চা বাগানে জমি দখলের প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের লিজহোল্ড জমিকে ফ্রি হোল্ড করে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ রাজ্যের শাসকদল নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিল চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ জায়েন্ট ফোরাম। রাজ্য সরকার চা বাগানের জমি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে শ্রমিক বিরোধী নির্দেশনামা জারি করেছে। বিলের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের বাস্তুজমির পাট্টার আইনসঙ্গত দাবিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ফাটকাবাজ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে শ্রমিক বিরোধী নির্দেশনামা জারি করেছে।
চা শ্রমিকদের বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরামের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের সর্বাত্মক বিরোধিতা করে বৈঠক শেষে জয়েন্ট ফোরামের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে এই আইন পুনর্বিবেচনার দাবি করছি। পাট্টা না দেওয়া পর্যন্ত লিজহোল্ড ল্যান্ড চা বাগানের ক্ষতি করা থেকে সরকার বিরত থাকুক”।
পাঞ্জাবে কৃষকদের রেল অবরোধ কর্মসূচি

বুধবার কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতৃত্বে প্রায় ৪০০ জন কৃষক অমৃতসর-পাঠানকোট রেলপথ অবরোধ করেন। অবরোধকারী কৃষকদের দাবি, গম এবং ধানের এমএসপির আইনি গ্যারান্টি, কৃষক আন্দোলনের সময় তাঁদের সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং আখের বকেয়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়াও প্রস্তাবিত দিল্লি-কাটরা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির (NHAI) অধিগৃহীত জমির জন্য কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিও উত্থাপিত হয় এদিনের আন্দোলনে। কৃষকরা দাবি করে আসছিলেন, তাঁদের থেকে অধিগৃহীত জমির জন্য অত্যন্ত কম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
এদিনের রেল অবরোধ কর্মসূচিতে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আলু চাষিদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কনভেনশন

নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষকের থেকে সরকারের লাভজনক দামে আলু সংগ্রহ করা, হিমঘরে আলু সংরক্ষণে কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া, ভিন রাজ্যে ও বিদেশে আলু পাঠানোর সরকারি উদ্যোগ-সহ আলুভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে হুগলি জেলার পুরশুড়ায় আলুচাষি কনভেনশন করতে চলেছে সারা ভারত কৃষক সভার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।
হুগলি জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এই এলাকার কৃষকরা জানান, সবে মাত্র আলু তোলা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন আলুর দাম কমছে। এরপরে আলু তোলার কাজ পুরোদমে শুরু হলে তখন দাম আরও কমবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, চড়া দামে পাঞ্জাবের আলু বীজ, কালোবাজারির জেরে অত্যাধিক দাম নিয়ে সার কিনে আলু চাষ করতে হয়েছে। সেইসঙ্গে চাষের আনুষাঙ্গিক খরচও বেড়েছে।
তেলেঙ্গানায় হলুদের দাম কমায় প্রতিবাদে কৃষকরা

তেলেঙ্গানার নিজামাবাদে হলুদ চাষিরা হলুদের দাম কম পাওয়ায় বুধবার বাজার খোলার পর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ক্রমাগত লোকসানের ফলে কৃষকরা হলুদ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাঁরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।
বুধবার নিজামাবাদ বাজারে কৃষকদের মাত্র ৫০০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চাষিরা নূন্যতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপির দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে ক্রমাগত চাপ দিলেও সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বলেন তাঁদের দাবি না মিটলে ভবিষ্যতে তাঁরা আন্দোলন আরও তীব্র করবেন।
সূত্র – দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকের থেকে লুট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
