বিমানবন্দর উদ্বোধনের প্রতিবাদে শামিল কৃষকরা

কর্ণাটকের শিবমোগগায় কৃষকরা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য তাঁদের জমি দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, আধিকারিকরা যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা দেওয়া হয়নি।
বিমানবন্দর উদ্বোধনের বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বেশ কয়েকজন কৃষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, “হাইকোর্ট কৃষকদের পক্ষে আদেশ দিয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া সমস্ত আদেশ বাতিল করেছে। আট কৃষকের জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ জেলা কালেক্টরের কাছে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত তারা ক্ষতিপূরণের টাকা রেখে কৃষকদের নিয়ে খেলা করছে”।
সূত্র – হিন্দুস্থান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ছত্তিশগড়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন রাকেশ টিকায়েত

কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত কোরবায় ছত্তিশগড় কিষাণ সভার এক জনসভায় বলেন, এসইসিএল গেভরা প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবিগুলি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার পূরণ না করলে ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
টিকায়েত অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার গরিবদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের দিতে চায়। রাজ্য জুড়ে ২২টি জায়গায় আন্দোলন চলছে। সভায় উপস্থিত হাজার হাজার কৃষকের ছয় দফা দাবি পূরণ না করলে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সূত্র – কৃষি জাগরণ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জমি থেকে উচ্ছেদ রুখতে বর্ধমানে কৃষক বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কৃষিজমি থেকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে কৃষকদের তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হলেন পুলিশ এবং বিডিও। চাষিদের অভিযোগ, মঙ্গলবার বর্ধমানের বড়শূলে কলকাতার প্রমোটারের হয়ে জমি দখল করতে গিয়েছিলেন পুলিশ ও বিডিও। কিন্তু এভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।
এদিন কৃষকরা বিডিওকে স্পষ্ট জানিয়েছেন এই জমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে জোরালো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে পুলিশ ও প্রশাসনকে। যে জমিতে মঙ্গলবারও আলু ও সর্ষে ফলে আছে, সেই জমি কেন প্রমোটারকে বিক্রি করে দেওয়া হল, তার জবাব চেয়ে কৃষকরা এদিন রাস্তাও অবরোধ করেন।
এই আন্দোলনে শুধু কৃষকরা নন তাঁদের পরিবারের লোকজনেরাও অংশগ্রহণ করেন। বিডিও-কে বলে দেওয়া হয়, এই জমি গরিব চাষিরা বুক দিয়ে রক্ষা করবেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, সরকার ও শাসকদল মিলেই কৃষকদের তিন ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করে এখানে প্রোমোটারি করতে চাইছে।
ফসলের সঠিক মূল্যের দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ কৃষকরা

ধান, পাট, আলু-সহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের সহায়ক মূল্যের দাবিতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বুধবার বিক্ষোভ আন্দোলন করল সারা ভারত কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠন। বুধবার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন করেন সংগঠনের সদস্যরা। বীজ ও কীটনাশকের ফটকা বাজার বন্ধ করতে হবে বলে দাবি করেন কৃষক নেতা হরিভক্ত সর্দার। বলেন, আবাস যোজনার দুর্নীতি বন্ধ করে প্রকৃত গরিব মানুষদের ঘর দিতে হবে। এছাড়া আরও বিভিন্ন দাবি নিয়ে জেলাশাসককে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা।
সারা ভারত কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি হরিভক্ত সর্দার বলেন, “কৃষকরা লাগামছাড়া দামে সার, বীজ কিনেও ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। তাই সমস্ত অর্থকারী ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে এই বিক্ষোভ আন্দোলন”। সারের কালোবাজারি নিয়েও এদিন সরব হন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। কৃষকদের সঠিক দামে সার সরবরাহ করার দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
সূত্র- নিউজ ইন্ডিয়া
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
পাঞ্জাবের লতিফপুরায় আপ নেতার বাড়ির সামনে কৃষকদের বিক্ষোভ

পাঞ্জাবের লতিফপুরা মুড় ওয়াসেবা সাঞ্ঝা মোর্চার নেতৃত্বে লতিফপুরার বাসিন্দারা, কৃষক এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা মঙ্গলবার ডিফেন্স কলোনিতে আপ ইনচার্জ সুরিন্দর সিং সোধির বাড়ির সামনে বিশাল বিক্ষোভ করার জন্য জড়ো হন। আন্দোলনের তীব্রতায় তাঁরা পুলিশের লাগানো ব্যারিকেড ভেঙে দেন।
বিক্ষোভকারীরা একটি প্রতিবাদ মিছিলও বের করেন যা লতিফপুরা, বিএমসি চক এবং ডিসি অফিস প্রদক্ষিণ করে সোধির বাসভবনের সামনে পৌঁছায়। তাঁরা ডিফেন্স কলোনিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং জলন্ধর ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের কুশপুতুল পোড়ান এবং আপ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। মোর্চা নেতারা ঘোষণা করেন যে ৩ মার্চ তাঁরা ওয়্যারহাউস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাজবিন্দর কৌরের বাড়ির সামনে আরেকটি বিশাল বিক্ষোভ করবেন।
এদিন বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সুরিন্দর সোধি বেরিয়ে এসে তাঁদের সঙ্গে বসেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। মোর্চা নেতারা বলেন যে যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন ও ক্ষতির জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা এফআইআরগুলি ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন