হরিয়ানা সরকারকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেন।এছাড়াও তিনি রাজ্য সরকারকে কৃষকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে সরকার যদি কৃষকদের দাবি না মানেন, তবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হরিয়ানার কৃষক নেতা রবি আজাদ।
সূত্র- পাহারেদার ভারত নিউজ
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
কেন্দ্রীয় বাজেটের কড়া সমালোচনা করলেন অভীক সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আর ১৪ মাস পর লোকসভা নির্বাচন। যদিও আরেকটি বাজেট সেশন আসবে। কিন্তু সেটা ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবারের বাজেট কেমন হয় সেদিকে নজর ছিল সকলের। এই আবহেই বুধবার ২০২৩ সালের ইউনিয়ন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে নানা বিষয়ে একাধিক ঘোষণা করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটের কড়া সমালোচনা করলেন জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অমৃতকাল গরিব এবং কৃষকদের জন্য বিষতুল্য। সরকার বলছে, আমাদের কাছে তোমাদের জন্য সময় নেই, পয়সাও নেই। তোমাদের যত লড়াই করার ইচ্ছে, তোমরা লড়ে নাও। যে বাজেট এদেশের ১০০ কোটি জনগণকে গরিবে পরিণত করা জন্য বানানো হয়েছে, তাদের জীবনের সুরক্ষা কেড়ে নেওয়ার জন্য বানানো হয়েছে, সেই বাজেট হল দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
বাজেটে কৃষকদের সাহায্যের অঙ্ক বাড়ল না

বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল কৃষকরা। চাপে পড়ে শেষমেশ আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। তাই বাজেটে কৃষকদের আয়বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে বলে মনে করেছিলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । কিন্তু বুধবার ২০২৩-২৪-এর পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কৃষির জন্য তেমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় সরকারকে।
বুধবার সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে কৃষিক্ষেত্রকে প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা বলেন তিনি। কিন্তু তা কৃষকদের অবস্থার উন্নতি করার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র- এবিপি লাইভ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি স্মরণ করালো

এক বছরের ওপর চলা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকার মৌখিক আশ্বাসের পর কৃষকরা প্রত্যাহার করলেও ইউনিয়ন সরকার কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয় সরকার কৃষকদের কোনও দাবিই পূরণ করেনি।
হরিন্দর সিং লাখোওয়াল, সাতনাম সিং বেহরু, রুলদু সিং মানসার সভাপতিত্বে এসকেএম এর বৈঠকে আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মোদি সরকারের উপর চাপ দেওয়া হয়। সরকার কৃষকদের দিল্লি সীমানায় আন্দোলন শেষ করতে অনুরোধ করে। কিন্তু কৃষকদের দাবিগুলিকে না মেনে সরকার তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
এসকেএম মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে লোকসভার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন দিল্লিতে একটি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কৃষক সংগঠনগুলির সমস্ত অমীমাংসিত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ তৈরি করবে বলেও জানা গেছে।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন