নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা ইউনিটের উদ্যোগে পান্ডুয়ার খন্যানে একটি কৃষক সচেতনতা শিবির আয়োজিত হল। উপস্থিত ছিলেন জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সহযোগিতায় ছিল গ্রামীণ কৃষি ও মৌসম সেবা প্রকল্প।
খন্যানের জয় কিষাণ আন্দোলনের অফিসে এই শিবির আয়োজিত হয়। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাশ্বেতা ভৌমিক দত্ত (ডিরেক্টরেট অফ রিসার্চ, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী) এবং বিশ্বজিৎ দত্ত (পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার)। উন্নত প্রথায় রঙিন ক্যাপসিকাম, গাঁদাফুল, গ্ল্যাডিউলাস চাষ, ব্রকোলি চাষ, করলা চাষ, ড্রাগন ফলের উৎপাদন কৌশল, বজ্রপাত সংক্রান্ত নিরাপত্তার সতর্কতা, গবাদি পশুর শীতকালীন রোগ ও তার প্রতিকার, পোলট্রি পালন ও খামার ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন এদিনের কৃষক সচেতনতা শিবিরে।
সারা দেশে কৃষকদের অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে জয় কিষাণ আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গেও তারা চাষিদের রুটিরুজি, জল-জমি-জঙ্গলের ওপর অধিকার, কৃষি উৎপাদনের ন্যূনতম মূল্য (এমএসপি), ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াই এবং কর্পোরেট লোভ থেকে খাদ্য উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থাকে বাঁচাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
হুগলি একটি কৃষিপ্রধান জেলা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ধান, আলু, পাট ছাড়াও নানা রকম সবজির চাষ এই জেলায় হয়। কৃষকদের ওপরে নানা রকমের জুলুম চলে। এই জেলাতেই ঘটেছিল ঐতিহাসিক সিঙ্গুর আন্দোলন। তারপরেও কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতি দেখা যায়নি। সরকার এবং বেসরকারি পুঁজি নানাভাবে শোষণ বাড়িয়ে চলেছে। চাষিদের দাবিদাওয়ার লড়াইয়ের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ বিরোধী বৃহত্তর লড়াইয়ে জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা ইউনিট কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের একত্রিত করছে। এই প্রচেষ্টায় গতি সঞ্চার করবে আজকের কৃষক সচেতনতা শিবির।
পান্ডুয়ার খন্যানে আয়োজিত হল কৃষক সচেতনতা শিবির

মতামত দিন