জয় কিষাণ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 5

কর্ণাটকে চাষিদের স্বতঃস্ফূর্ত বনধ পালন

কর্ণাটকের কৃষকদের বিভিন্ন সংগঠন যেমন কর্ণাটক প্রান্ত রাইথা সংঘ এবং অল ইন্ডিয়া খেত মজদুর সংগঠন-সহ অন্যান্য দলিতপন্থী গোষ্ঠীগুলি মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা কালাবুর্গি বনধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়া উইল্ট রোগের কারণে ফসলের ক্ষতির জন্য রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও এ ব্যাপারে কর্ণাটক সরকার এখনও উদাসীন। আন্দোলনরত কৃষকরা স্পষ্টভাবে জানান কর্ণাটক সরকার তাঁদের ফসলের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ না দিলে ভবিষ্যতে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।

সূত্র- দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অত্যাচারের মুখে প্রতিরোধ, ধান কাটলেন বর্গাদাররা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কৃষক বিরোধী’ নীতির ফলে কৃষকরা বিপাকে পড়ছেন এ কথা সর্বজনবিদিত। আমাদের রাজ্যেও কৃষক বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল সরকার। পুরুলিয়ায় কাশীপুরের কালীদহ অঞ্চলের মনঝুপড়া গ্রামের আদিত্য বাউরি এবং মধুসূদন বাউড়ি বাম আমলে জমির পাট্টা পেয়েছিলেন। সেই জমিতেই তাঁরা চাষ করতেন। পরিবর্তনের পর তাঁদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বিভিন্নভাবে তাঁদের প্রাপ্য ফসল থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল। ওঁরা যাতে বর্গা জমি ছেড়ে দেন তার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি এবং চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এ বছরও তাঁদের ধান কাটতে বাধা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় সারা ভারত কৃষক সভা ঐ দুই বর্গাদারের পাশে দাঁড়াল। মঙ্গলবার সারা ভারত কৃষক সভার কালীদহ অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে ঐ দুই বর্গাদারের সঙ্গে থেকে মাঠের পাকা ধান কাটা হল। এই গোটা ঘটনায় গণেশ মাহাতো, পরিমল মণ্ডল, শীতল সরকার-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বর্গাদারদের পাশে ছিলেন।

সন্দীপ সিংকে ক্যাবিনেট থেকে বরখাস্তের দাবি জানালেন যোগেন্দ্র যাদব

নিজস্ব সংবাদদাতা: যোগেন্দ্র যাদব হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ক্যাবিনেট থেকে সন্দীপ সিংকে বরখাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার অভিযুক্তকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। সন্দীপ সিং মন্ত্রী থাকলে এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়।

স্বরাজ ইন্ডিয়া হরিয়ানার সাধারণ সম্পাদক দীপক লাম্বা চণ্ডীগড় পুলিশের কাছে অবিলম্বে অভিযুক্ত মন্ত্রী সন্দীপ সিংকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। স্বরাজ ইন্ডিয়ার হরিয়ানা রাজ্য সভাপতি রাজীব গোদারা অভিযোগ করেন যে নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পরিবর্তে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার অভিযুক্ত মন্ত্রীর সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই অভিযোগকারীর অভিযোগকে অযৌক্তিক ঘোষণা করাই এর প্রমাণ।

যোগেন্দ্র যাদব দাবি করেন যে চণ্ডীগড় পুলিশ যে তদন্ত করছে তা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে করা উচিত। তিনি নির্যাতিতার যথাযথ নিরাপত্তার দাবি জানান। রাজীব গোদারা বলেন, হরিয়ানা সরকার যদি অভিযুক্ত মন্ত্রীকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে কোনও জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেয় তবে তেরঙার অপমান হবে। তিনি আরও বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্তকে মন্ত্রীপরিষদে রাখা ভারতীয় প্রজাতন্ত্র ও সংবিধানের অবমাননা।

কৃষক সভার উদ্যোগে খাল সংস্কার করলেন কৃষকরাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রামে ১০০ দিনের কাজ নেই, পঞ্চায়েতের উদ্যোগ নেই, আর তাই মাঠে জোয়ারের জল না ঢোকায় বিপাকে পড়েছেন হাওড়া উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের তপনা গ্রামের কৃষকরা। আর তাই কৃষক সভার উদ্যোগে মঙ্গলবার কৃষকরা নিজেরাই খাল সংস্কারের কাজ করেন।

১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামে গ্রামে কোনো কাজ হচ্ছে না। উন্নয়নমূলক কাজ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বন্ধ। বোরো চাষের মরশুমে খাল সংস্কার না হওয়ায় সেচের জল পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। জলের অভাবে চাষ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। কৃষকদের দিশেহারা। এই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কৃষক সভা পূর্ব তপনা গ্রাম কমিটির সদস্যরা। তাঁদের উদ্যোগেই কৃষকরা হাত লাগালেন খাল সংস্কারের কাজে।

এই বিষয়ে কৃষক সভা পূর্ব তপনা গ্রাম কমিটির সম্পাদক রবীন মণ্ডল জানান, “ক’দিন পরেই ধান চাষ শুরু হবে। তার জন্য প্রচুর জলের প্রয়োজন। ১০০ দিনের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ফলে খাল-নালা সংস্কারের কাজ হয়নি দীর্ঘদিন। চাষের জলের জন্য এলাকার কৃষকদের রাতের ঘুম উড়েছিল। আমরা আলোচনা করে নিজেরাই সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।”  

বাঁকুড়ার মানাচরে চাষিদের ট্রাক্টর র‍্যালি

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার জয় কিষাণ আন্দোলনের বাঁকুড়া জেলা ইউনিটের উদ্যোগে মানাচরে স্থানীয় দাবি আদায়ের জন্য এক কৃষক ট্রাক্টর র‍্যালি আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জয় কিষাণ আন্দোলনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ননী রায় ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মানাচরের কৃষক ও সাধারণ গ্রামীণ মানুষদের সরকারি পরিষেবা পেতে সড়ক পথে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। নৌকাপথে দামোদর নদী পেরতে প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে সারা দিন চলে যায়। প্রশাসনের কাছে বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিন প্রায় ৬০টি ট্রাক্টর নিয়ে মোট ১৮ কিলোমিটার জুড়ে স্থানীয় রাস্তা এবং রাজ্য সড়কের কিছুটা অংশ ঘিরে দেওয়া হয়।

সূত্র – জয় কিষাণ আন্দোলন

বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *