আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবি পশ্চিমবঙ্গে

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য সরকার আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। ঘোষিত আলুর সহায়ক মূল্য সাড়ে ছয়শো টাকা প্রতি ক্যুইন্টাল। তা সত্ত্বেও অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আলু চাষিরা, এমনি অভিযোগ। তাঁদের দাবি, আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণা করতে হবে ক্যুইন্টাল প্রতি ১০০০ টাকা। আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি-সহ আট দফা দাবিতে আগামী ১১ মার্চ রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে সিপিএমের কৃষক সংগঠন।
আলুর সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতিও। জানা গিয়েছে, আলু চাষের ঋণ শোধ করতে মাঠেই কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, গড়বেতার আলু চাষিরা।
হিমঘরে কালোবাজারির অভিযোগ কোচবিহারে

উৎপাদনের তুলনায় হিমঘরের সংখ্যা হাতেগোনা। তার ওপরে ফড়ের দাপট। এই অবস্থায় কোচবিহারে হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে উঠছে কালোবাজারির অভিযোগ।
কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, কোথাও আলুর বন্ড আগাম দেওয়া হচ্ছে, কোথাও আবার চাষিদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তা নিয়ে বিক্ষোভ, পথ অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের তরফে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি মেটানোর চেষ্টা চলছে। কৃষি বিপণন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সরকারিভাবে সাড়ে ছ’টাকা কেজি দরে আলু কেনা হবে। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের লোকসানের সম্ভাবনা কম হবে।
কৃষকদের অনেকেই অভিযোগ করেন, জেলার বহু জায়গায় জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্ৰতি তিন থেকে চার টাকায় নেমে এসেছে। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। চলছে ফড়েদের দাপটও। কম দামে আলু কিনে মজুত করছে তারা। হিমঘরের বড় অংশের বন্ড তাদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন কৃষকেরা।
সূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিক্ষোভের ডাক দিলেন ক্ষেত মজুররা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে আগামী ১০ মার্চ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে গ্রামীণ শ্রমজীবী ও ক্ষেত মজুরদের মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সারা ভারত ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, ১০০ দিনের কাজের পরিবর্তে ২০০ দিন কাজের দাবি-সহ ৬০০ টাকা মজুরির দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা, ভূমি ও বাসস্থানের দাবি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে গ্রামের গরিবের ছেলেমেয়েদের বিনা খরচে পড়াশোনার দাবির কথাও জানানো হবে ক্ষেত মজুরদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।
পেঁয়াজ ফেলে রাস্তা অবরোধ করলেন চাষিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির নাদনঘাট মোড়ে পেঁয়াজ ফেলে সড়ক অবরোধ করলেন কৃষকরা। বুধবার সারা ভারত কৃষকসভার ১ নং ব্লক কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন কৃষক নেতা রতন দাস, সাকাউৎ হোসেন, নিমাই মাঝি-সহ একাধিক নেতৃত্ব।
কৃষকদের দাবি, পেঁয়াজ তোলার মরশুম চলছে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম একেবারেই তলানিতে। এই অবস্থায় কৃষকরা ভালো নেই। সার, বীজ, কীটনাশক-সহ কৃষি উপকরণের মূল্য আকাশছোঁয়া। দেশের সরকার আম্বানি, আদানিদের স্বার্থ দেখলেও কৃষকদের স্বার্থ দেখছে না। তাই এর বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তলার ডাকও দিয়েছেন তাঁরা।
পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস রুখতে এআইকেএমএস’র পদক্ষেপ

নিজস্ব সংবাদদাতা: যখন দেশব্যাপী পেঁয়াজের দাম পরে যাচ্ছে, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে নীরবতা পালন করছে মোদি সরকার। পেঁয়াজের দাম পরে গিয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে লাসলগাঁও’তে প্রতি কে.জি’তে ১ টাকা করে । এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার চাষিদের সঠিক মূল্য পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কৃষক মজদুর সভা ৮ মার্চ একটি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে।
উৎপাদনের তুলনায় ১.৫ গুণ বেশি অর্থাৎ প্রতি কেজি’তে ১৫ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হবে চাষিদের কাছ থেকে, এমনই দাবি করেছেন এআইকেএমএস সভাপতি ভি ভেঙ্কটরামাইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ড. আশিস মিতাল।