জয় কিষাণ: ১৭ মার্চ ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 5

চুরি একের পর এক সেচ পাম্প, মাথায় হাত কৃষকদের

বাংলার শস্য ভাণ্ডার বলা হয় বর্ধমানকে। আরও ভালো করে বললে, পূর্ব বর্ধমান জেলা চাষের ক্ষেত্রে সারা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু সেখানেই চাষের বহুমূল্য যন্ত্রপাতি হঠাৎ চুরি হয়ে গিয়েছে। ফলে মারাত্বক সমস্যার মুখে পড়েছেন কলিগ্রাম মৌজার ফরিদপুরের কৃষকরা।

জানা গিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা কলিগ্রামের এই এলাকায় বহু পাম্প ঘর ভেঙে সাবমার্সিবলের যন্ত্রপাতি লুট করে নিয়ে গিয়েছে। এইভাবে প্রায় ৭ টি পাম্প ঘর ভেঙে দামি যন্ত্রপাতি চুরি করা হয়েছে। এই এলাকায় অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ফলে বোরো ধান চাষের মরশুমে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কী করে ফসল ফলাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।

সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

প্রতিকূল আবহাওয়ায় কমেছে আলুর ফলন, চিন্তায় চাষিরা

উভয় সংকটে হুগলির আলু চাষিরা। গত বছর ফলন বেশি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। এ বছর চাষ শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। উলটে ফলন কম। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফলন কম যাওয়ায় এ বছরও চরম আর্থিক সংকটের আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার চাষিরা। হুগলি জেলার মধ্যে আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধ সংলগ্ন জায়গায় আলু চাষ বেশি। প্রায় দুই মাস আগে থেকেই আলু তোলার কাজ শুরু হয়েছে আরামবাগ মহকুমায়।

গতবার আলুর ব্যপক ফলনে কপাল পুড়েছিল চাষিদের। এ বার প্রতিকূল আবহাওয়ায় কম ফলন হয়েছে। আর তাতেও সংকটের মুখে চাষিরা। প্রকৃত আলু চাষিরা আলুর দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। বর্তমানে কিছুটা আলুর দাম বাড়লেও প্রকৃত আলু চাষিরা সেই দাম থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন বলে অভিযোগ।

সূত্র- এই সময়

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নিষিদ্ধ মুরগি,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

বিশ্বের একাধিক দেশে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বার্ড ফ্লু। এরই মধ্যে খারাপ খবর বাংলার জন্যও। এরাজ্যের মুরগিতে বার্ড ফ্লু রয়েছে এমন প্রমাণ নেই। কিন্তু বার্ড ফ্লুর আশঙ্কায় অসম সরকারের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে বাংলার পোলট্রি চাষিদের। অন্য রাজ্য থেকে মুরগি আমদানিতে পুরোপুরি বেঁকে বসেছে অসম সরকার। যার জেরে বাংলার পোলট্রি চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের শেষে অসম সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। মূলত ঝাড়খণ্ড ও বিহারে কিছু দিন আগে বার্ড ফ্লুর ঘটনা সামনে এসেছিল। কিন্তু এই দুই রাজ্যের দিকে তাকিয়ে অসম সরকার অন্য রাজ্যের থেকেও মুরগি আমদানি বন্ধ করেছে। ফলে কোপ পড়েছে বাংলার পোলট্রি চাষিদের উপর।

সূত্র- এই সময়

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রাজ্যের জমির পর এবার জলাশয়ও যাচ্ছে বেসরকারি হাতে

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেদার সরকারি জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত করে নবান্নের নজর এবার জলাশয়ের ওপর! রাজ্যের সব দপ্তরের হাতে থাকা সরকারি জমিকে লিজের পরিবর্তে এখন ফ্রি হোল্ড করার আইন করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির পর মমতা ব্যানার্জির সরকারের নজর জলের দিকে। সরকারি হাতে থাকা জলাশয়কে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। জমির মতোই শুরুতে লিজ দেওয়া হলেও পরে জলাশয়ও তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে।

নবান্ন সভাঘরে বণিকসভা ও ব্যবসায়ী মহলের কাছে মমতা ব্যানার্জির আরজি,“ লিজ হোল্ড থেকে ফ্রি হোল্ড হয়ে গেলে আমরাও রাজস্ব পাবো। আমার টাকাটাও বাড়বে।” গত এক দশকে এ রাজ্যকে ঋণজালে জড়িয়ে এখন সরকারি সম্পদকে বিক্রি করে কোষাগারের ঘাটতি পূরণ করতে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে আর্থিক শৃঙ্খলাকে কার্যত তছনছ করে বেশ কিছু চাষের জমি বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে সরকারের নজরে এখন জঙ্গল ও জল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা পাহাড়, জঙ্গল, জল, ফরেস্ট নিয়ে একটা প্যাকেজ করে দেব।”

ক্ষতিপূরণ মেলেনি, মন্ত্রী বলেছেন আত্মহত্যা করতে

নিজস্ব সংবাদদাতা: সাধারণ মানুষকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার নিদান দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন শেখ এঝারুল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, “অধিকৃত জমির ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী আমায় আত্মহত্যা করার নিদান দিয়েছেন।”

প্রশ্নের মুখে দীঘার সৈকত সরণি। দীঘা মেরিন ড্রাইভ তৈরির সময় অন্যের রায়তী জমি কোনও নোটিস না করে জোরপূর্বক অধিগ্রহণ করায় সেই ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরির কাছে গেলে তিনি জমির মালিককে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেন বলে অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে গেলে তাঁর কাছে উৎকোচ চাওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে জমির মালিক শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও বা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার।

কৃষকের থেকে লুট: ১৫ মার্চ ২০২৩

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *