ইউরিয়া সারের ঘাটতি হওয়ার ফলে বিক্ষোভে ফেটে পরলেন বিহারের কৃষকরা। তাঁরা বলেন, ইউরিয়া সারের জন্য তাঁদের অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হচ্ছে। ৪৫ কেজি সারের সর্বোচ্চ মূল্য ২৬৬.৫০ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের থেকে ২৯০-৩২৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের একজন আধিকারিক বলেন, ইউরিয়া সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় ব্যাপারটি নিয়ে নিরীক্ষণ করা হচ্ছে। গম ও অন্যান্য রবি শস্য বপনের জন্য ডিএপি প্রয়োজন। গম চাষের সময়ে ইউরিয়ার সঙ্কটের ফলে গ্রামীণ বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিহারের কৃষিমন্ত্রী কুমার সর্বজিৎ বলেন, বিহারে ৩.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে প্রায় ১.৯১ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সরবরাহ করা হয়েছে। নভেম্বর ও অক্টোবর মাসে প্রায় ৩০-৩৬ শতাংশ কম ইউরিয়া সরবরাহ করা হয়েছে।
এই সার সরবরাহ কম হওয়াতে কৃষকরা চরম সংকটের মুখে পরেছেন। তাঁরা কৃষি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পরেছেন। তাঁদের দাবি সারের কালোবাজারির কারণেই এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে যাতে কৃষকরা অতিরিক্ত দাম দিয়ে ইউরিয়া সার কিনতে বাধ্য হন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিহারে সার অপ্রতুল, বিক্ষোভ চাষিদের

মতামত দিন