কর্ণাটকের মাণ্ড্য শহরে চাষিদের ধর্মঘট

কর্ণাটকে বিজেপি শাসিত সরকারের কৃষক বিরোধী নানা পদক্ষেপের ফলে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। আর তাই কৃষকরা আন্দোলনের পথ বেছে নিচ্ছেন। কর্ণাটকের বেলাগাভিতে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার দিন কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আখের ন্যায্য ও পাওনা মূল্য বৃদ্ধি-সহ তাঁদের বিভিন্ন দাবির সমর্থনে সোমবার কৃষকরা ধর্মঘটের ডাক দেন। কর্ণাটক রাজ্য রাইথা সংঘের ডাকে কৃষকরা মাণ্ড্য শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এর ফলে, হাসপাতাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ছাড়া দোকানপাট এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়।
সূত্র- আউটলুক
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবে চোলাই মদের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদ

ফিরোজপুরে বিভিন্ন ক্ষেতের কৃষকরা চোলাই মদ এবং ইথানল প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন। গত সোমবার ফিরোজপুরের মনসুরওয়াল গ্রামে এই প্রতিবাদটি হয়। ইতিমধ্যেই সাঁঝা জিরা মোর্চার নেতৃত্বে চোলাই মদের কারখানা বন্ধ করার দাবিতে গ্রামবাসীরা গত পাঁচ মাস ধরে প্ল্যান্টের সামনে বিক্ষোভ করছেন।
তাঁদের দাবি, এই কারখানা বায়ু দূষণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রামের ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করছে। গুলজার সিং, গুরমাইল সিং, মঙ্গল সিং ও নির্ভয় সিং-সহ কৃষক নেতারা জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই দূষণের কারণে এই এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন। এই কারখানার কারণে, কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং লোকেরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিক্ষোভস্থলে যাওয়ার সময় কৃষক সংগঠনের সদস্যরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ধর্নায় প্রবেশ করেন। কয়েকজন চাষি অভিযোগ করেন, বিক্ষোভস্থলে যাওয়ার সময়ে পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। গত রবিবার যানবাহন অবরোধ করার জন্য বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
এই অভিযোগকে অস্বীকার করে ফিরোজপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার কানওয়ারদীপ কৌর সোমবার জানান, পুলিশ কাউকে ‘ধর্না’ স্থলে যেতে বাধা দিচ্ছে না। তবে গত শনিবার পাঞ্জাবের কৃষিমন্ত্রী কুলদীপ সিং ধলিওয়াল আন্দোলনকারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যায়।
সূত্র- রেডিফ ডট কম
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ওয়াইএসআরসিপি শাসনে ১৬৭৩ কৃষকের আত্মহত্যা, অভিযোগ বামেদের

অন্ধ্রপ্রদেশে কৃষক আত্মহত্যার জন্য ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিকে দায়ী করল সিপিআই। সোমবার ১৯ ডিসেম্বর তাঁরা সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা করেন, এই দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১,৬৭৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করে মারা গেছেন।
তাঁরা দাবি করেন, ২৬টি জেলা জুড়ে রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং জাল বীজের কারণে প্রচুর পরিমাণে ফসল নষ্ট হয়েছে। যার ফলে কৃষকরা দুর্দশার শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁরা রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে অনন্তপুরে ‘চলো কালেক্টরেট’ কর্মসূচি শুরু করেন। এই কর্মসূচিতে এলাকার নেতারা ক্ষতিগ্রস্থ তুলা, চিনাবাদাম, আখ, ডালিম, ধান এবং হলুদ গাছ নিয়ে কালেক্টরের অফিসে যান। তাঁরা বলেন, জাল বীজ, অতিবৃষ্টি, ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণে কৃষকদের দাবি রাজ্য সরকারকে মানতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন সিপিআই রাজ্য সম্পাদক কে. রামকৃষ্ণ, পার্টি নেতা ডি. জগদীশ এবং সি. জাফর এবং অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পরেরদিন ব্যক্তিগত মুচলেকার বিনিময়ে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। কে. রামকৃষ্ণ জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর তাঁরা নান্দিয়ালে বিক্ষোভ করবেন।
সূত্র- দ্য ওয়্যার
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষক সন্তানদেরও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষিত হতে হবে, মন্তব্য রাহুল গান্ধির

হিন্দির প্রতি অনাস্থার কথা জানালেন রাহুল গান্ধি। তিনি সোমবার রাজস্থানের আলোয়ারে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন বলেন, “আপনি যদি বাকি বিশ্বের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চান তবে হিন্দি নয়, ইংরেজিতেই আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা চাই দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকের ছেলেমেয়েরা গিয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করুক এবং তাদেরই ভাষা ব্যবহার করে তাদের জয় করুক। আমি খুশি যে রাজস্থানে ১৭০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলা হয়েছে”।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধি ভাষার রাজনীতি নিয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণও করেন। তিনি দাবি করেন যে বিজেপি হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সারা দেশে। অন্যদিকে বিজেপির নেতামন্ত্রীরাই নিজেদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে শিক্ষা দিচ্ছে। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই রাহুল গান্ধি সরব হন। তাঁর মতে কৃষক-ক্ষেতমজুর-শ্রমিকদের সন্তানদেরও ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া দরকার। শুধু সমাজের উঁচুতলার নেতামন্ত্রীদের ছেলেমেয়েরা নয়, দেশের সমস্ত স্তরের মানুষের ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার অধিকার রয়েছে।
সূত্র- ইন্ডিয়া টিভি
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মেশিনে গোলযোগ, সার পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় কৃষকরা

হরিয়ানার ঝাঝ্যারে সোমবার কৃষকদের সার পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। ঠান্ডার মধ্যে ভোর ৪টে থেকে তাঁরা অপেক্ষা করলেও পরে জানা যায় আধার কার্ড যাচাই মেশিনের গোলযোগের কারণে এই বিলম্ব। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) রবিন্দর কুমারের কাছে যেতে বাধ্য হন। তিনি কৃষি বিভাগের স্থানীয় আধিকারিকদের আর বিলম্ব না করে কৃষকদের ইউরিয়া সার সরবরাহ শুরু করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কেবলমাত্র আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের ভিত্তিতেই কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করা হয়। এই বিষয়ে এক কৃষককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমরা ভোর ৪টে থেকে বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে বসে আছি, কিন্তু আধার যাচাই মেশিনটি নষ্ট থাকার কারনে ইউরিয়া সার দেওয়া হচ্ছে না”।
অন্যদিকে, মহাবীর সিং, উপ আধিকারিক (কৃষি) বলেন, “আধার কার্ড যাচাইকরণ মেশিনে ত্রুটির কারণে সার ইউরিয়া বিক্রিতে বিলম্ব হয়েছে, তবে পরে আধিকারিকদের কৃষকদের আধার কার্ডের একটি অনুলিপি নিয়ে সার বিতরণ করতে বলা হয়েছিল”।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন