বক্সারে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত

বিহারের বক্সার জেলার কৃষকরা একটি মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করলেন। সেখানে রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ কোম্পানিকে সতর্ক করা হয় যে, চাষিদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন জারি থাকবে।
বক্সার জেলার চৌসা ব্লকের বানারপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েতে কৃষকরা বলেন, “আমরা শুধুমাত্র এই এলাকায় আসন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমাদের জমি অধিগ্রহণে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চাই। কিন্তু যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব”।
গত দু’মাস ধরে বিহার সরকারের চৌসা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরি নিয়ে বক্সারে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, যে জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে, তার ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয়নি। কৃষকদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। কিন্তু পুলিশ দিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে চাইছে সরকার। রাতে গ্রামে ঢুকে কৃষক পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে। শীতের রাতে পুলিশি ‘হেনস্থা’ থেকে রক্ষা পাননি মহিলারাও।
সূত্র – এএনআই নিউজ
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
নয়ডায় ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর দাবিতে চাষিদের বিক্ষোভ

যে কৃষকদের জমি নয়ডা আন্তর্জাতিক গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাঁরা বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষতিপূরণ, বড় প্লট, প্লট রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি মকুব এবং একজন জমি রেকর্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
দুপুরবেলা গ্রেটার নয়ডার সুরাজপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে বিকেল ৫টায় প্রতিবাদ শেষ হয়। গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস এলওয়াই বলেছেন, “কৃষকরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যিনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট জমি রেকর্ডারকে বিমানবন্দর-সংক্রান্ত কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছি এবং এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
সূত্র – হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কেরলে বাঘের হামলায় কৃষকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার কেরালার ওয়েনাদ জেলায় বাঘের আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকেরা তাঁকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই মারা যান ঐ চাষি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।
মৃত কৃষকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, দু’দিন আগে বাঘের পায়ের ছাপ সম্পর্কে বনবিভাগের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
উল্লেখ্য, সরকার জল-জঙ্গল-জমি কেড়ে নিয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে বহু পশুপাখিদেরও উচ্ছেদ করেছে। আর তার ফলে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে বার বার এভাবে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। বাঘের আনাগোনায় চাষিদের মৃত্যু ঘটার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতায় আরও একবার কৃষকের মূল্যবান প্রাণ গেল।
সূত্র – হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
লখিমপুর খেরির বিচার শেষ হতে লাগবে ৫ বছর

লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে মারার পর এক বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাল, মামলাটির শুনানি শেষ হতে সময় লাগবে আরও প্রায় পাঁচ বছর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের গাড়ির চাকায় ৪ কৃষকের প্রাণ গিয়েছিল বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। পরবর্তী হিংসায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। আশিসের জামিনের মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। মামলার শুনানিতে গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায়, মামলা শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে। সেই প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দায়রা আদালতের দুই বিচারক।
সূত্র – আনন্দবাজার
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন