জলের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন চাষিরা

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার অঞ্চলে বোরো ধান-সহ অন্যান্য ফসল চাষের প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকায় ৬০০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়নি। নন্দকুমারের পিয়াদা, কামারদা, বলরামপুর-সহ কয়েকটি গ্রামে বিঘার পর বিঘা মাঠে ধান চাষ হয়নি।
নন্দকুমার থানার কালিকা খালির অন্তর্গত কামারদা থেকে পিয়াদা পর্যন্ত খাল দীর্ঘকাল ধরে সংস্কার না হওয়ায় কারণে চাষবাসের অসুবিধা হচ্ছে। এই খাল সংস্কারের অভাবে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে চারদিক ডুবে যায়। প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গ্রামের চাষিরা ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
সূত্র – নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হরিয়ানায় চাষিদের কাছে মাথা নত করল সরকার

হরিয়ানার হিসার জেলার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের ক্ষতির জন্যে বকেয়া ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষেত থেকে জল নির্গমনের দাবিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর কৃষকরা তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। সরকার কৃষকদের দাবিগুলোকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
ডিসি উত্তম সিং আশ্বাস দেন দেন যে তুলো এবং খারিফ ফসলের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দিয়ে দেওয়া হবে।
সূত্র – দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাস্তার গবাদি পশুদের সরাতে কৃষকদের অভিনব প্রতিবাদ

রাস্তার গবাদি পশুদের সরাতে বিকেইউ (শহিদ ভগৎ সিং) এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার কৃষকরা সারা জেলা থেকে ট্রাক্টর-ট্রেলারে প্রচুর গবাদি পশু নিয়ে এসে হরিয়ানার আম্বালা শহরের শস্য বাজারের কাছে জড়ো হন। সেখানে কৃষকরা মিছিল করেন, সরকার-বিরোধী স্লোগান দেন এবং রাস্তার গবাদি পশু নিয়ে আম্বালার ডিসি কার্যালয়ের বাইরে পৌঁছান।
ব্লক-১ সংগঠনের প্রধান সুখবিন্দর সিং বলেন, “কৃষকরা তাঁদের ফসল রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। গবাদি পশুরা শুধু ফসলেরই ক্ষতি করছে না, মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। কারণ এসব গবাদি পশু দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সরকার পশু স্থানান্তর করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
পরে কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল ডিসি প্রিয়াঙ্কা সোনির সাথে বৈঠক করেন এবং তিনি গবাদি পশুগুলিকে গোশালায় স্থানান্তরের আশ্বাস দেওয়ার পরে কৃষকরা তাঁদের ধর্না তুলে নেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকদের ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিজেডির প্রতিবাদ

ওড়িশায় ধানের বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে বিজেডি মঙ্গলবার থেকে তিন দিন ব্যাপী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে বিনামূল্যে খাদ্য কর্মসূচি বন্ধ করার যে পদক্ষেপ, তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিজেডি মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
ওড়িশায় কৃষকদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে। বিজেডি নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁদের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
সূত্র – দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফারাক্কায় আদানি গোষ্ঠীকে রুখছেন কৃষকরা

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফারাক্কার দাদনতোলা ও বেনিয়া গ্রামের কৃষকরা।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আদানি গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের নবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা । তার জন্য ফারাক্কার ৬টি মৌজার ১৩টি গ্রামের ওপর দিয়ে যাবে বিদ্যুতের তার। হাইটেনশন লাইন যাচ্ছে আম, লিচু বাগান এবং বসত ভিটের উপর দিয়ে। এতেই কৃষকদের আপত্তি। গাছ কেটে ফেলায় যেমন তাঁদের ক্ষতি হয়েছে, তার সঙ্গে পরিবেশ দূষণ নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
গ্রামের কৃষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, চাপে পড়ে তাঁদের জমি দিতে হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। উপরন্তু তাঁরা ন্যায্য ক্ষতিপূরণও পাননি। এ বিষয়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিরোধী দল সিপিএম।
সূত্র- এবিপি আনন্দ
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
কর্ণাটকে দ্রুত দরপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন কৃষক নেতা

মহাদায়ি কলসা-বান্দুরি প্রকল্পের জন্য রাইথা সেনা কর্ণাটকের সভাপতি বীরেশ সোবারাদামাথ কর্ণাটক সরকারের কাছে দ্রুত দরপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঐ কৃষক নেতা বলেন যে রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি বলবত হওয়ার আগে সরকারের উচিত বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া।
তিনি আরও বলেন, কর্ণাটক রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক রং চড়ানোর জন্য অহেতুক দরপত্র প্রকাশ করতে দেরি করছে। নির্বাচনের আগে দরপত্র প্রকাশ না করলে কৃষকরা তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্র করবেন বলেও তিনি কর্ণাটক সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান কৃষক নেতা।
সূত্র- দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন