জয় কিষাণ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩

জয় কিষাণ ডেস্ক
লিখেছেন জয় কিষাণ ডেস্ক পড়ার সময় 6

হরিয়ানায় প্রবল ঠান্ডায় আন্দোলনরত কৃষকের মৃত্যু

সোমবার হরিয়ানায় দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা কাটার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন এক কৃষকের মৃত্যু হয়। প্রবল ঠান্ডায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত কৃষকের নাম রাম খিলাড়ি (৬৩)। তিনি নুহ ব্লকের মন্ডকোলা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গে তিনি গ্রামের কাছে প্রতিবাদ করছিলেন।

এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ দাহ করতে অস্বীকার করেন। আন্দোলনকারীদের একজন সুরজ ভান বলেন, “নির্মাণ সংস্থা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি এবং আমাদের ক্ষেতে যাওয়ার জন্য কোনও রাস্তার ব্যবস্থাও করেনি”। কৃষকদের সাফ কথা, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।  

সূত্র- দ্য ট্রিবিউন

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ওড়িশায় চাষিদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

ধান সংগ্রহে অনিয়মের প্রতিবাদে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে কৃষকদের ব্যাপক জমায়েত হয় সোমবার। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নবনির্মাণ কৃষক সংগঠনের হাজার হাজার কৃষক মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন নবীন নিবাসের দিকে ঘেরাওয়ের জন্য মিছিল করেন। তখন পুলিশ বাধা দেয়। এর ফলে চাষি ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। অনেক নারী কৃষকও বিক্ষোভে যোগ দেন।

কৃষকদের অভিযোগ, ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। ধান ক্রয় নীতিতে অনিয়মের কারণে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও উৎপাদকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

নবীন নিবাসকে ঘেরাও করার ব্যর্থ চেষ্টার পরে চাষিরা বিমানবন্দর থানায় বিক্ষোভ দেখান। দাবি মানা না হলে আগামী দিনে রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সূত্র – সংবাদ ইংলিশ

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আলু পচে যাওয়ায় কৃষকদের বিক্ষোভ রসুলপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে ২৫টি গ্রামের আলু চাষিদের আলু সংরক্ষিত থাকার পরেও তা পচে নষ্ট হয়েছে। অথচ এই ঘটনায় চাষিরা কোনোরকম ক্ষতিপূরণ পাননি। এরই প্রতিবাদে রসুলপুর কৃষি সংহতি মঞ্চ সোমবার দুপুরে ব্যাপক প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল। এদিন তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয় রসুলপুর স্টেশনের অভিমুখে। সেখানেই একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায়, কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা। তিনি বলেন, “রাস্তা আমরা অবরোধ করব না। কারণ সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে আছে। কৃষকের পাশে আছে। আমি ভারতবর্ষের কোথাও উচ্চ-মধ্যবিত্ত ছাড়া কাউকে কৃষকের বিরোধিতা করতে দেখিনি। পশ্চিমবঙ্গে যদি কোথাও কৃষক আন্দোলন দাঁড়াতে পারে, সেটা হচ্ছে রসুলপুর”। এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন কৃষক-ক্ষেতমজুর সংহতি সমিতির নেতৃত্ব সমীর পূততুণ্ড, রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের সভাপতি সদানন্দ মণ্ডল, জয় কিষাণ আন্দোলনের রাজ্য সহ-সভাপতি কল্যাণ সেনগুপ্ত, জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি ও জয় কিষাণ আন্দোলনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ননী রায়।

এই জনসভা থেকে দাবি ওঠে, হিমঘরে আলু পচিয়ে নষ্ট করার ব্যাপারে হিমঘর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন যদি এই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করে, তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ পাবে চাষিরা, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের তরফে। প্রায় ৫০০ মানুষ এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।

ভারত জোড়ো যাত্রায় কৃষকদের দাবি তুলে ধরেন যোগেন্দ্র যাদব ও রাকেশ টিকায়েত

রাহুল গান্ধি সোমবার আম্বালায় রাকেশ টিকায়েত, যোগেন্দ্র যাদব-সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। যেখানে তাঁরা এমএসপি এবং কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে চলমান কৃষক আন্দোলন-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত জোড়ো যাত্রা সোমবার হরিয়ানায় কুরুক্ষেত্র থেকে আম্বালায় পৌঁছেছে। সেখানে যোগেন্দ্র যাদব, রাকেশ টিকায়েত-সহ অন্যান্য কৃষক নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করায় পদযাত্রাটি অন্য মাত্রা পায়।

রাকেশ টিকায়েত একটি ট্যুইট বার্তায় লেখেন, “আজ হরিয়ানার আম্বালা জেলায় রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় ছত্তিশগড়ে চলমান নব রায়পুর কিষাণ আন্দোলন, হিমাচল, রাজস্থান এবং অন্যান্য রাজ্যের কৃষক সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা হয়”।

অন্যদিকে সোমবার ভারত জোড়ো যাত্রায় একটি সমাবেশ থেকে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার একটিই উদ্দেশ্য, দেশ জুড়ে যে ঘৃণা ও মিথ্যার বেসাতি তৈরি হয়েছে তার মূলে সজোরে কুঠারাঘাত করা। বাহ্যিক কোনও শক্তি নয়, ওপরের স্তরের নেতা-মন্ত্রীরা দেশকে বিক্রি করছে। ১১৫ দিনের যাত্রাকালে ভারত জোড়ো যাত্রা ঘৃণা ও মিথ্যার দেওয়াল ভাঙতে না পারলেও একটি ছিদ্র করতে পেরেছে। তার মধ্যে দিয়ে আলো প্রবেশ করছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের মানুষ মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখবে এবং ঘৃণাকে দূর করতে পারবে ততক্ষণ এই যাত্রা থামবে না”।   

এদিনের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগেন্দ্র যাদব ও রাকেশ টিকায়েত ছাড়াও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা, রাজ্য কংগ্রেসের ইনচার্জ শক্তিসিংহ গোহিল, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি উদয়ভান, সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   

সূত্র- সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা পশ্চিমবঙ্গ

বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন

নদিয়ায় সবজির দামে পতন, প্রতিবাদ জানালেন কৃষকরা

শীতকালীন সবজির দাম অত্যাধিক হারে কমে যাওয়ায় কৃষকরা তাঁদের সবজি ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। লাভ তো দূর, উৎপাদন খরচ তুলতেই কালঘাম ছুটছে নদিয়ার চাষিদের। মঙ্গলবার সকালবেলা মাজদিয়ার সবজি আড়তে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি রাস্তায় আছাড় মেরে ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ করেন একদল কৃষক। চাষিদের বক্তব্য, সারের দাম অত্যাধিক হারে বেড়ে গিয়েছে। উল্টোদিকে শীতকালীন বেশিরভাগ সবজির দাম অত্যাধিক হারে কমে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা।

কিন্তু চাষিদের এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। চাষিদের দাবি, সরকার কিছু একটা ব্যবস্থা নিক। এক চাষি নারায়ণচন্দ্র হালদার বলেন, “আড়তের খুব খারাপ অবস্থা। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। সব সবজির দাম দুই-পাঁচ টাকা কিলোতে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাহলে কোথায় যাব? এরপর তো না খেতে পেয়ে মরব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখব, চাষিদের জন্য, আড়তের জন্য সমস্যাটা একটু যাতে দেখা হয়।” যে হারে সবজির দাম কমেছে, আগামী দিনে আরও সংকটের মধ্যে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা চাষিদের।

সূত্র- এই সময়

বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কৃষকের থেকে লুট: ৯ জানুয়ারি ২০২৩

ট্যাগ করা হয়েছে:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *