পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের মিটিং বাতিল

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বুধবার হতে চলা কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকটি বাতিল করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ফলে কৃষকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। পাক্কা মোর্চার ৩২তম দিনে জেলা প্রশাসনিক কমপ্লেক্সে হওয়া একটি সমাবেশে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সভাপতি সৎনাম সিং পান্নু মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
পাঞ্জাবে আপ সরকার কৃষকদের সমস্যা সমাধানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার কৃষক আন্দোলনের পক্ষে কথা বলে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে চাষিদের অভিযোগ। তাই রাজ্য জুড়ে কৃষকরা বারবার বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফসলের বিষ পরীক্ষা করার দাবি চাষিদের

কৃষিপণ্যে বিষাক্ত পদার্থ পরীক্ষা করতে জেলায় একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের জন্য কৃষকদের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয় পাঞ্জাবের অমৃতসরে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার পাঞ্জাবের প্রধান কৃষি অধিকর্তা ডঃ যতিন্দর সিং গিল এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের উপ আধিকারিকের অধীনে ডিসট্রিক্ট ফার্মার অ্যাডভাইসারি কমিটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানে কৃষিপণ্যে বিষাক্ত পদার্থ শনাক্ত করার পাশাপাশি এগ্রিকালচার ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি এজেন্সি প্রকল্পের ২০২২-২৩ সালের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে জৈব চাষের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক মানবদেহ এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। কেন্দ্রীয় সরকার জিএম শস্য চাষের অনুমতি দিচ্ছে। এর ফলাফল ভয়ানক। বহু কৃষক এবং বিজ্ঞানীরা অনেকদিন আগে থেকেই রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং জিএম শস্য চাষের বিরোধিতা করে আসছেন। জৈব চাষের বিষয়ে কৃষকরা বলেন, “সরকারকে জৈব কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য আলাদা বাজার গড়ে তুলতে হবে”। উল্লেখ্য, এই সভায় পাঞ্জাবের উদ্যানপালন বিভাগের উপ অধিকর্তা ডঃ তাজিন্দর সিং এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অধ্যপক ও এগ্রিকালচার ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি এজেন্সি প্রকল্প অধিকর্তা ডঃ রামিন্দর কৌর উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জিরা মদ কারখানার প্রতিবাদে কৃষকদের ‘মোর্চা’ স্থগিত

বর্তমান পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করার পর এলাকার ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করে এমন মদের কারখানার বিরুদ্ধে ৪০টি গ্রামের মানুষের শুরু করা জিরা মোর্চা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার চণ্ডীগড়ে কিষাণ ভবনে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন রাজেওয়াল, অল ইন্ডিয়া কিষাণ ফেডারেশন, কিষাণ সংঘর্ষ কমিটি পাঞ্জাব, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন মনসা এবং আজাদ কিষাণ সংঘর্ষ কমিটি নামে পাঁচটি কৃষক সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে জলের সংকট, দূষণ এবং পাঞ্জাব ফেডারেল সিস্টেমের ওপর আক্রমণের গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা হয়। এই বিষয়গুলি ছাড়াও লাতিফপুরায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসন এবং শামলাট জমি সরকারি অধিগ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতির আরও মূল্যায়নের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি চণ্ডীগড় কিষাণ ভবনে সংগঠনগুলির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র- পিটিসি নিউজ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষক আন্দোলন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়

তিনটি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গবেষণা প্রকল্প চূড়ান্ত করার জন্য মঙ্গলবার পাতিয়ালার পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অরবিন্দ বলেন, “দিল্লির সীমান্তে কৃষক এবং ক্ষেতমজুরদের সংগ্রাম কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল, যা পাঞ্জাবের কৃষকদের আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে হওয়া এই কৃষক আন্দোলনের প্রতিটি অভিমুখ বোঝার জন্য পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের পণ্ডিত এবং শিক্ষাবিদদের এই প্রকল্পের অংশ করা হয়েছে যাতে এর সমস্ত দিক বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করা হয়”। মঙ্গলবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হবে এবং কৃষক আন্দোলন সম্পর্কিত গবেষণা একটি বই আকারে প্রকাশ করা হবে।
সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মালদায় বুনো শুয়োরের হানায় ফসল নষ্ট, বিপাকে চাষি

মালদায় বুনো শুয়োরের হানায় নষ্ট হল আলুর ক্ষেত। সামসীর গঙ্গারামপুর মৌজায় প্রায় এক বিঘা জমির আলু নষ্ট করে বুনো শুয়োরের দল। ক্ষতিগ্রস্থ চাষির নাম সাবির আলি, সামসীর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সাবির জানান, তাঁর কাছে প্রায় এক বিঘা জমি আছে। আলুর মরসুমে তিনি ঋণ নিয়ে জমিতে আলু চাষ করেন। শুয়োরের হানা আটকাতে তিনি জমির চারপাশে নেটের বেড়াও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু এতকিছুর পরেও আটকানো গেল না শুয়োরের হানা। রাতের অন্ধকারেই আলুর ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল। এই মরসুমে আলু চাষ করতে গিয়ে তাঁর ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এই ক্ষতির পর ঋণ শোধ করবেন কী করে সেই নিয়ে চিন্তায় পরেছেন তিনি। ব্লক কৃষি দপ্তরে তিনি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানান। সাবির আলির আবেদনের ভিত্তিতে রতুয়া-১ ব্লক কৃষি আধিকারিক সৈয়দ সারওয়ার উসান বলেন, ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
উল্লেখ্য, সরকার জল-জঙ্গল-জমি কেড়ে নিয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে বহু পশুপাখিদেরও উচ্ছেদ করেছে। আর তার ফলে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে বার বার এভাবে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। বুনো শুয়োরের আনাগোনায় চাষিদের ফসল নষ্টের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতায় আরও একবার চাষির শ্রমার্জিত ফসল নষ্ট হল।
সূত্র- উত্তরবঙ্গ সংবাদ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
