জয় কিষাণ: ১৪ মার্চ ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 4

আলুর কুপন না পেয়ে ফের অবরোধ জলপাইগুড়িতে

হিমঘরে আলু রাখার বন্ডের কুপন না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন কৃষকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর এলাকার একটি হিমঘরে। প্রায় এক ঘণ্টা জলপাইগুড়ি-চাউলহাটি রোড অবরোধ চলে। তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবারও জলপাইগুড়িতে আলুর বন্ড নিয়ে ধুন্ধুমার ঘটে। পুলিশের সঙ্গে চাষিদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ হয়।

আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ডের কুপন দেওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে প্রচুর কৃষক জমায়েত হয়েছিলেন বন্ডের কুপন নিতে। তবে দুপুরের পরই হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানায় নতুন করে বন্ডের কোনও কুপন দেওয়া যাবে না, সব কুপন শেষ হয়ে গিয়েছে। 

সূত্র- কলকাতা টিভি

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

লিজের জলাশয় ফিরে না পেয়ে বিপন্ন মাছ চাষিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য পাটুলির কয়েকটি বিশাল জলাশয় মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে লিজ দিয়েছিল মৎস্য দফতর। ঠিক ছিল, কাজ শেষ হলে ২০১৬ সালের মধ্যে চার হেক্টরের ওই ছয় জলাশয়কে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু অভিযোগ, সেই সময়সীমার পরেও কেড়ে গিয়েছে সাত বছর। অথচ, জলাশয়গুলিকে ফেরানো হয়নি। এমনকি, সেখানে এখনও পড়ে রয়েছে মেট্রোর সামগ্রী। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ওই সব জলাশয়ে মাছ চাষ বন্ধ থাকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা এখনও হাতে পাননি মাছ চাষিরা। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে খরচ, চিন্তায় কৃষক

দীর্ঘদিন ধরে তেমন বৃষ্টি নেই। চাষিদের দাবি, রোদের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত সেচের। লাগাতার মাটির তলার জল সেচের কাজে ব্যবহার করায় এক দিকে জলস্তর নামছে। আবার বাড়তে শুরু করেছে চাষের খরচও।

চাষিদের দাবি, মাস ছয়েক ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। রবি মরসুমে এমন এক দিনও যায়নি, যে দিন বৃষ্টিতে মাটি ভিজেছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, কালনা মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর বৃষ্টি মিলেছিল ১ থেকে ২ মিলিমিটার।

এ মাসের ২৫ তারিখ পূর্বস্থলী ২ ব্লকে বৃষ্টি মেলে ৩.১ মিলিমিটার। ১১ মার্চ মন্তেশ্বর ব্লকে বৃষ্টি মিলেছে ৮.৪ মিলিমিটার।চাষিরা জানান, চাষ বাঁচাতে মাটির তলার জলে ভরসা করতে হচ্ছে। পূর্বস্থলীর দুটি ব্লকে প্রচুর আনাজের চাষ হয়। সেখানে জলের প্রয়োজনও বেশি। 

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন

আসামে পুলিশের গুলিতে মৃত প্রান্তিক চাষি

ডাকাত সন্দেহে পুলিশ যাঁকে গুলি করেছিল, তিনি কোনও ডাকাত নন, একজন সাধারণ কৃষক। সিআইডি তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। ঘটনাটি আসামের। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অসমের রাওতা এলাকার ধানসিঁড়িখুঁটি গ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির।

পুলিশ দাবি করেছিল, যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি আর কেউ নন, কুখ্যাত ডাকাত কেনারাম বোরো। এর পরই কেনারামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। দেহ সৎকারও করা হয়।

কিন্তু গোল বাধে অন্য জায়গায়। এই ঘটনার কয়েক দিন পরই অন্য এক পরিবার দাবি করে, পুলিশের গুলিতে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি কোনও ডাকাত নন, মুছাহারি পরিবারের ছেলে দিম্বেশ্বর মুছাহারি। তিনি একজন প্রান্তিক চাষি। পরে সিআইডি তদন্তেও একই কথা বলা হয়।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকদের ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর সরকার: রাকেশ টিকায়েত

অতিরিক্ত দাম কমেছে পেঁয়াজের। সঠিক দরে পেঁয়াজ বেচতে পারছেন না চাষিরা। এই চিন্তার পাশাপাশি চাষিদের বিধ্বস্ত করে রেখেছে সরকারের নানা নীতি। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ন্যায্য দাম পাওয়ার অভাবে ধুঁকছেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ চাষিরা।

বারবার আন্দোলনে বসেও রেহাই নেই চাষিদের। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবার অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাসিকের পেঁয়াজ চাষিরা। নিজেদের ফলন করা ফসলেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত মন্তব্য করেন, “কৃষকদের ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর সরকার”।

সূত্র- এনডিটিভি

বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন

কৃষকের থেকে লুট: ১১ মার্চ ২০২৩

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *