চণ্ডীগড়ে পুলিশ এবং কৃষকদের সংঘর্ষ

বিক্ষোভকারী চাষি এবং চণ্ডীগড় পুলিশের মধ্যে সংঘাতে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়-মোহালি সীমান্ত । বিক্ষোভকারীরা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের বাড়ির দিকে মিছিল করে অগ্রসর হলে পুলিশ কৃষকদের বাধা দেয়। এর পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধর্মীয় নেতা এবং কৃষক সংগঠনও ছিল। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ৭ জানুয়ারি থেকে শত শত বিক্ষোভকারী মোহালি-চণ্ডীগড় সীমান্তে আন্দোলন করছেন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কৃষকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল হরিয়ানা সরকার

দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের দাবি মঙ্গলবার মেনে নিতে বাধ্য হল হরিয়ানা সরকার। যার ফলে এদিন মন্ডকোলার কাছে বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা আজ ৩৭ দিনের দীর্ঘ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। ধর্না সমিতির মুখপাত্র মহেন্দর পাল চৌহান বলেছেন, “স্থানীয় সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প ও শক্তি প্রতিমন্ত্রী কৃষাণপাল গুর্জার আমাদের এখানে একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।”
এই ইন্টারচেঞ্জটি নির্মানের ফলে প্রায় ৮০টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলেও তিনি দাবি করেন।এই আন্দোলন চলাকালীন একজন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে কৃষকরা জানান।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অবৈধ নির্মাণ ভাঙার দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ

পোলবা অঞ্চলে অবৈধভাবে নির্মাণ ভেঙে নিকাশি ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। এই নির্মাণের ফলে এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমির জল নিকাশি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার কৃষকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে কৃষকরা বিক্ষোভ তুলে নেন।
সূত্র – আজকাল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মুজাফফরনগরে কৃষকদের অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট

উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU)-এর নেতৃত্বে শত শত কৃষক ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP), আখের জন্য অর্থ প্রদান, জোরপূর্বক জমি বন্ধ করার আইনি গ্যারান্টি দাবি করে অধিগ্রহণ-সহ অন্যান্য দাবিতে এই ধর্মঘট চলছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত ২৮ জানুয়ারি থেকে চলমান ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের প্রতিবাদের দ্বাদশ দিনে কৃষকরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
সূত্র- দ্য সিটিজেন
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
২০ মার্চ সংসদে কৃষক মহাপঞ্চায়েত করার সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ কুরুক্ষেত্রের জাঠ ধর্মশালায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠক আয়োজিত হল। যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুধবীর সিং, রাজা রাম সিং এবং ডঃ সুনীলম। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ২০ মার্চ সংসদে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে কৃষক বিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।
এই মহাপঞ্চায়েতে সমস্ত কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) ক্রয়ের আইনি গ্যারান্টি (সিটু + ৫০%), সম্পূর্ণ ঋণ মকুব, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ প্রত্যাহার, লখিমপুর খেরিতে কৃষক ও সাংবাদিক গণহত্যায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বরখাস্ত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের ক্ষতি হলে দ্রুত ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যাপক ও কার্যকরী ফসল বিমা প্রকল্প, সকল মাঝারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের প্রত্যেক মাসে ৫,০০০ টাকা কৃষক পেনশন, দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সময় চাষিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আন্দোলনে শহিদ হওয়া সমস্ত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং কৃষিজমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে।
এসকেএম ইউনিয়ন সরকারের বাজেটকে সর্বাধিক কৃষক বিরোধী বলে দাবি করে। সার, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদিতে ভর্তুকি হ্রাস ছাড়াও চাষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মনরেগা সংক্রান্ত সমস্ত বরাদ্দে কঠোর হ্রাসের জন্য এই বাজেটের সমালোচনা করা হয়।
সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এসকেএম-এর অন্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবারের বৈঠকে এসকেএম-এর ৯ দফা নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হয়, যার মধ্যে এসকেএম পরিচালনার জন্য ৩১ সদস্যের জাতীয় সমন্বয় সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মহিলা কোচকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত হরিয়ানার মন্ত্রী সন্দীপ সিংকে বরখাস্ত করার দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। হরিয়ানা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সিদ্ধান্ত অনুসারে, নির্যাতিতা মহিলার জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার লড়াই আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেচের জল নেই, রাস্তা অবরোধ করলেন চাষিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: খাল সংস্কার না হওয়ায় কারণে আমাদের রাজ্যে আট গ্রামের ৬০০ একর জমিতে চাষ বন্ধ। প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। বাধ্য হয়ে কৃষকরা বুধবার কামারদা বাজার এলাকায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ জানান।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে খালটি একেবারে মজে গেছে। দীর্ঘকাল ধরে সংস্কার হয়নি। খালের পাড়ে একের পর এক বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছে। ফলে খালে জোয়ারের জল আসতে পারছে না। চাষের কাজ বন্ধ। জলের সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষকের থেকে লুট: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
